আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা - আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি এই সম্পর্কে আপনারা অনেকেই সঠিক তথ্য জানতে চান। কারণ আমেরিকাতে পড়াশোনা করা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বপ্নের মত। তাই এই আর্টিকেলে এই বিষয়ে যাবতীয় সকল সঠিক তথ্য আলোচনা করা হলো।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত ও আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য সঠিকভাবে জানতে পারবেন। তাই ভালোভাবে বোঝার জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা - আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। কারন আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করতে বেশ আগ্রহী। আমেরিকা এমন একটি দেশ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন একটা বিষয়।

আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়

বিশ্বের সবথেকে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমেরিকাতে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন উন্নত তেমনি এখানে পড়াশোনার মান খুবই উন্নত। শিক্ষা, অর্থনীতি,পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সকল দিক থেকে বিশ্বের এক নম্বরস্থানে অবস্থান করছেন আমেরিকা। তাইতো বিশ্বের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আমেরিকা একটি স্বপ্নের দেশ। এছাড়া মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভ্রমণের জন্য এই দেশটিকে খুব বেশি পছন্দ করে। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাঃ

  • আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে একটি বৈধ পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে হবে। পাসপোর্টে যেন কোন ভুল ত্রুটি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • আমেরিকাতে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অফার লেটার আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে, না হলে আপনি কোনভাবেই আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন না।
  • যেহেতু আমেরিকার প্রধান ভাষা হচ্ছে ইংরেজি তাই আপনাকে ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি কতটুকু দক্ষতা অর্জন করছেন তার জন্য ( IELTS, TOEFL,GRE) এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং সেখানে ভালো স্কোর থাকতে হবে।
  • আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কমপক্ষে এইচএসসি পাস সার্টিফিকেট থাকতে হবে ।এর নিচে কোন সার্টিফিকেট দিয়ে আপনার আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
  • আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার বয়স ১৪ থেকে ৬৯ এর মধ্যে হতে হবে, এর কম বা বেশি হলে আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
  • আমেরিকাতে থাকা, খাওয়া, টিউশন ও অন্যান্য খরচ বাবদ আপনার সামর্থ্য আছে কিনা তার জন্য একটা ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন।
  • যদি আপনি স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে উক্ত স্কলারশিপের সমস্ত কাগজপত্র ভিসা আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।
  • আমেরিকান ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে হবে, কারণ পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট ব্যতীত আপনি কোনভাবেই আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন না।
  • আপনি ছাত্র হিসেবে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ফিট কিনা তার জন্য আপনার একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। আনফিট হলে আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা নাও পেতে পারেন।
  • যেহেতু সারা বিশ্বে করোনা একটি মহামারী রোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল, তাই আপনার করোনা আছে কিনা সেটা প্রমাণের জন্য একটি করোনার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
  • আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে এম্বাসি ফি জমা দিতে হবে।
  • যেহেতু আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে ছোট্ট একটি ইন্টারভিউ দিতে হবে, সে ইন্টারভিউতে কি কি প্রশ্ন করা হয় এ সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই ধারণা রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত

আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চায়।বিশেষ করে যারা আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তারা এ বিষয়টি বেশি জানতে চায়। কারণ এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে তাহলে তাদের জন্য খুবই সুবিধা হয়। যেহেতু আমেরিকা একটি উন্নত দেশ এবং সেখানে জীবনযাত্রার মান খুব উন্নত। তাই সে দেশের স্টুডেন্ট ভিসা করতে কত টাকা খরচ হতে পারে চলুন এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

আপনি ভ্রমণের জন্য বা অন্য কোন কাজের জন্য গেলে আমেরিকান ভিসা পেতে প্রায় ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। তবে যদি আপনি স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম হতে পারে।এছাড়াও সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা নিতে গেলে কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে আপনারা চেষ্টা করবেন অবশ্যই সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার জন্য।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যারা পড়াশোনা করার জন্য আমেরিকা যেতে চান তারা আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে চান। কারণ প্রত্যেক দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন।যেগুলো জানা থাকলে আপনি আগে থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ কি কি।
  • আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমুহঃ
  • একটি বৈধ ও নির্ভেজাল পাসপোর্ট।
  • স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফরম।
  • আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর যে কোন একটির ফটোকপি।
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র অথবা চারিত্রিক সনদপত্র।
  • আপনার ঠিকানা প্রমাণস্বরূপ বিদ্যুৎ, গ্যাস অথবা পানির বিলের ফটোকপি।
  • IELTS, TOEFL,GRE এর স্কোর সার্টিফিকেট।
  • যিনি আপনার স্পন্সর হবেন তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  • করোনা ভ্যাকসিনের টিকা কার্ড এর ফটোকপি।
  • আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করবেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকতে হবে। না জানা থাকলে কোন একটি ছোট ভুলের কারণে ভিসা বাতিল হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে তারপরে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য।

আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে ইসলামি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন দুইভাবে করা যায়। ১. আপনি নিজেই ঘরে বসে আবেদন করতে পারবেন ২. সরকারি এজেন্সের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক আপনি নিজে কিভাবে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন।https://travel.state.gov/content/travel/en/us-visas/study/student-visa.html এই লিংকটিতে ক্লিক করে আপনি যাবতীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে ঘরে বসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অথবা আপনি যেকোনো একটি সরকার এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে আপনার খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। আর নিজে আবেদন করলে খরচ আপনার কয়েক হাজার টাকা কম হতে পারে। তাই যদি আপনি পারেন চেষ্টা করবেন নিজে আবেদন করার জন্য। আর একেবারে যদি সম্ভব না হয় তাহলে আপনি যে কোন একটি সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের মাথায় আসে তা হচ্ছে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত। যারা পড়াশোনা করার জন্য আমেরিকা যেতে চান তাদের জন্য এই বিষয়টি খুবই জরুরী। কারণ যদি আপনি না জানেন আমেরিকার ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হয় তাহলে আপনি যেকোনো সময় প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তাই এই ব্যাপারে আপনার ধারণা থাকা খুবই ভালো।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করা যায় অর্থাৎ আপনি নিজে আবেদন করতে পারবেন অথবা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আপনার নিজে আবেদন করলে ভিসার জন্য খরচ হবে ১৪ হাজার টাকা। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় নিজে আবেদন করলে। কারন এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং খরচ কম হয়। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সম্পর্কে আপনারা অনেকেই বিস্তারিত জানতে চান।আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট অবশ্যই প্রয়োজন। এখন আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন এবং কি পরিমাণ টাকা থাকতে হবে।এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে ব্যক্তি আপনার স্পন্সর হবে তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন। এবং সে ব্যাংক স্টেটমেন্টটি সর্বনিম্ন ছয় মাসের ট্রানজেকশন দেখাতে হবে।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ব্যাংকে কত টাকা থাকতে হবে। আমেরিকায় পড়াশোনা করার জন্য ব্যাংক একাউন্টে কমপক্ষে ২০ থেকে ৪০ হাজার ডলার থাকতে হবে। তাহলে কেবল আপনার আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কারণ আমেরিকা একটি উন্নত দেশ এখানে জীবনযাত্রার মানে অনেক বেশি তাই এখানে খরচটা অনেক বেশি। এর জন্য ভিসা দেওয়ার সময় আপনার একাউন্টে টাকা আছে কিনা সে বিষয়টি বেশ ভালো হবে দেখবেন।

আমেরিকা যেতে ILETS কত পয়েন্ট লাগে

আমেরিকা যেতে ILETS কত পয়েন্ট লাগে

আপনাদের মাঝে অনেক শিক্ষার্থী আমাকে প্রশ্ন করেছেন আমেরিকা যেতে ILETS কত পয়েন্ট লাগে।কারণ আমেরিকাতে পড়াশোনা করার জন্য ILETS এর ভালো স্কোর প্রয়োজন। এখন বিষয় হচ্ছে কত ভালো স্কোর প্রয়োজন বা সেটা কতটুকু প্রয়োজন। যারা নিয়ত করে ফেলেছেন যে আমেরিকা পড়াশোনা করবেন তাদের জন্য এই বিষয়টি খুবই জরুরী। কারণ এই স্কোর সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আপনার আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে ILETS এর কত পয়েন্ট প্রয়োজন। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য ILETS এর সর্বনিম্ন স্কোর ৭ থেকে ৮ হলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ এর নিচে স্কোর থাকলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।যদি আপনি ৭ থেকে ৮ ILETS স্কোর নিয়ে আমেরিকায় পড়াশোনা করার জন্য ভিসা আবেদন করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

আপনারা অনেকেই জিজ্ঞেস করেন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে চান। যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে শুধু ভিসা বাবদ তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে এছাড়া ওখানে থাকা খাওয়া পড়াশোনা সবকিছু মিলে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আবার যদি আপনি টুরিস্ট ভিসা যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ কম হবে।

যেহেতু ভ্রমণের জন্য আপনি স্বল্প সময়ে নিয়ে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ খুবই কম অর্থাৎ ভিসা করার সহ সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আবার যদি আপনি ব্যবসায়িক কাজে যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ কাজের ধরন অনুযায়ী হবে। তাই আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়টা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে চান। আশা করি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে

আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থীরা জানতে চান আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে। সাধারণত আমাদের দেশ থেকে আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা পেতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। পরিবেশ পরিস্থিতি ও বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এই সময় কম বেশি হতে পারে। তবে যদি সবকিছু ভালো থাকে এবং কোন সমস্যা না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন এর মধ্যে আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর


স্টুডেন্টরা কি আমেরিকা কাজ করতে পারবে?
অবশ্যই স্টুডেন্টরা আমেরিকায় কাজ করতে পারবে। তবে সেটা সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের জন্য সময় ব্যয় করতে পারবেন। আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জন করা যায়।অর্থাৎ আপনি যদি আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যান তাহলে নিজে উপার্জন করে নিজের টাকায় পড়াশোনা করতে পারবেন। কিছু না হলেও আপনার খাওয়া-দাওয়ার টাকা আপনি ওখান থেকে চালিয়ে নিতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কি হয়?
আমেরিকাতে বসবাস করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ভিসা নিয়ে যেতে হবে। সেটা হতে পারে স্টুডেন্ট ভিসা অথবা অন্য কোন ভিসা। তবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকা যাওয়ার পর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি হবে। যেহেতু আপনি বৈধ পথে আমেরিকাতে পড়াশোনা করতে গিয়েছেন সেহেতু স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনাকে আবার নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসায় কি কি কাজ করা যায়?
আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। তবে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। এই শর্ত অনুযায়ী আপনি ডেলিভারি ম্যান, কোন দোকানে পার্টটাইম জব এরকম বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। এক কথায় আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেসব কাজ সংক্ষেপে করা যায় সে সমস্ত সকল কাজ আপনি করতে পারবেন।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ কত?
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়তে গেলে একজন ছাত্রের কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে যদি আপনি সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা পড়তে যান সে ক্ষেত্রে আপনার তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে যাচ্ছেন। এজেন্সি অনুযায়ী এই টাকার পরিমাণ সামান্য কিছু কম বেশি হতে পারে। তবে মোটামুটি এই পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। প্রথমত আপনাকে আমেরিকার যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিতে হবে শর্ত অনুযায়ী। এরপর ভিসা আবেদন পূরণ করে সমস্ত কাগজপত্র ও আবেদন ফি বাবদ টাকা জমা দিয়ে ভিসার আবেদন করতে হবে। এরপর আপনাকে ভাইভার জন্য ডাকা হবে ভালোভাবে ভাইভা দিতে পারলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।

শেষ কথাঃ আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৪

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য। যদি উপরের তথ্য অনুযায়ী আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে নিশ্চিত ভাবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন এবং আমেরিকাতে পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যে পরামর্শ তাহলো আপনাকে অবশ্যই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ আপনি হঠাৎ করেই আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা জন্য আবেদন করলে আপনি ভিসা নাও পেতে পারেন।

কারণ প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে লাখো শিক্ষার্থী আমেরিকাতে পড়াশোনা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। এবং তারা অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে যেন কোন ভুল ত্রুটি না হয়। সামান্য দুই একটি ভুলের কারণে আপনার ভিসা বাতিল হতে পারে। আরেকটি বিষয় খুব বেশি লক্ষণীয় তা হল আপনাকে ইংরেজিতে খুব ভালো দক্ষ হতে হবে এবং ILETS এ ভালো স্কোর থাকতে হবে। তাহলে আপনার আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা আরো জানতে পারলেন, আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত,আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম সহ অনেক বিষয়ে যাবতীয় সঠিক তথ্য। আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন পোস্ট পাবলিশ করা হয়। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url