মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন

যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু বাসায় ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কোনটাই নেই তারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০ টি কৌশল জেনে নিন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি ও কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন বেশি। ভালোভাবে বোঝার জন্য এই আর্টিকেলের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়ুন। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন

আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে খুবই আগ্রহী কিন্তু বাসায় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ না থাকার কারণে তারা কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য, কারণ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

এর জন্য প্রয়োজন একটি ভালো মানের স্মার্টফোন ও আপনার দক্ষতা। আপনি যদি একজন দক্ষ ব্যক্তি হন তাহলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর এমন অনেক সেক্টর আছে যেগুলোতে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়।আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে এসব কাজ করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০ টি কৌশল সম্পর্কে যাবতীয় সঠিক তথ্য।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিনঃ
১. ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করেঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যেসব কাজ করা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ একটি কাজ হল ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করা। ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে আমাদের দেশের অনেক ব্যক্তি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। তবে এর জন্য আপনার একটি ভালো ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোন এর প্রয়োজন হবে। আপনার আশপাশে যা ঘটছে অথবা কমেডি টাইপের অথবা শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করে।

নিয়মিত ফেসবুকে আপলোড করে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। আমাদের দেশের এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা শুধুমাত্র ফেসবুকে প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন।
তবে ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করার জন্য আপনার কয়েকটি এডিটিং সফটওয়্যার লাগবে। যে সফটওয়্যার গুলো দিয়ে আপনি আপনার কন্টেন্ট কে সুন্দর ভাবে তৈরি করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার কনটেন্ট যত ভালো হবে তত বেশি ইনকাম হবে।

ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরির জন্য আপনার বেশ কিছু সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে যেগুলো ফ্রিতে আপনি ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন এডিটিং এর জন্য kinemaster অথবা Youcut অথবা Capcut এদের মধ্যে যেকোনো একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।কন্টেনগুলো সুন্দরভাবে আপলোড দেওয়ার জন্য ফেসবুকের একটা অ্যাপস Creator Studilo আপনাকে ইন্সটল করে নিতে হবে। এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুকে কনটেন্ট আপলোড করতে পারবেন।

২. কন্টেন্ট রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতের যত রকম কাজ আছে সব থেকে সহজ এবং অল্প সময়ে যে কাজটি করা যায় তা হল কন্টেন্ট রাইটিং।আর এই কাজটি আপনি ঘরে বসে আপনার মোবাইল ব্যবহার করে সহজেই করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং করে অল্প সময়ে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ফোনে শুধুমাত্র একটি টেক্সট এডিটর এপস থাকলেই চলবে। এই অ্যাপস টি ব্যবহার করে আপনি খুব সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চাহিদা সমৃদ্ধ একটি কাজ। কারণ প্রতি দিন আমাদের দেশসহ বিশ্বের প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কন্টেন্ট প্রয়োজন কিন্তু কন্টেন্ট রাইটার এর সংখ্যা খুবই কম। তাই আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ কাজটি করে প্রতি মাসে আপনি লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে আরো কয়েকটি অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে।
  • Google Docs
  • Microsoft Office
  • Wps Office
  • Note Pad
  • Email Address
৩.ওয়েব ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতের আরেকটি জনপ্রিয় কাজ হলো ওয়েব ডিজাইন। যা আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে আপনি করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে মার্কেটপ্লেস এ আপনি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনের সমস্ত কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করতে চান তাহলে পারবেন না। ওয়েব ডিজাইনের শুধুমাত্র সিএসএস ও এইচটিএমএল এর কাজগুলো মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইনের অন্যান্য যেসব কাজ সেগুলোকে আপনাকে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে করতে হবে। তবে প্রাথমিক লেভেলের আপনার সমস্ত কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে হলে কয়েকটি সফটওয়্যার বা এপ্স এর প্রয়োজন হয়।যে অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে আপনি মোবাইলে ওয়েব ডিজাইন এর কাজগুলো করতে পারবেন। যে অ্যাপসগুলো আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইনের কাজ করার জন্য মোবাইলে যেসব এপস্ প্রয়োজনঃ
  • Free Code Camp
  • W3schools
  • Programming Hero
  • Solo Lern
  • Html Editor
৪. ইউটিউব কন্টেন্ট রাইটিংঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য যে কাজগুলো করা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ একটি কাজ হল ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরি করা। আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা মোবাইলের মাধ্যমে নিয়মিত ইউটিউব এর কন্টেন্ট আপলোড করে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। আপনিও খুব সহজে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে এর জন্য আপনার হাতে একটি আলো ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোন থাকতে হবে। youtube এ কন্টেন্ট আপলোড করার জন্য প্রথমে আপনাকে ইউটিউবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আর ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ। ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। আপনার কন্টেন্টকে প্রাণবন্ত করার জন্য কয়েকটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যা আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপলোড এবং ব্যবহার করতে পারবেন।

ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরির জন্য যে সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন হবেঃ
  • Kine Master
  • Capcut
  • Youcut
  • Power Director
  • Youtube Creator Studio
৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করাঃ আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত থাকেন তাদের সকল কাজ সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। তেমনি অনলাইনে অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রয়োজন হয়, সেসব প্রতিষ্ঠানের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য। এখানে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আপনি এই কাজগুলো ঘরে বসে আপনার মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

এর জন্য কোন ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে না। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করে আপনি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমান সময়ে এই কাজগুলোর প্রচুর চাহিদা আছে। আপনি চাইলে সহজেই এই কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারবেন। আর এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে ভালো কনফিগারেশন সমৃদ্ধ একটি ফোন। তবে এর জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজের বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজারের কাজঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এ কাজটি খুবই জনপ্রিয় ও সহজ কাজ। এই কাজটি কিছুটা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মত। ধরুন আপনি ফেসবুকে একটি পণ্যর বিজ্ঞাপন দেখলেন। সেই পন্য সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে চাওয়ার জন্য ফেসবুক পেজে নক দিলেন। তখন অপরপ্রান্ত থেকে ঐ পণ্য সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো। 

এই অপর প্রান্ত থেকে যে জানিয়ে দিল সেটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজার। আর আপনি এই কাজটি খুব সহজে করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এই কাজটির মূল্য অনেক বেশি। অর্থাৎ ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা বাড়ছে কিন্তু সে তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার খুবই কম পাওয়া যায়। তাই আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে এ কাজটি করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে অনেক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

৭. এফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০ টি কৌশলের মধ্যে এটি অন্যতম একটি কৌশল। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন প্রকার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর প্রয়োজন হয় না। আপনি মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে এ কাজটি করতে পারবেন।আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ দিন দিন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন। যেমন আমি নিজেও ফেসবুক অথবা ইউটিউবে অনেক সময় ব্যয় করে থাকি।

তেমনি আমাদের আশেপাশে অনেক ব্যক্তি আছেন যারা মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় বের করে থাকেন। আপনি যে সময়টুকু ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ব্যয় করবেন, সেই সময়টুকু অযথা ব্যয় না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাফিকেট মার্কেটিং করে প্রতিমাসের লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, টিক টক এরকম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রয় করে সেখান থেকে কমিশন পাওয়ার নাম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

৮, গ্রাফিক্স ডিজাইন করেঃ বর্তমানে সারা বিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মূল্য অনেক বেশি। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্রতি মাসের লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কোন ল্যাপটপ বা ডেক্সটপে প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে আপনি খুব সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। অনেকেই ধারণা করে থাকেন মোবাইলে দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করা সম্ভব নয়।

তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল, কারণ বেশ কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ আছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে খুব সহজে করা যায়। কিছু কিছু গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ আছে যেগুলো মোবাইলে করা যায় না। তবে আপনি যদি দক্ষ হন এবং আপনার হাতে একটি ভালো মোবাইল ফোন থাকে তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক কাজেই মোবাইলে মাধ্যমে করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কিছু অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে যেগুলো বিনামূল্যে প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করা যায়।
 
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য যেসব অ্যাপস প্রয়োজন হবেঃ
  • Pexellab
  • Picsart
  • Canva pro
  • Camtasia
  • Photopia
  • Adobe Photoshop CC
৯. সিপিএ মার্কেটিং করেঃ সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ কিছুটা এফিলেট মার্কেটিং এর মতই। আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। যদিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত ইনকাম হবে না তবে এখান থেকেও বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ মূলত বিভিন্ন কোম্পানির নির্দিষ্ট কিছু কাস্টমারের তথ্য সংগ্রহ করা। এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হবে।

সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিয়ে ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ করতে হয়। কোন প্রকার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ছাড়া এ কাজটি খুব সহজে করা যায়। তবে এ কাজে অন্যান্য কাজের চেয়ে একটু সময় বেশি দিতে হয়। সারা বিশ্বে সিপিএ মার্কেটিং এর প্রচুর কাজ রয়েছে।আপনি মোবাইলের মাধ্যমে এই কাজটি শিখে সহজেই প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ব্যক্তি যত বেশি দক্ষ হবে তার ইনকাম তত বেশি হবে।

১০. ট্রান্সলেট করেঃ মোবাইলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ট্রান্সলেট এর কাজ করে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এই কাজের সবচেয়ে সুবিধা হল আপনি যে কোন জায়গায় যেকোনো সময় বসে মোবাইলের মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারবেন। ট্রান্সলেট কথাটি শুনলে আমরা বুঝতে পারি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করতে হবে। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার নিজের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা খুবই কম বোঝেন।

তাই তারা অন্য ভাষা জানার জন্য ট্রান্সলেট সাইট এর সহযোগিতা নিয়ে থাকে। আর ট্রান্সলেটর কাজটি  ফ্রিল্যান্সিং সাইটে দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ট্রান্সলেট এর কাজ করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন মুভি নাটক এগুলোতে নিজস্ব ভাষা ব্যতীত অন্যান্য ভাষা ব্যবহার করা হয়। এরকম বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ট্রান্সলেট করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি

আপনারা অনেকেই জানতে চান বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি। আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং এর যেসব কাজ করা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজটা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এই কাজটি শেখা যেমন কঠিন তেমনি এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং-এ বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখানো হয়। আপনি অন্যান্য কাজ শিখে যেকোনো একটি কাজ করতে পারবেন।

আর ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে আপনি একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।যেমন ওয়েব ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এরকম বিভিন্ন ধরনের কাজ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে শেখা যায়। তাই আপনি যদি সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ ভালোভাবে শিখতে পারেন। তাহলে এখান থেকে আপনি নিশ্চিত ভাবে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো। কারণ ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত পেশা। এই কাজ করার জন্য কোন অফিসের প্রয়োজন নেই বা কোন বসের প্রয়োজন নেই। ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্নভাবে শেখা যায়। এর মধ্যে একটি হলো ফ্রি শেখা যায় আর অন্যটি হলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টাকা দিয়ে কোর্স করে শেখা যায়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারবেন।যেমন আপনি ইউটিউবে বা ফেসবুকে কনটেন্ট আপলোড দেওয়ার জন্য কিভাবে ভিডিও এডিটিং করতে হয় সে সম্পর্কে ফ্রি জানতে পারবেন ইউটিউবের মাধ্যমে। এভাবে আপনি প্রায় সবগুলো কাজেই প্রাথমিকভাবে ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে শিখতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং সঠিকভাবে এবং নির্ভূল ভাবে শেখার জন্য।

আপনাকে একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে নিকট ভর্তি হতে হবে। তবে আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ভুয়া প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। যেখানে ফ্রিল্যান্সিং এর নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। তার মানে আবার এই নয় যে সবগুলো প্রতিষ্ঠান একই। আপনারা যে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পূর্বে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপর ভর্তি হতে হবে। এভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ শিখতে পারবেন।

কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি

যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে চান তাদের প্রত্যেকের মনে একটি কমন প্রশ্ন থাকে আর তা হলো কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে। প্রতিটি কাজ থেকেই টাকা ইনকাম করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় তিন ধরনের কাজ থেকে। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এনালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। এই তিনটি কাজের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।

যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রায় সব ধরনের কাজ জানে। ওয়েব ডিজাইন থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট তৈরি কন্টেন রাইটিং, ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিও এডিটিং, এসইও সহ সব ধরনের কাজ জানা থাকে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের। তাই বলা যায় এই কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি।

দ্বিতীয় যে কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি সেটি হচ্ছে ডাটা এনালিটিক্স। বর্তমানে এই কাজটি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় এই কাজ করার মত লোক সারা বিশ্বে খুবই কম রয়েছে। তাই যদি আপনার এই বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এবং বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী জানা যায় ভবিষ্যতে এই কাজটির চাহিদা আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে এবং দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবে।

তৃতীয় ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজটি করে বেতন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তা হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।এখন সারা বিশ্বে প্রায় প্রতিটি ব্যবসা অনলাইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আর অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করতে ভার্চুয়াল অ‍্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। কারণ অনলাইনে যারা ব্যবসা করেন তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সব সময় একজন ভালো অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করে প্রতি মাসে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন দক্ষতা ভালো

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ আছে। সবগুলো কাজ থেকেই কম বেশি ইনকাম করা যায়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কোন দক্ষতা ভালো এই বিষয়ে আপনারা অনেকেই জানতে চান।বর্তমানে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ন একটি দক্ষতা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এই দক্ষতার মাধ্যমে আপনি যেমন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন তেমনি লোকালি প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ আছে।

অর্থাৎ বর্তমানে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদার দিন দিন বেড়েই চলছে।কারণ কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একই সঙ্গে অনেকগুলো কাজ করা যায়। অন্যান্য সেক্টরে যেকোনো একটি কাজ শিখতে বা করতে হয়। কিন্তু একজন ডিজিটাল মার্কেটার একইসঙ্গে একাধিক কাজ জানেন বা করতে পারেন। তাই দিন দিন এই কাজে চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে চলছে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার কি কি কাজ করতে পারে চলুন জেনে নেই।

  • এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন( SEO)
  • ওয়েব ডিজাইন ( Web Design)
  • এস ই এম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • কনটেন্ট ক্রিয়েট (Content Create)
  • কনটেন্ট মার্কেটিং ( Content Marketing) 
  • কন্টেন্ট রাইটিং ( Content Writing)
  • এস এম এম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • ইমেইল মার্কেটিং( Email Marketing)
  • ভিডিও মার্কেটিং (Video Marketing)
  • এফলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing)

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কোন কাজ করা যায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কোন কাজ করা যায়

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যেসব কাজ আছে সেসব কাজের মধ্যে বেশিরভাগ কাজই মোবাইল এর মাধ্যমে করা যায়। এক্ষেত্রে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি অবশ্যই ভালো কনফিগারেশন সমৃদ্ধ হতে হবে। তবে কিছু কিছু কাজ আছে যেমন ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এসব কাজের ফাইনাল পর্যায়ে এসে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর প্রয়োজন হয়। তাছাড়া অন্য অন্য অনেক কাজ আপনি মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কোন কাজ করা যায়ঃ
  • ভিডিও কনটেন্ট তৈরি
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ওয়েব ডিজাইন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • সিপিএ মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • কপি পেস্ট
  • ফেসবুকে পেজ তৈরি করে

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং করে মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত একটি মাধ্যম হলো পেপাল। কিন্তু পেপাল আমাদের দেশে ব্যবহারের অনুমতি নেই। তাই এর বিকল্প হিসেবে আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো পায়োনিয়ার। এর মাধ্যমে খুবই সহজে এবং অতি দ্রুত পেমেন্ট পাওয়া যায়। যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে ঢুকতে চান তারা এই বিষয়টি মাথায় রাখতে পারেন। কারণ আপনি যখন পেমেন্ট নিবেন তখন আপনাকে এই মাধ্যমের প্রয়োজন হবে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা যায়?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ অবশ্যই করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং জগতের যেসব কাজ আছে এর মধ্যে প্রায় সব ধরনের কাজই মোবাইল দিয়ে করা যায় কিন্তু যদি কোন বড় কাজ বা হাই কনফিগারেশন সমৃদ্ধ কাজ করতে হয় সেই ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এর প্রয়োজন হয়। তাছাড়া বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনগুলোর কনফিগারেশন ভালো থাকায় প্রায় সব ধরনের কাজ মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। তবে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর মাধ্যমে প্রতিটি কাজ সাবলীল ভাবে ভাবে করা যায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা যায় কিনা?
মোবাইল ফোন দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা যায় কিনা আপনারা অনেকেই জানতে চান।মোবাইল ফোন দিয়ে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা যাবে। এর জন্য আপনাকে ভালো কনফিগারেশন সমৃদ্ধ ফোন কিনতে হবে অর্থাৎ আপনার ফোনের রেম হতে হবে ৬ জিবি এর উপরে।প্রসেসর হতে হবে ২.৫ গিগাহার্জ এর উপরে। তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন।তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে আপনি যতটা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারবেন, মোবাইলে কাজ করাটা তারচেয়ে অনেক কঠিন হবে।

ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়?
ঘরে বসে অবশ্যই অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর অর্থই হলো আপনি ঘরে বসে আপনার পণ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রয় করা। আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সেক্টরে যেমন facebook, youtube, টিক টক এরকম জায়গায় আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে গ্রাহকরা আপনার নিকট পণ্য ক্রয় করবে। যেটা আপনি ঘরে বসে নিশ্চিতভাবে করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি ভালো ক্যারিয়ার? 
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভালো এবং স্বাধীন একটি পেশার নাম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এই কাজ করতে যেয়ে আপনাকে কোনো অফিসে যেতে হবে না বা কোনো বসের আন্ডারে কাজ করতে হবে না। আপনি ঘরে বসে আপনার ইচ্ছামত কাজ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন। তাহলে এই সাইট থেকে আপনি প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আমাদের দেশের এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা এই সেক্টর থেকে প্রচুর টাকা আয় করছেন।

ফ্রিল্যান্স লেখালেখির বেতন কি ভালো?
ফ্রিল্যান্সিং জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট লেখালেখি সাইট বা কন্টেন রাইটিং। আমাদের দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। যেখানে বাংলা ও ইংলিশ সহ অন্যান্য বিভিন্ন ভাষায় কন্টেন্ট এর প্রয়োজন হয়। আর এসব কন্টেন্ট লেখার জন্য একজন কন্টেন্ট রাইটার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে যে পরিমাণ রাইটার প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণে রাইটার রয়েছে। তাই লেখালেখি চাকরি করে বর্তমানে অনেক টাকা বেতন পাওয়া যায়।

শেষ কথাঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে রাখুন

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ১০টি কৌশল জেনে নিন সম্পর্কে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক হাই কনফিগারেশন সমৃদ্ধ মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। যেগুলো দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক কাজ করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কোন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর প্রয়োজন হবে না। নিশ্চয় উপরে আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য।

মোবাইল দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন যেমন- কন্টেন্ট রাইটিং, কন্টেন্ট তৈরি, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি, ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, টিকটক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সিপিএ মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এরকম অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে আপনি যে কোন একটি কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

উপরে যে কাজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো সেই কাজগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আমার পরামর্শ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই ভালো একটি কাজ। ভবিষ্যতে এই কাজের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে। আর আপনি মোবাইলের মাধ্যমে সহজে করতে পারবেন। তাই যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং জগতে ঢুকতে চান তারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ এরকম পোস্ট পাবলিশ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url