আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় - ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের দেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী
জানতে চায়। কারণ আমেরিকার স্কলারশিপ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বপ্নের
মত। তাই কিভাবে আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া যায় এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে
এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
এ আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে আপনারা আরও জানতে পারবেন আমেরিকায় ফুল
ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪ সম্পর্কে ও আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
সম্পর্কে। আমেরিকা স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে ও সর্বশেষ জানতে পারবেন
আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার খরচ কত।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় - ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
- ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে
- ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি
- আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার খরচ কত
- আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী
- আমেরিকায় কি 100% স্কলারশিপ পাওয়া যায়
- আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার সহজ উপায়
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আমাদের দেশের এমন অনেক ছাত্রছাত্রী আছেন যারা আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার
উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য
কারণ এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। চলুন তাহলে এই
সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক। আমেরিকা হলো সর্ব দিক
থেকে বিশ্বের এক নম্বর দেশ। শিক্ষা, ক্ষমতা, সামর্থ,
অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে
আমেরিকা।
তাইতো আমাদের দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর আমেরিকাতে কলারশিপ
নিয়ে পড়াশোনার ব্যাপক আগ্রহ আছে। কিন্তু চাইলেই কি আমেরিকায়
স্কলারশিপ পাওয়া যায়। কারণ প্রতি বছর আমেরিকাতে সারা বিশ্ব থেকে
কয়েক লক্ষ স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করে। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর কয়েক
হাজার ছাত্রছাত্রী আবেদন করে থাকে। এর মধ্যে থেকে যাচাই বাছাই করে প্রতিবছর
কয়েকজনকে সুযোগ দেওয়া হয়।
যারা সুযোগ পায় তারা ভবিষ্যতে এখান থেকে ভালো কিছু করতে পারে। কিন্তু এখন
প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে সহজে আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া যায় অথবা স্কলারশিপ
পাওয়ার উপায়। আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু বিষয়ে আপনাকে
তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। তাহলে আপনি আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ
পাবেন। আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়ে আপনাকে নজর
রাখতে হবে চলুন সে বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
১. ভালো একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডঃ আমেরিকার মতো স্বপ্নের দেশে কলারশিপ
নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য খুব ভালো একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড প্রয়োজন। কারণ
যেমন তেমন একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমেরিকায় স্কলারশিপের কাতারে আপনি
দাঁড়াতে পারবেন না। তাই হাজার হাজার স্কলারশিপ প্রত্যাশীদের মধ্যে আপনি
স্কলারশিপ পেতে চাইলে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুবই শক্তিশালী করতে হবে।
কঠিন অধ্যবসয়ের মাধ্যমে ভালো সার্টিফিকেট পাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে ইংরেজিতে খুব
ভালো দক্ষ হতে হবে। তাই আমেরিকা স্কলারশিপ নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে এই লেভেল
থেকে আপনাকে ইংরেজিতে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ভালো জিপিএ থাকার
পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন ব্যক্তির বিশেষ করে যারা স্কলারশিপ করছেন নিকট
থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।যেগুলো যেগুলো তথ্য আপনাকে
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সাহায্য করবে।
২. প্রস্তুতি গ্রহণ করুনঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য
আপনাকে পূর্ব থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কারণ
প্রয়োজনের সময় অনেক কিছু হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। তাই যে কাগজপত্রগুলো
প্রয়োজন সেগুলো আগে থেকেই গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। কোন সময় স্কলারশিপের
জন্য সার্কুলার দেয়া হয় সে বিষয়ে তথ্য নিন। সার্কুলার দেওয়া মাত্রই যেন
আপনি প্রথমে আবেদন করতে পারেন।
কারণ প্রথমে আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনজরে থাকা যায়। পরবর্তীতে আবেদন
করার ফলে অনেক আবেদন ফরমের মাঝে আপনার মূল্যায়ন নাও হতে পারে। অথবা সময়
আছে আবেদন করব এমন মনে করতে করতে দেখা যেতে পারে শেষ সময়ে সার্ভার ডাউন হওয়ার
কারণে আপনি আবেদন করতেই পারলেন না। তাই আপনাকে অন্ততপক্ষে ছয় মাস পূর্ব
থেকে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
৩. IELTS/TOEFL/GRE এর প্রস্তুতি গ্রহণ করুনঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ এ
আবেদন করার জন্য IELTS/TOEFL/GRE এর স্কোর প্রয়োজন হয়। আমি দেখেছি
এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ভাবছেন আরো অনেক সময় আছে আর একটু পরে করি, দেখা যায়
পরবর্তী সময়ে এসে এর স্কোর পাওয়া গেলেও এপ্লিকেশনের ডেডলাইন পার হয়ে
যায়। তাই আর দেরি না করে এখনই IELTS/TOEFL/GRE এর প্রস্তুতি গ্রহণ
করুন।
৪. আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোঁজখবর রাখুনঃ আপনি কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশুনা করতে চান এ বিষয়ে আপনাকে পূর্ব
থেকেই খোঁজ খবর রাখতে হবে। এর জন্য অবশ্য আপনাকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
খোঁজখবর নিতে হবে। কারণ আপনি চাইলে যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ
নাও পেতে পারেন। আপনাকে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চয়েস
দিতে হবে।
এর মধ্য থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে স্কলারশিপ দিবে সেখানে আপনাকে পড়াশোনা
করতে হবে।এইজন্য পূর্ব থেকে আপনাকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে যে, আপনি কোন ধরনের
বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন। সেগুলো আগে থেকে খোঁজ খবর রাখলে আপনি
খুব সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন স্কলারশিপ নেওয়ার বিষয়ে। না হলে শেষ সময়
গিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করবেন এটা চিন্তা ভাবনা করতে আপনার অনেক সময়
নষ্ট হতে পারে।
৫. ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণঃ সাধারণত নভেম্বর,
ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি এই তিন মাসের মধ্যে আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য
আবেদন করতে হয়। আবেদন করার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। যে
কাগজগুলো আপনার প্রস্তুত আছে কিনা ভালো করে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভর্তি
প্রক্রিয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- Statement of purpose নামক একটি রচনা
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- টোফেল স্কোর
- গ্রী বা জিমেট স্কোর (Gre/Gmate Score)
৬. ভালোভাবে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (Statement of purpose) তৈরি করাঃ আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য স্টেটমেন্ট অফ পারপাস নামক একটি রচনা
প্রয়োজন হয়। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস(Statement of purpose) হল নিজের
সম্পর্কে কিছু বর্ণনা যাকে সংক্ষেপে SOP বলা হয়। এটি খুব ভালোভাবে তৈরি করতে
পারলে সহজেই স্কলালশিপ পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ভাষাগত এবং অদক্ষতার
কারণে অনেকেই ভালোভাবে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস তৈরি করতে পারে না।
আবার কেউ কেউ অন্যর স্টেটমেন্ট অফ পারপাস হুবহু কপি করে তৈরি করেন যেটা
মোটেও ঠিক নয়।আপনি একাধিক স্টেটমেন্ট অফ পারপাস সংগ্রহ করে সেখান
থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। কিন্তু হুবহু কপি করার কারণে অনেক
ছাত্রছাত্রী আমেরিকা স্কলারশিপের সুযোগ পায় না। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক
স্টেটমেন্ট অফ পারপাস তৈরি করতে যে বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
- আপনার নিজের সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা লিখতে হবে
- নিজের আগ্রহ সম্পর্কে লিখতে হবে
- আপনি কেন স্কলারশিপ নিতে চান সে সম্পর্কে লিখতে হবে
- আপনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়াশোনা করতে চান সংক্ষেপে লিখতে হবে
- যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবেন সেটা কেন আপনার ভালো লাগে
- আপনি কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চান এবং কেন করতে চান তা সংক্ষেপে লিখতে হবে
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে লিখতে হবে
- আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখতে হবে
৭. মানসম্মত রিকমেন্ডেশন লেটার তৈরি করতে হবেঃ আমেরিকার
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রিকমেন্ডেশন লেটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরে নেওয়া
হয়। এটি আপনার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন একজন শিক্ষকের নিকট থেকে নিতে
হয়। যিনি একটি চিঠি লিখবেন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় এর উদ্দেশ্যে। সে
চিঠিতে উল্লেখ থাকবে ওই ছাত্রকে উনি খুবই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, ওনার
পড়াশোনার মান, গবেষণা করার সামর্থ্য ও যোগ্যতা আছে কিনা, এরকম অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ থাকবে।
আমাদের দেশ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার পরে বেশ কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত
হয়। যে সমস্যা গুলোর কারণে অনেক সময় আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
এই রেকমেন্ডেশন লেটার এর গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। তাই রিকমেন্ডেশন
নেওয়ার পূর্বে যে বিষয়গুলো আপনার জানা থাকা জরুরী। চলুন সেই বিষয়ে
সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ
কানাডা জব ভিসা ২০২৩ আবেদনের নিয়ম ও খরচ
আমাদের দেশের শিক্ষকেরা রিকমেন্ডেশন লেটার নিজে লিখতে চান না, তারা ওই ছাত্রদের
দ্বারাই লিখে নেন, যার ফলে একজন অনভিজ্ঞ ছাত্র তার নিজের সম্পর্কে বেশি
লেখে, যেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহজে বুঝতে পারে, যার ফলে এই রেকমেন্ডেশন
লেটার কাজে আসে না। তাই চেষ্টা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের দ্বারা
রিকমেন্ডেশন লেটার লিখে নেওয়ার জন্য।
৮. কিছু টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করে রাখাঃ পড়াশোনা অবস্থায় ইংরেজিতে
ভালো দক্ষতা অর্জন করার জন্য ভর্তি হতে হয় বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে।সেখানে IELTS/TOEFL/GRE করার জন্য প্রায় ২০-৩০ হাজার
টাকা খরচ হয়। মনে করেন আপনি প্রথমে ভর্তি হলেন কিন্তু আপনার স্কোর ভালো হলো
না। তাহলে আপনাকে আমারও ভর্তি হয়ে স্কোর ভালো করতে হবে। মনে রাখবেন
আমেরিকাতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে IELTS/TOEFL/GRE এর স্কোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে ভালো স্কোর করার জন্য আপনার বেশ কিছু টাকা খরচ হতে পারে। যেটা
আপনাকে আগে থেকে জোগাড় করে রাখতে হবে। এছাড়াও আপনি আমেরিকাতে স্কলারশিপ
নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরে বাড়তি কিছু খরচ আছে। যেগুলোর জন্য আপনাকে বাড়তি
কিছু টাকা সঙ্গে নিয়ে রাখতে হবে। কারণ স্কলারশিপ শুধুমাত্র কলেজ ফি এবং
টিউশনি ফি এর জন্য দেওয়া হয়। বাকি খরচ তো আপনাকে নিজের টাকায় করতে
হবে।
৯. প্রফেসরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাঃ আপনি আমেরিকার যেসব
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চান সেসব ইউনিভার্সিটি এর প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ
রাখতে পারলে খুবই ভালো হয়। কারণ আগে থেকে যোগাযোগ করে আপনার সিভি তাদেরকে
দেখালে তারা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিতে পারবে।যেটা আপনার স্কলারশিপ
পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসবে। আপনি ইমেইলের মাধ্যমে অথবা
যে কোন মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা
করতে হবে।কারণ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় বাংলাদেশী
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের রিকোমেন্ডেশন লেটার প্রয়োজন হবে। যদি আপনি
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ আগে থেকে রাখেন তাহলে তারা আপনার জন্য
খুবই সুন্দরভাবে একটি রেকমেন্ডেশন লেটার তৈরি করে রাখবেন। তা না হলে পরে
যেয়ে হুট করে রিকমেন্ডেশন লেটার চাইলে সেটা আপনার জন্য ভালো না হতে পারে।
১০. পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত কার্যকলাপঃ আমেরিকায়
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধুমাত্র পড়াশোনার উপরেই কলারশিপ দেওয়া হয়
না। পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত কিছু কার্যকলাপের উপরেও কলারশিপ দেওয়া হয়
যেমন-খেলাধুলা, সংগীত, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এরকম অনেক বিষয়ে স্কলারশিপ দেওয়া
হয়।তাই যদি আপনার এগুলো বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে
স্কলারশিপ বাবদ ভালো টাকা পেতে পারেন।
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪
আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার বিষয়ে উপরে উল্লেখিত বিষয় থেকে আপনারা জানতে
পারলেন কিন্তু ফুল ফ্রী স্কলারশিপ ২০২৪ সম্পর্কে আপনি জানেন
কি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চলুন তাহলে
আমেরিকাতে স্কলারশিপ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।আমেরিকাতে
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভালোভাবে
নজর রাখতে হবে।
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪ পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলোর উপরে নজর রাখতে
হবেঃ
১. আবেদনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণঃ ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়ার
জন্য আপনাকে সঠিকভাবে আবেদনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ
আবেদনের সময় যে কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলোকে আপনাকে আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে
হবে।
২. সবার আগে আবেদন করতে হবেঃ মনে রাখবেন আমেরিকাতে ফুল ফ্রি
স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সর্বপ্রথম
যারা আবেদন করেন তাদের সিভি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুব ভালোভাবে
পর্যবেক্ষণ করে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় আগে আবেদন করার কারণে ফুল ফ্রী
স্কলারশিপ পাওয়া যায়। কারণ পরবর্তী সময়ে অনেক আবেদন পড়ে যেগুলো
প্রত্যেকটা ওভাবে আর দেখার সুযোগ পায় না। তাই সবার আগে আপনি আবেদন করবেন এই
প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
৩. IELTS/TOEFL/GRE স্কোর ভালো হতে হবেঃ আমেরিকার
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে IELTS/TOEFL/GRE এর ভালো স্কোরকে বেশি মূল্যায়ন
করা হয়। অর্থাৎ আপনার যদি IELTS/TOEFL/GRE এর ভালো স্কোর থাকে তাহলে
আপনার ফুল ফ্রী স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।তাই যেভাবে হোক অথবা
যতবার কোর্স করে হোক না কেন IELTS/TOEFL/GRE এই সাইটে আপনাকে ভালো স্কোর
অবশ্যই করে রাখতে হবে ফুল ফ্রী স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য।
৪. ভালোভাবে Statement of purpose তৈরি করতে হবেঃ Statement of
purpose হল আপনার নিজের সম্পর্কে ও আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটি
স্টেটমেন্ট তৈরি করা। যদি আপনি ভালভাবে Statement of purpose তৈরি করতে
পারেন তাহলে আমেরিকাতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।এক্ষেত্রে বলে
রাখা ভালো এমন ভাবে Statement of purpose তৈরি করতে হবে জেনো সেটা
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভালো লাগে।
৫. সুন্দরভাবে রিকমেন্ডেশন লেটার তৈরি করতে হবেঃ আমাদের দেশে
ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের নিকট থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার তৈরি করে নিতে
পারেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই তৈরি করে।এতে করে দেখা যায় তারা
নিজের সম্পর্কে বেশি লেখে। যেটা মোটেও ভালো রিকমেন্ডেশন লেটার নয়।তাই
চেষ্টা করতে হবে শিক্ষকদের নিকট থেকে সুন্দর করে একটি রেকমন্ডেশন লেটার তৈরি করে
নেওয়ার জন্য। যা আপনাকে আমেরিকাতে ফুল ফ্রী স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সাহায্য
করবে।
৬. আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে নিতে হবেঃ আপনি কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান এমন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে আগে থেকেই
বাছাই করে নিতে হবে। কারণ আমেরিকাতে প্রায় চার হাজার বিশ্ববিদ্যালয়
আছে। যদি আপনি আগে থেকে বাছাই করে নিতে পারেন, তাহলে আপনি সেই ভাবে
প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন। যার ফলে আপনার ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়ার
সুযোগ বেশি থাকবে।
৭. প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবেঃ আপনি যেসব
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চান সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে
হবে।এতে করে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা ফুল ফ্রি
স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখবে। কারণ যদি আগে থেকেই আপনাকে
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু-একজন প্রফেসর জানে তাহলে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়ার
সহজ হয়।
৮. কিছু টাকা-পয়সা জোগাড় করে রাখতে হবেঃ আমেরিকায় থেকে
পড়াশোনা করার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার পরে আপনার থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য
আনুষাঙ্গিক খরচ করার জন্য কিছু টাকা পয়সা আপনাকে অবশ্যই যোগাড় করে রাখতে
হবে। শুধুমাত্র স্কলারশিপ এর উপর নির্ভর করে গেলে আপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই অল্প কিছু টাকা-পয়সা সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
৯. শক্তিশালী একাডেমিক প্রোফাইল থাকতে হবেঃ প্রতিবছর আমাদের দেশ
থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আমেরিকায় ফুল ফ্রি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে
থাকেন। এর মধ্যে যাদের একাডেমিক প্রোফাইল ভালো তাদের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ
পাওয়ার সুযোগ বেশি। তাই আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে একাডেমির প্রোফাইল
ভালো করতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কঠিন অধ্যাবসায় করতে হবে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার
যোগ্যতা সম্পর্কে। আমেরিকা হল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের
জন্য স্বপ্নের মত একটি দেশ। কারণ এই দেশ শিক্ষা শক্তি সামর্থ্য
অর্থনীতি সকল দিক থেকে অন্যান্য সকল দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। এই দেশে
পড়াশোনা ও গবেষণাগার মান খুবই ভালো। তাই সবাই চায় এ দেশে স্কলারশিপ নিয়ে
পড়াশোনা করার জন্য। কিন্তু আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা কি সে
সম্পর্কে সঠিক তথ্য অনেকেই জানা নেই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতাঃ
- আপনাকে বাংলাদেশের উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম, দশম শ্রেণী বা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি থাকতে হবে।
- যেসব বাংলাদেশী বিদেশে অধ্যানরত আছেন তারা আমেরিকায় স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
- একাডেমিক ফলাফল খুবই শক্তিশালী থাকতে হবে।
- IELTS/TOEFL/GRE এর স্কোর খুবই ভালো হতে হবে।
- পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়ে ভালো দক্ষতা হবে।
- ভালো মানের Statement of purpose থাকতে হবে।
- মানসম্মত রিকমেন্ডেশন লেটার থাকতে হবে।
- আপনি কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চান সে বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে
আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে অনেক ছাত্রছাত্রী সঠিক
তথ্য জানেনা। তাই তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে বিভিন্ন রকম
প্রশ্ন করে থাকেন। আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র
প্রয়োজন হয় ও কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হয়। যেগুলো আগে থেকে জানা থাকলে
সহজেই আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। চলুন তাহলে সেই বিষয়গুলো জেনে
নেওয়া যাক।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগেঃ
- আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সর্বশেষ আপনি বাংলাদেশের যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত আছেন তার একটি সার্টিফিকেট।
- আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো হতে হবে। অর্থাৎ গ্রেড পয়েন্ট যত ভালো হবে তত আপনার জন্য সুযোগ বেশি থাকবে।
- IELTS/TOEFL/GRE এর স্কোর খুবই ভালো থাকতে হবে। কারণ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
- Statement of purpose খুবই ভালো হতে হবে। কারণ এখানে আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বিশেষ করে আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখানে উল্লেখ থাকবে। তাই Statement of purpose ভালো হলে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
- আকর্ষণীয় রিকমেন্ডেশন লেটার থাকতে হবে। কারণ এখানে আপনার চারিত্রিক, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা দক্ষতা সম্পর্কে আপনার শিক্ষক বিস্তারিত লিখবেন। তাই এটা যত ভালো হবে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ তত বেশি হবে।
ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি
ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি এই সম্পর্কে আপনার অনেকেই জানতে
চান। স্কলারশিপ আপনারা অনেক শুনেছেন কিন্তু ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ
কি এই সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অনেকে জানে না। চলুন তাহলে এই বিষয়ে সংক্ষেপে
জেনে নেওয়া যাক। ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ হলো আপনার পড়াশোনার জন্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ, টিউশনি খরচ, থাকা-খাওয়াত খরচ, প্লেন ভাড়া বাবদ
খরচ এরকম যাবতীয় খরচকে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ বলা হয়।
অর্থাৎ আপনি যদি বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী হন এবং ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ
নিয়ে আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যান তাহলে পড়াশোনা শেষ করা পর্যন্ত
আপনার বাড়তি কোন টাকা প্রয়োজন হবে না। ওখানে থাকা-খাওয়া পড়াশোনা সহ
যাবতীয় সকল খরচ ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। তাই যদি বাংলাদেশের
কোন শিক্ষার্থী ফুলফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তিনি নিশ্চিন্তায় সম্পন্ন
খরচবিহীন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে পারবেন।
আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার খরচ কত
বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী আমেরিকায় যেয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য চেষ্টা করে
থাকেন। কারণ শিক্ষার দিক থেকে আমেরিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনেক
এগিয়ে। সেই সাথে এ দেশের জীবনযাত্রা মানে অনেক বেশি উন্নত। তাই
স্বাভাবিক কারণে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করার জন্য অনেক বেশি
টাকা খরচ হয়। যেমন স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার
ডলার খরচ হয় ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
অর্থাৎ বছরে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। যা আমাদের দেশের
শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কষ্টকর। তবে আমেরিকাতে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়
আছে যেখানে খরচ কিছুটা কম। এছাড়াও আপনি যদি স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন
তাহলে সেক্ষেত্রে খরচ একেবারে কম। কিন্তু স্কলারশিপ নিয়ে না গেলে আপনাকে
প্রতি মাসে অনেক টাকা গুনতে হবে পড়াশোনার পেছনে। তবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির
জন্য খরচ কিছুটা কম।
আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী
আমেরিকা হল এমন একটি দেশ যেখানে আপনি উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি ছোটখাটো পার্ট
টাইম চাকরি করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি মনে করেন আমি পড়াশোনার পাশাপাশি
কিছু টাকা পয়সা ইনকাম করবো। তাহলে আপনি অনায়াসেই সেখানে বিভিন্ন ধরনের
পার্ট টাইম জব পাওয়া যায় যেগুলো আপনি করতে পারবেন। এতে করে খুব বেশি টাকা
না আসলেও আপনার পড়াশোনার খরচ মোটামুটি এখান থেকে চালাতে পারবেন।
আমেরিকায় কি 100% স্কলারশিপ পাওয়া যায়
আপনারা অনেকেই জিজ্ঞেস করেন আমেরিকায় কি 100% স্কলারশিপ পাওয়া যায়। অবশ্যই
১০০% স্কলারশিপ পাওয়া যায় যাকে বলা হয় ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ। তবে এই
ধরনের স্কলারশিপ এর সংখ্যা খুবই কম। যদি আপনি অনেক বেশি ভাগ্যবান হন
তাহলে এ ধরনের স্কলারশিপ পেতে পারেন। তবে এই ধরনের স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য
আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি আমেরিকাতে ১০০% স্কলারশিপ পেতে
পারেন।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়া কি সহজ?
আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়া কোনভাবেই সহজ নয়। কারণ আমেরিকার
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পরিমাণ স্কলারশিপ দেওয়া হয় তার চেয়ে কয়েক গুণ
শিক্ষার্থীর আবেদন পড়ে। সেখান থেকে অনেক যাচাই-বাছাই করে কয়েকজনকে
স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যদি আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো
থাকে, IELTS/TOEFL/GRE এর স্কোর যদি ভাল থাকে। পরীক্ষায় যদি আপনি
ভালো করেন সেক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ থাকে তবে এটা মোটেও সহজ বিষয় নয়।
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ কিভাবে পাবো?
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে সময় মত আবেদন করতে
হবে। IELTS/TOEFL/GRE এর উপর ভালো স্কোর থাকতে হবে। একটি ভালো মানের
Statement of purpose থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
দ্বারা একটি আকর্ষণীয় রেকমন্ডেশন লেটার থাকতে হবে। একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড
খুবই ভাল থাকতে হবে। সবার আগে আবেদন করতে হবে তার নির্ভর করে আপনি স্কলারশিপ
পাবেন কিনা।
একজন সাধারণ শিক্ষার্থী কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এম এস করতে পারে?
একজন সাধারণ শিক্ষার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্যই এম এস করতে পারবে। যদি
তার একাডেমিক ফলাফল ভালো থাকে, এছাড়াও আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় এম এস করার জন্য
যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন, সেগুলো সবগুলো যদি একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছে থাকে
তাহলে তিনি অবশ্যই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এম এম এস করতে পারবে।
আমেরিকায় এম এস এর বয়সসীমা কত?
আমেরিকাতে এমএস করার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স লাগে না। আপনি যে কোন বয়সে
আমেরিকাতে গিয়ে এম এস কোর্স করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়
অনুযায়ী কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। অর্থাৎ সময় মতো আপনাকে ভর্তি হতে
হবে এবং সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।তাহলে আপনি যে কোন বয়সে আমেরিকাতে এম এস
করতে পারবেন।
আমেরিকায় পড়াশোনা করে কি চাকরি করা যায়?
আমেরিকাতে পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই চাকরি করা যাবে। কারণ এটি এমন একটি দেশ
যেখানে খুব সহজেই পার্টটাইম জব পাওয়া যায়। আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি
করে নিজে খরচ নিজেই জানতে পারবেন। তবে আমেরিকা চাকরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই
সৎ দক্ষ এবং পরিশ্রমী হতে হবে। কারণ আমেরিকাতে ফাঁকি দেওয়ার কোন সুযোগ
নেই। যদি আপনি সৎ এবং পরিশ্রমী হন তাহলে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতে
পারবেন।
শেষ কথাঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার সহজ উপায়
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ও
আমেরিকায় ফুল ফ্রী স্কলারশিপ ২০২৪ সম্পর্কে।আশা করি বিষয়গুলো আপনারা
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য প্রথমত আপনার
একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুবই ভালো হতে হবে। তাহলে আপনি আমেরিকাতে স্কলারশিপ
পেতে এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন। আর এজন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যাবসায়।
এছাড়াও আপনার IELTS/TOEFL/GRE স্কোর ভালো থাকতে হবে। অনেকেই এই
বিষয়ের উপর খুব বেশি গুরুত্ব দেন না। কিন্তু আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
এই বিষয়ের উপর খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যদি আপনার
IELTS/TOEFL/GRE এর উপর ভালো স্কোর থাকে তাহলে আপনি আরো একধাপ এগিয়ে
গেলেন স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। এছাড়াও Statement of purpose ও
রিকমেন্ডেশন লেটার ভালোভাবে তৈরি করে নিতে হবে।
এর সমস্ত কিছু আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করলে এবং ভালোভাবে তৈরি করলে আমেরিকাতে
স্কলারশিপ পাওয়া খুবই সহজ একটি বিশেষ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এর মধ্যে যদি
কোন একটি বিষয়ে আপনি একটু কম নজর দেন তাহলে আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া অনেক
কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি যদি স্কলারশিপ
পেতে চান তাহলে এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে
আমাদের এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url