ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন ইউরোপের
কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সালে ও সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় ২০২৪
সম্পর্কে। ভালোভাবে বোঝার জন্য এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন, ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে
পাওয়া যায় ও ইউরোপের কোন দেশ অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো। তাই
ভালোভাবে বোঝার জন্য আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
- ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
- সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় ২০২৪
- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
- ইউরোপের সবচেয়ে সহজ দেশ কোনটি
- ইউরোপের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
- ইউরোপের কোন দেশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো
- ইউরোপের কোন দেশ অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো
- ইউরোপের সস্তা দেশ কোনটি
- ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
আপনারা অনেকেই জানতে চান ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সালে। বিশেষ
করে যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করার জন্য বা কাজের জন্য যেতে চান তারা এই
বিষয়টি জানতে আগ্রহী। চলুন তাহলে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া
যাক। ইউরোপ হলো সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি মহাদেশ। যেখানে
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের অনেক মানুষ ভ্রমণ করতে চায়।
আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ শ্রমিক ভিসায় ইউরোপে যেতে চায়। কারণ ইউরোপে
কাজের পারিশ্রমিক যেমন বেশি তেমনি ইউরোপে নিরাপদে বসবাস করা যায়, অর্থাৎ
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কাজের পরিবেশ খুবই ভালো। ভ্রমণ করতে অথবা শ্রমিক
ভিসায়, আপনি যে ভিসা নিয়ে যান না কেন আপনাকে আগে জানা প্রয়োজন ইউরোপের
কোন কোন দেশের ভিসা বর্তমানে চালু আছে।
চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে
২০২৪
ক্রমিক নং | দেশের নাম | ভিসা চালু আছে কিনা |
---|---|---|
১ | ফ্রান্স | আছে |
২ | জার্মানি | আছে |
৩ | ইতালি | আছে |
৪ | স্পেন | আছে |
৫ | পোলান্ড | আছে |
৬ | পর্তুগাল | আছে |
৭ | নেদারল্যান্ড | আছে |
৮ | সুইডেন | আছে |
৯ | বেলজিয়াম | আছে |
১০ | ডেনমার্ক | আছে |
১১ | গ্রীস | আছে |
১২ | আইসল্যান্ড | আছে |
১৩ | নরওয়ে | আছে |
১৪ | স্লোভাকিয়া | আছে |
১৫ | আইল্যান্ড | আছে |
১৬ | মাল্টা | আছে |
১৭ | লিতুনিয়া | আছে |
১৮ | লুক্সেমবার্গ | আছে |
১৯ | লাটভিয়া | আছে |
২০ | হাঙ্গেরি | আছে |
২১ | চেক প্রজাতন্ত্র | আছে |
২২ | এস্তোনিয়া | আছে |
২৩ | বুলগেরিয়া | আছে |
২৪ | আবলেবেনিয়া | আছে |
২৫ | ক্রয়োশিয়া | আছে |
২৬ | মন্টিনিগ্রো | আছে |
২৭ | হার্জেগোভিনা | আছে |
২৮ | ম্যাসেডোনিয়া | আছে |
২৯ | কোসেভো | আছে |
৩০ | সার্বিয়া | আছে |
সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় ২০২৪
সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় ২০২৪ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান।
কারণ যারা ভ্রমণ ভিসায় অথবা শ্রমিক ভিসায় বিদেশ যেতে চান তাদের
প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য। সেটা যদি হয় সরকারিভাবে
তাহলে তো কোন কথাই নেই। ইউরোপের দেশগুলো হলো বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর
মধ্যে অন্যতম। ইউরোপে ভ্রমণ ভিসায় অথবা শ্রমিক ভিসায় যাওয়া খুবই নিরাপদ ও
স্বাচ্ছন্দ্যময়।
এজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে একবার হলেও ইউরোপ থেকে ঘুরে আসার জন্য।
ইউরোপে আপনি দুভাবে যেতে পারবেন, ১. সরকারিভাবে
২. বেসরকারিভাবে। বেসরকারিভাবে গেলে একদিকে যেমন খরচ অনেক বেশি পড়ে,
অন্যদিকে ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সরকারিভাবে গেলে খরচ খুবই কম
পড়ে এবং ঝুঁকির কোন সম্ভাবনা থাকে না। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জানা
প্রয়োজন সরকারে ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। চলুন এই বিষয়ে
তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের দেশ থেকে সরকারিভাবে ইউরোপে তিন ভাবে যাওয়া যায়। যেমন-
১.স্টুডেন্ট ভিসায়
২. শ্রমিক ভিসায়
৩. চাকরির ভিসায়
স্টুডেন্ট ভিসায়ঃ আমাদের দেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার একটি উপায় হচ্ছে
স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া। আপনি যদি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উন্নত মানের পড়াশোনা
করতে চান তাহলে আপনি সহজেই আমাদের দেশ থেকে ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা
করতে পারেন। ইউরোপে পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো চাকরিও করা যায়।
শ্রমিক ভিসায়ঃ আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ স্বপ্ন দেখে ইউরোপে
শ্রমিক ভিসায় যাওয়ার জন্য।কারণ ইউরোপে শ্রমিক ভিসায় গেলে ইনকাম যেমন বেশি হয়
তেমনি কাজের পরিবেশ খুবই ভালো। তাই সবাই স্বপ্ন দেখে ইউরোপে যাওয়ার
জন্য। তবে আপনি শ্রমিক ভিসায় আবেদন করে ইউরোপে যেতে পারবেন।
চাকরির ভিসায়ঃ আমাদের দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ইউরোপের
বিভিন্ন দেশে চাকরি করা যায়। ইউরোপে চাকরি করে সবচেয়ে বেশি মজা হলো ওখানে
আপনি বিভিন্ন ধরনের চাকরি করতে পারবেন। এবং ওইসব দেশের বেতন কাঠামো অনেক
ভালো। আপনি যে কোম্পানির হয়ে কাজ করতে চান সেই কোম্পানিতে
আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। এরপর তারা আপনার ভাইভা নেবে, পরীক্ষায়
পাশ হয়ে গেলে ওই কোম্পানি থেকে আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে।
ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদনের উপায়ঃ
ইউরোপের ভিসা নেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে খুঁজতে হবে কোন ওই দেশের দূতাবাস
কোথায় আছে। এরপর ওখানে গিয়ে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান সে দেশে ভিসার
জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ
জমা দিতে হবে। এরপর আমাদের দেশে থাকা ওই দেশের লোকজন আপনার ভাইভা
নেবে। পরীক্ষায় পাশ হয়ে গেলেই তারা আপনাকে ভিসা দেবে।
আরো পড়ুনঃ
প্রবাসি কল্যান ব্যাংক লোন নিয়ম
ইউরোপের ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজনঃ
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা মূল্য মানের একটি স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে।
- ভ্রমণ ভিসায় গেলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রাধান্য দেয়
ইউরোপের দেশগুলোকে। আমাদের দেশ থেকে ইউরোপের প্রায় ৫০টি দেশে যাওয়া যায়। তবে
এর মধ্য থেকে সব দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের
ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক কাঠ খড়ি পুড়তে হয়। তবে এর মধ্যে থেকে কিছু কিছু দেশের
ভিসা সহজে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা
সহজে পাওয়া যায়।
ইউরোপের যেসব দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়ঃ
- সুইজারল্যান্ড
- পর্তুগাল
- ফ্রান্স
- নেদারল্যান্ড
- মালটা
- হাঙ্গেরি
- লিথুনিয়া
- লাটভিয়া
- ডেনমার্ক
- ফিনল্যান্ড
- জার্মানি
- ইতালি
- সুইডেন
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় উপরে উল্লেখিত দেশগুলোতে ভিসা পাওয়া
কিছুটা সহজ। তাই যারা ইউরোপের ভিসা নিয়ে চিন্তিত তারা এই দেশগুলোতে সহজে
ভিসা নিয়ে যেতে পারেন।
ইউরোপের সবচেয়ে সহজ দেশ কোনটি
ইউরোপের সবচেয়ে সহজ দেশ কোনটি জানেন কি যদি না জেনে থাকেন তাহলে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।ইউরোপে সবচেয়ে সহজ দেশ হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। কারণ আমাদের দেশ
থেকে ক্রোয়েশিয়া হয়ে সহজেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করা
যায়। যদিও ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত ছিল না, সম্প্রতি
সেনজেন ভুক্ত হওয়ার কারণে আমাদের দেশ থেকে সহজেই ক্রোয়েশিয়া যাওয়া যায়।
ক্রোয়েশিয়া হয়ে আপনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ অথবা শ্রমিক হিসেবে যেতে
পারবেন। কারণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রোয়েশিয়া হয়ে
গেলে আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। এই জন্যই ইউরোপের সহজ দেশ বলা হয়
ক্রোয়েশিয়াকে। আপনি আমাদের দেশ থেকে খুব সহজে ক্রোয়েশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন
দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। নিশ্চয়ই আপনারা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ইউরোপের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
আপনারা অনেকেই জানতে চান ইউরোপের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়। চলুন এই বিষয়ে
পরিষ্কার ধারণা নেওয়া যাক। আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান সে
দেশের দূতাবাসে গিয়ে প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে। আবেদন করার কিছুদিন পরে তারা আপনাকে পরীক্ষা অথবা ভাইভার জন্য
ডাকবে। এরপর উনারা আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করবে যদি আপনি সঠিক উত্তর দিতে
পারেন, তাহলে তারা আপনাকে ভিসা দেওয়ার অনুমতি দেবে।
যদি আপনি ভ্রমণ বিষয়ে যেতে চান তাহলে উনারা আপনাকে সরাসরি কাগজপত্র জমা দিতে
বলবে। আপনি কাগজপত্র জমা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার ভিসা হয়ে যাবে। সেই
ভিসা নিয়ে আপনি ইউরোপ ভ্রমণ করতে পারবেন। আর যদি শ্রমিক হিসেবে যান তাহলে
আপনি কোন কোম্পানির হয়ে কাজ করতে চান সেই কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে। আপনার
আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে তাদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য একটি ভিসা পাঠানো হবে।
ইউরোপের কোন দেশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো
আমাদের দেশের অনেক স্টুডেন্টরা জানতে চায় ইউরোপের কোন দেশ বাংলাদেশি
শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো। যে দেশে পড়াশোনা করে ভালো ক্যারিয়ার করা
যায় সে দেশে সবাই পড়াশোনা করতে চায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে ইউরোপের
দেশগুলোতে সবচেয়ে উন্নত মানের পড়াশোনা করানো হয়, পাশাপাশি ওখানে বিভিন্ন ধরনের
চাকরির সুযোগও পাওয়া যায়। তাই আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি জানতে
খুবই আগ্রহী।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। সেই দিক বিবেচনা
করে সবাই চায় অল্প খরচে বিশ্বমানের পড়াশোনা করা যাবে কোন দেশে। ইউরোপের
এমন অনেক দেশ আছে যেখানে অল্প খরচে স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্বমানের পড়াশোনার
সুব্যবস্থা আছে। অল্প খরচে ইউরোপের প্রায় দশটি দেশে আমাদের দেশ থেকে সহজে
পড়াশোনা করা যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইউরোপের কোন দেশ বাংলাদেশের
শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো।
ইউরোপের কোন দেশ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো তাদের তালিকায়
এখনো দেওয়া হলোঃ
- জার্মানি
- নরওয়ে
- ফ্রান্স
- অস্ট্রিয়া
- তাইওয়ান
- তুরস্ক
- পোল্যান্ড
- মালয়েশিয়া
- গ্রীস
ইউরোপের কোন দেশ অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো
ইউরোপের কোন দেশ অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো চলুন জেনে নেওয়া
যাক। ইউরোপের অনেক দেশে আছে যেখানে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করা
যায়। তবে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে আপনি অদক্ষ হয়েও ভালোভাবে কাজ করতে
পারবেন এবং ভালো পারিশ্রমিক পাবেন। যেমন বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ। এই
দুটি দেশে অদক্ষ শ্রমিকদের বিভিন্ন কাজ দেওয়া হয় এবং সঠিকভাবে পারিশ্রমিক
দেওয়া হয়।
তবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি দেশ থেকে দক্ষ হয়ে তারপরে
বিদেশ যাবেন। অর্থাৎ আপনি বিদেশে গিয়ে কোন বিষয়ে কাজ করতে চান সে বিষয়ে
ট্রেনিং নিয়ে তারপরে যাবেন। এতে করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা আয়
করতে পারবেন। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্র আছে যেখানে আসলে
শ্রমিকের প্রচুর অভাব। সেখানে আপনি অদক্ষ শ্রমিক হয়েও বিভিন্ন ধরনের কাজ
পাবেন, এবং প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউরোপের সস্তা দেশ কোনটি
ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তিরা সবসময় জানতে চাই ইউরোপের সস্তা দেশ কোনটি। অর্থাৎ
সবচেয়ে কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে ভ্রমণ করা যায়। আমরা বেশিরভাগ মানুষ জানি
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু
ইউরোপের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে খুবই অল্প পরিমাণ টাকা খরচ করে ভালোভাবে ভ্রমণ
করা যায়। ইউরোপে সস্তায় যে দেশগুলো ভ্রমণ করা যায় এমন কয়েকটি দেশের তালিকা
এখানে দেওয়া হলো।
ইউরোপের সস্তা দেশ গুলোর তালিকাঃ
- বুলগেরিয়া
- আলবেনিয়া
- মন্টি নিগ্রো
- হাঙ্গেরি
- স্লভেনিয়া
- পর্তুগাল
- চেক প্রজাতন্ত্র
- এস্তোনিয়া
- রোমানিয়া
- স্লোভাকিয়া
- পোল্যান্ড
- বসুনিয়া
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে কিভাবে যাওয়া যায়?
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার তিনটি সহজ উপায় আছে, যেমন স্টুডেন্ট ভিসায়, শ্রমিক ভিসায় ও ভ্রমণ ভিসায়। এই তিনটির মধ্যে আপনি যে ভিসা নিয়ে যেতে চান সেই ভিসার জন্য ওই দেশের দূতাবাসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এবং উক্ত ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন সেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর আপনার কাগজপত্র দেখে সবকিছু ঠিকঠাক মনে হলে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।
ভিসা ছাড়া কতদিন ইউরোপে থাকা যায়?
ভিসা ছাড়া ইউরোপে আপনারা খুব বেশিদিন থাকতে পারবেন না। আপনি ভ্রমণ বিষয়ে ৯০ দিন পর্যন্ত ইউরোপে থাকতে পারবেন। অন্যান্য বিষয়ে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন পর্যন্ত আপনি ইউরোপে থাকতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি শ্রমিক ভিসায় যান তাহলে আপনি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
ইউরোপের কোন দেশে বাংলাদেশে কাজের ভিসা পাওয়া সহজ?
বর্তমান সময়ে এসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের জন্য কাজের ভিসা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবথেকে হল এস্তোনিয়া। এছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া হয়। তবে কাজের ভিসা নিয়ে সবথেকে সহজ উপায়ে এবং কম খরচে এস্তোনিয়া দেশে যাওয়া যায়।
ইউরোপ যেতে কি কি লাগে?
ইউরোপ যেতে কি কি লাগে? এই বিষয়টি আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন। ইউরোপে যেতে সাধারণত আপনার প্রথম যেটির প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে একটু বৈধ পাসপোর্ট। এরপর একটি বৈধ ভিসা। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, সাম্প্রতিক সময়ে তোলা দুই থেকে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। যদি ভ্রমণ বিষয়ে যান তাহলে ব্যাংক ট্রানজেকশনের ফটোকপি, এসব কাগজপত্র নিয়ে ইউরোপে যাওয়া যায়।
ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর দেশ কোনটি?
ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দরতম দেশ হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এই দেশকে সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা হয়।বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের সৌন্দর্য অনেক বেশি। তাইতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করতে আসে।
ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ কোনটি?
ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ হলো ফ্রান্স। কারণ এদেশে বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য মানুষের মনকে আকর্ষিত করে তোলে। প্রতিবছর এদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক আসে। শুধু সৌন্দর্যের দিক থেকে নয় সকল দিক থেকে এই দেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার তিনটি সহজ উপায় আছে, যেমন স্টুডেন্ট ভিসায়, শ্রমিক ভিসায় ও ভ্রমণ ভিসায়। এই তিনটির মধ্যে আপনি যে ভিসা নিয়ে যেতে চান সেই ভিসার জন্য ওই দেশের দূতাবাসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এবং উক্ত ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন সেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর আপনার কাগজপত্র দেখে সবকিছু ঠিকঠাক মনে হলে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।
ভিসা ছাড়া কতদিন ইউরোপে থাকা যায়?
ভিসা ছাড়া ইউরোপে আপনারা খুব বেশিদিন থাকতে পারবেন না। আপনি ভ্রমণ বিষয়ে ৯০ দিন পর্যন্ত ইউরোপে থাকতে পারবেন। অন্যান্য বিষয়ে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন পর্যন্ত আপনি ইউরোপে থাকতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি শ্রমিক ভিসায় যান তাহলে আপনি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
ইউরোপের কোন দেশে বাংলাদেশে কাজের ভিসা পাওয়া সহজ?
বর্তমান সময়ে এসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের জন্য কাজের ভিসা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবথেকে হল এস্তোনিয়া। এছাড়াও জার্মানি, নেদারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া হয়। তবে কাজের ভিসা নিয়ে সবথেকে সহজ উপায়ে এবং কম খরচে এস্তোনিয়া দেশে যাওয়া যায়।
ইউরোপ যেতে কি কি লাগে?
ইউরোপ যেতে কি কি লাগে? এই বিষয়টি আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন। ইউরোপে যেতে সাধারণত আপনার প্রথম যেটির প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে একটু বৈধ পাসপোর্ট। এরপর একটি বৈধ ভিসা। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, সাম্প্রতিক সময়ে তোলা দুই থেকে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। যদি ভ্রমণ বিষয়ে যান তাহলে ব্যাংক ট্রানজেকশনের ফটোকপি, এসব কাগজপত্র নিয়ে ইউরোপে যাওয়া যায়।
ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর দেশ কোনটি?
ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দরতম দেশ হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এই দেশকে সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা হয়।বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের সৌন্দর্য অনেক বেশি। তাইতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করতে আসে।
ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ কোনটি?
ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ হলো ফ্রান্স। কারণ এদেশে বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য মানুষের মনকে আকর্ষিত করে তোলে। প্রতিবছর এদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক আসে। শুধু সৌন্দর্যের দিক থেকে নয় সকল দিক থেকে এই দেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন, ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু
আছে ২০২৪ সালে ও সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। ইউরোপ
বিশ্বের অন্যান্য মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উন্নত একটি
মহাদেশ। এই মহাদেশের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে শিক্ষা, চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার
মান অনেক ভালো। এ জন্য আমাদের দেশের অনেক মানুষই ইউরোপে যাওয়ার জন্য স্বপ্ন
দেখে।
কিন্তু ইউরোপে যাওয়ার আগে আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন ইউরোপের কোন কোন দেশের
ভিসা চালু আছে, ইউরোপের প্রায় ৫০ টি দেশ আছে আপনি চাইলেই সবগুলো দেশ ভ্রমণ করতে
পারবেন না কিছু কিছু দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে
হবে। আবার কিছু কিছু দেশ আছে যেখানে আপনি সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন। এর
মধ্যে থেকে যে দেশগুলো সেনজেন ভুক্ত সেই দেশগুলোতে যাওয়া অনেক সহজ।
ইউরোপের ৫০ টি দেশের মধ্যে ২৭ টি দেশ সেনজেনভুক্ত, এই দেশগুলোতে আপনি তিন ধরনের
ভিসা নিয়ে সহজেই যাওয়া আসে করতে পারবেন। তাই যারা আমাদের দেশ থেকে ইউরোপে
যেতে চান তারা সেনজনভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পারেন। ইউরোপে যাওয়ার বিভিন্ন উপায়,
সুবিধা,অসুবিধা যাবতীয় তথ্য নিয়ে এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা
হয়েছে। বিভিন্ন আপডেট তথ্যবলি জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url