বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম ও বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করার উপায় সম্পর্কে। সঠিক তথ্য জানার জন্য এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন, বিদেশ থেকে টাকা পেতে কত দিন সময় লাগে ও টাকা পাঠানোর জন্য কি কি দরকার হবে। এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্টটি আপনাকে সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম

আমাদের দেশের অনেক মানুষই বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। যার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেককেই এই বিষয়ে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য জানা দরকার। চলুন তাহলে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক। আমাদের দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে মানুষ বিদেশে কাজ করে থাকেন। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের দেশের টাকা পাঠিয়ে থাকেন।

আপনি বাংলাদেশের যে মাধ্যমেই টাকা পাঠান না কেন, সবথেকে সহজ এবং নিরাপদ মাধ্যমে হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানো। ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর মাধ্যমে খুব দ্রুত টাকা উত্তোলন করা যায়। ইসলামী ব্যাংকের টাকা পাঠানোর জন্য আপনার পরিবারের যে কোন একজনের ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। আর বর্তমান সময়ে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করা খুবই সহজ। আপনি ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

অথবা আপনি ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন সেলফিন এর মাধ্যমে। আপনি যে মাধ্যমে একাউন্ট খুলেন না কেন, আপনার পরিবারের যে কোন একজনের একটি একাউন্ট থাকলেই হবে। এরপর আপনি যে দেশ থেকে টাকা পাঠাবেন সে দেশের কোথায় ইসলামী ব্যাংকের ফরেন রেমিড্যান্স হাউজ বা অফিস আছে তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজে পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড সহ যাবতীয় সকল তথ্য দিতে হবে।

তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি আপনার পরিবারের যে একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সে একাউন্টের যাবতীয় তথ্য আপনাকে দিতে হবে। যদি সেল্ফিন অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই সেলফিন  অ্যাকাউন্টের তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিতে হবে। আপনার কাজ শেষ আপনি যাবতীয় তথ্যসহ টাকা জমা দিয়ে আসার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার পরিবারের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে যেন কোন তথ্যই ভুল না হয়।

বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করার উপায়

বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে বিভিন্ন সময় বিরম্বনার শিকার হতে হয়। তাই এই বিষয়ে আগে থেকেই সঠিক তথ্য জেনে রাখা ভালো। চলুন তাহলে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনার একাউন্টে টাকা এসেছে কিনা। এটা আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আপনার একাউন্ট নাম্বার দিয়ে চেক করতে পারবেন।

অথবা যদি আপনার সেলফিন অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি নিজেই আপনার মোবাইল থেকে চেক করতে পারবেন। টাকা এসেছে এই বিষয়টি কনফার্ম হওয়ার পরে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে উক্ত টাকা উত্তোলন করার জন্য। টাকা উত্তোলন করার সময় আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টের যাবতীয় সকল তথ্য সহ একটি ফরম পূরণ করতে হবে। সেখানে একটি অপশন থাকবে রেমিটেন্স পিন নাম্বার। এখন কথা হলো এই পিন নাম্বার আপনি কোথায় পাবেন।

যে ব্যক্তি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন বিদেশ থেকে। সেই ব্যক্তিকে ওই দেশে একটি ফরম পূরণ করতে হয়েছে, এবং টাকা পাঠানোর পর তাকে একটি রিসিভ দেয়া হয়েছে। ওই রিসিভের ভিতরে একটি পিন নাম্বার দেওয়া আছে। টাকা আসার পর পরে আপনাকে ওই পিন নাম্বারটি টাকা প্রদানকারী ব্যক্তির নিকট থেকে নিতে হবে। এরপর আপনার পূরণ করা ফর্ম এর যেখানে পিন নাম্বার চাবে সেখানে ওই পিন নাম্বারটি বসিয়ে দিন।

এরপর উক্ত ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করেছেন কিনা আরেকবার চেক করে নেবেন। চেক করার পর উক্ত ফর্মটি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার ফর্মটি নিয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে, যদি আপনার একাউন্টে টাকা থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে টাকা দেবে। তবে মনে রাখতে হবে ফর্মে দেওয়া অ্যাকাউন্ট নাম্বার বা অন্য কোন যেন তথ্য ভুল না হয়। ভুল হলে আপনি টাকা নাও পেতে পারেন।

বিদেশ থেকে টাকা পেতে কোনদিন সময় লাগে

আপনারা অনেকেই জানতে চান বিদেশ থেকে টাকা পেতে কোনদিন সময় লাগে। এই বিষয়টি জানা খুবই জরুরী কারণ টাকা যত আগে পাওয়া যায় ততই ভালো। বিদেশ থেকে টাকা পেতে খুব বেশিদিন সময় লাগে না অর্থাৎ সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। যদি টাকা প্রদানকারী সঠিকভাবে তথ্যগুলো পূরণ করে থাকেন তাহলে আপনি সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন।

কিন্তু টাকা প্রদানকারী ব্যক্তি যদি তথ্য ভুল করে থাকে, তাহলে সেই টাকা পেতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। অথবা যে ব্যক্তি টাকা উঠাবে সে ব্যক্তি যদি তথ্য ভুল করে থাকে তাহলে আরও দুই এক দিন সময় বেশি লাগতে পারে। আর বিদেশ থেকে পাঠানোর টাকা সবচেয়ে দ্রুত দিতে পারে ইসলামী ব্যাংক। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় আপনি যদি সঠিকভাবে সকল তথ্য পূরণ করে বিদেশ থেকে টাকা পাঠান তাহলে সেই টাকা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার পরিবারের লোক টাকা পেয়ে যাবেন।
টাকা পাঠানোর জন্য কি দরকার হবে

টাকা পাঠানোর জন্য কি দরকার হবে

টাকা পাঠানোর জন্য কি দরকার হবে এই বিষয়টি আপনাদের প্রত্যেকেরই জানা থাকা দরকার। কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না থাকলে আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। চলুন তাহলে টাকা পাঠানোর জন্য কি দরকার হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক। টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমত আপনার পাসপোর্ট এর একটি ফটোকপি লাগবে, এরপর আপনার ফোন নাম্বার, আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার, আপনার পূর্ণাঙ্গ নাম।

যার একাউন্টে টাকা পাঠাবেন তার পূর্ণাঙ্গ নাম, তার অ্যাকাউন্ট নাম্বার, কোন ব্যাংকে পাঠাবেন সে ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চের নাম, মোবাইল নাম্বার এ সকল তথ্য প্রয়োজন হবে। যার একাউন্টে টাকা পাঠাবেন তার যদি সেলফিন অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই সেলফিন একাউন্টের যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে।সাধারণত টাকা পাঠানোর জন্য এই তথ্যগুলোই সব সময় প্রয়োজন হয়। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে আপডেট হওয়ার কারণে অন্যান্য কাগজপত্র লাগতে পারে।

ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা

আপনারা অনেকেই ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা সম্পর্কে জানতে চান। বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে ইসলামী ব্যাংক। আপনি এই ব্যাংক থেকে খুবই সহজে এবং খুবই দ্রুত বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তুলতে পারবেন। এখন আপনার মনের প্রশ্ন আসতে পারে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনি কি কি সুবিধা পাবেন। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা সমুহঃ
  • অত্যন্ত নিরাপত্তার সাথে থাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন মাধ্যমের চেয়ে দ্রুত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ইসলামী ব্যাংকের রেমিডেন্স হাউজ আছে, তাই আপনাকে খুব বেশি খোঁজাখুঁজি করতে হবে না।
  • ইসলামী ব্যাংকের টাকা পাঠানোর মাধ্যমে আপনার পরিবার অতিরিক্ত দুই থেকে তিন শতাংশ বোনাস পাবে।
  • টাকা গ্রহণকারী ব্যক্তি ঘরে বসে একাউন্ট চেক করে দেখতে পারবে টাকা এসছে কিনা।
  • গোপন পিন নাম্বার থাকায় আপনি যার একাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন উনি ছাড়া অন্য কেউ টাকা তুলতে পারবে না।
  • ইসলামী ব্যাংকে বিদেশ থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে জটিলতা একেবারে নেই বললেই চলে।
  • ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার কোন ঝুঁকি থাকে না।
  • সারাদেশে প্রচুর পরিমাণে এজেন্ট ব্যাংক থাকায় নিকটবর্তী স্থান থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়
  • টাকা মার যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না ।

বিদেশ থেকে একদিনে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বিদেশ থেকে একদিনে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার যদি জানা না থাকে একদিনে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় তাহলে আপনি বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে একদিনে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যেতে পারে। 

রেমিটেন্স এর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে একজন ব্যক্তি একদিনের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে পারবেন বিকাশে। সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন। তবে যদি আপনি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠান তাহলে কোন লিমিট নেই। অর্থাৎ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে আপনি একদিনে লিমিট ছাড়া টাকা পাঠাতে পারবেন সেটা হতে পারে ৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কারণ আমাদের দেশের ব্যাংকের এ বিষয়ে সঠিক কোন নির্দেশনা নেই।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ কত

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ কত

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ কত এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকটি প্রবাসী ভাই ও তাদের পরিবারের জানা প্রয়োজন। সাধারণত আমাদের দেশে বিভিন্নভাবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো যায়।কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাতে কত টাকা খরচ হয় এই বিষয়টি জেনে রাখা উচিত। চলুন তাহলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক। 

বিকাশে টাকা পাঠাতে খরচঃ বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে বিকাশে আমাদের দেশের টাকা পাঠাতে খরচ হাজারে ১৪ টাকা। তবে এটা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পলিসির কারণে কম বেশি হতে পারে। 

নগদে টাকা পাঠাতে খরচঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশ টাকা পাঠানোর জন্য নগদ অ্যাপস প্রতি হাজারে নেবে ৯.৯৯ টাকা।

ই এম টি এস-এ টাকা পাঠাতে খরচঃ ডাক বিভাগের ই এম টি এস এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে প্রতি হাজারে খরচ মাত্র পাঁচ টাকা। এটি দেশের যেকোন স্থানে টাকা পাঠানো যায়, তবে এই মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যায়।

ব্যাংকে টাকা পাঠাতে খরচঃ ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে কোন খরচ নেওয়া হয় না।বরং যে টাকা আসে সেই টাকার ২.৫ পারসেন্ট হারে বোনাস দেওয়া হয়।

ইসলামী ব্যাংক  রেমিটেন্স বোনাস

আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন না ইসলামী ব্যাংক  রেমিটেন্স বোনাস কত পারসেন্ট দেয়।আমাদের দেশের সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠালে তার খরচ নেওয়ার পরিবর্তে উল্টো তাকে বোনাস দিয়ে থাকে। তেমনি ইসলামী ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠালে উক্ত টাকার উপরে  ২.৫% বোনাস দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ আপনি যত টাকা পাঠাবেন তার বিপরীতে আপনাকে ২.৫% বোনাস দেওয়া হবে। একদিকে আপনি নিরাপদে টাকা তুলতে পারবেন অন্যদিকে বোনাস পাবেন।

বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকের টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর


বিদেশে টাকা পাঠানোর সীমা কত?
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সীমা কত অথবা সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যাবে। এই বিষয়টি সম্পন্ন নির্ভর করে আপনি কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন। যদি আপনি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠান তাহলে কোন লিমিট নাই। অর্থাৎ আপনি আনলিমিটেড টাকা পাঠাতে পারবেন। আর যদি আপনি বিকাশ রকেট এ জাতীয় অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাহলে আপনি ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে কিভাবে টাকা পাঠাবো?
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে ওই দেশের কোথায় ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স হাউজ বা অফিস আছে। এরপর আপনাকে ওই অফিসে যোগাযোগ করে আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও যাবতীয় কাগজপত্র এবং আপনি দেশে যার একাউন্টে টাকা পাঠাবেন তার সকল যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাতে চান সে পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে টাকা দেশে পৌঁছে যাবে।

বিদেশ থেকে টাকা আসতে কত সময় লাগে?
বিদেশ থেকে টাকা আসতে সাধারণত ৫ ঘন্টা থেকে মোটামুটি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশে নেটওয়ার্কিং অবস্থা ভালো হওয়ার কারণে খুব দ্রুত বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানো যায়। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠালে দ্রুত এবং নিরাপদে টাকা পাওয়া যায়।

বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য কোন ব্যাংক ভালো?
বিদেশ থেকে আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংকে টাকা আনা যায়। তবে এর মধ্যে থেকে কিছু ব্যাংক আছে যেগুলোতে ঝামেলা খুবই কম এবং সুবিধা বেশি। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এই ব্যাংক গুলোতে ঝামেলা মুক্তভাবে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা আনা যায়। তাই বলা যায় বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য এই ব্যাংক গুলো ভালো।

কিভাবে নিরাপদে টাকা পাঠানো যায়?
বিদেশ থেকে নিরাপদে টাকা পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেল। বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য বিদেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। যেমন বিকাশ, রকেট, হুন্ডি এবং ব্যাংকিং চ্যানেল। এদের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো। কারণ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে এক দিকে যেমন খরচ নেই, আবার বোনাস পাওয়া যাবে, এছাড়াও ব্যাংকে টাকা পাঠালে কোন ঝুঁকি থাকে না।

শেষ কথাঃ যেভাবে বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকের টাকা পাঠানো যায়

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম ও বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করার উপায় সম্পর্কে। বিদেশ থেকে আপনি খুব সহজে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের দেশের টাকা পাঠাতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো, ওই দেশের ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স হাউজ বা অফিস খুঁজে বের করতে হবে।

এরপর উক্ত হাউজে যোগাযোগ করে আপনার যাবতীয় সকল তথ্য ও যে একাউন্টে টাকা পাঠাবেন তার যাবতীয় সকল তথ্য দিতে হবে। এরপর আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাবেন সে পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। সকল তথ্য ঠিকঠাক থাকলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের দেশের একাউন্টে টাকা চলে আসবে। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে দুই থেকে তিন দিন সময় পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে টাকা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে আপনি ২.৫% বোনাস পাবেন। অতি দ্রুত আপনি টাকা তুলতে পারবেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজে টাকা তোলা যায়। তাহলে আজকের আলোচনা আপনারা নিশ্চয়ই  ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারলেন বিদেশ থেকে টাকা আসতে কত সময় লাগে, কত টাকা খরচ হয়, এবং কত টাকা রেমিটেন্স বোনাস  দেওয়া হয়। এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত এরকম তথ্য নির্ভর পোস্ট পাবলিস্ট করা হয় তাই সঠিক তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url