বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম - টাকা পাঠানোর খরচ কেমন
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন বিদেশ থেকে
সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম ও সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা
সম্পর্কে। এই সম্পর্কিত সঠিক তথ্য জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা
পাঠানোর খরচ কত ও বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে পাঠানোর
নিয়ম সম্পর্কে। বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম-টাকা পাঠানোর খরচ কেমন
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- টাকা পাঠানোর খরচ কেমন?
- সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কি কি লাগবে
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত
- সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সীমা কত
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জেনে নিন
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আপনারা অনেকেই জানতে চান বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
সম্পর্কে। যেসব প্রবাসী ভাইয়েরা বিদেশে থাকেন, তারা যদি এই বিষয়ে সঠিক
তথ্য না জানেন তাহলে তাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। চলুন
তাহলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর
ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ও বৈধ একটি মাধ্যম হলো সোনালী ব্যাংক। বিদেশ থেকে
টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশীয় সরকারী ব্যাংক গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি
ব্যাংক।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সমুহঃ
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল, আপনি যে দেশ থেকে টাকা পাঠাবেন সেই দেশের কোথায় রেমিটেন্স হাউজ বা অফিস আছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
- উক্ত রেমিটেন্স হাউজ বা অফিসে গিয়ে প্রথমে জানতে হবে ওখান থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য সাধারণত যেসব কাগজপত্র লাগে তা হল-আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি, আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেই প্রতিষ্ঠানের একটি সার্টিফিকেট।
- এ ছাড়াও আপনি যে একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সে অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্রাঞ্চ নাম্বার, যে ব্যক্তির নামে টাকা পাঠাবেন সে ব্যক্তির মোবাইল নম্বর।
- এ সমস্ত কাগজপত্র ও তথ্য দিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। উক্ত ফার্মটি পূরণ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট রেমিটেন্স হাউজে জমা দিতে হবে।
- উক্ত ফর্ম এর সঙ্গে আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাবেন সেই পরিমাণ টাকা সহ ফর্মটি জমা দিতে হবে।
- আপনার কাগজপত্র ও আপনার দেওয়া সকল তথ্য সঠিক থাকলে ৫ থেকে ২৪ ঘন্টার ভিতরে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে।
- যদি কোন সমস্যা থাকে তবে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে অর্থাৎ দুই থেকে তিনদিন সময় লাগতে পারে।
টাকা পাঠানোর খরচ কেমন?
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ কেমন? আপনারা এই বিষয়ে অনেকেই জানতে
চান। বিশেষ করে প্রবাসী ভাইয়েরা এই বিষয়টি বেশি জানতে চান। কারণ
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো
প্রবাসী ভাই যদি এই বিষয়টি না জেনে টাকা পাঠাতে চান তাহলে সেই ভাই যেকোনো সময়
প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তাই এই বিষয়টি প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশের সেরা ১০টি ব্যাংক ২০২৪
চলুন তাহলে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক। বিদেশ থেকে টাকা
পাঠানোর জন্য খুব বেশি খরচ নেওয়া হয় না। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে একেবারেই খরচ
নেওয়া হয় না। বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কোন প্রকার কোন খরচ
প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে
সোনালী ব্যাংকের টাকা পাঠাতে পারবেন। তাই আপনি কোন রকম চিন্তা না করেই সহজেই
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে খরচ ছাড়া টাকা পাঠাতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংক। সেটা যদি হয়
সোনালী ব্যাংক তাহলে তো কোন কথাই নেই। কারণ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে
বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় এবং অন্যদিকে নিরাপদে টাকা উত্তোলন করা
যায়। সোনালী ব্যাংক আমাদের দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।
তাই এই ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া
যাক সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
প্রবাসী কল্যান ব্যাংক লোন নিয়ম
সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা সমুহঃ
- সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
- সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে অতিরিক্ত ২.৫ শতাংশ রেমিটেন্স বোনাস দেওয়া হয়।
- সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে কোন খরচ নেয়া হয় না।
- বিদেশ থেকে বৈধ উপায়ে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়।
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি আনলিমিটেড টাকা পাঠাতে পারবেন অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোন লিমিট নেই।
- দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে সোনালী ব্যাংকের শাখা আছে।
- আপনার দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
- আপনার নিকটবর্তী স্থানে ব্যাংক থাকার কারণে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোন ঝুঁকি থাকে না।
- দেশের প্রতিটি উপজেলা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যায়।
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় খুবই কম কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
- দেশের সরকারি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক হওয়ায় ঝামেলা একেবারে কম।
- বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পর দেশ থেকে যিনি টাকা উঠাবেন তিনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সহজেই টাকা উঠাতে পারবেন।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কি কি লাগবে
আমাদের দেশের এমন অনেক প্রবাসী ভাই আছেন যারা জানতে চান বিদেশ থেকে সোনালী
ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কি কি লাগবে। এই বিষয়টি যদি প্রত্যেকটি প্রবাসী
ভাইয়ের জানা থাকে তাহলে খুব সহজে বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা
পাঠাতে পারবে। যদিও অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সোনালী ব্যাংকে কাগজপত্র খুবই
কম প্রয়োজন হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে
টাকা পাঠাতে কি কি লাগবে বা কি কি কাগজপত্র লাগবে।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কি কি লাগবেঃ
- প্রথমে আপনাকে একটি সোনালী ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজ বা রেমিটেন্স হাউজ খুঁজে বের করতে হবে।
- এরপর উক্ত হাউজে বা প্রতিষ্ঠানে নিন্মুক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে ।
- সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার
- প্রেরকের নাম ঠিকানা
- প্রেরকের পাসপোর্ট নাম্বার
- প্রাপকের নাম ঠিকানা
- প্রাপ্যকের মোবাইল নাম্বার
- সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় টাকা পাঠাবেন সেই শাখার নাম
- আমাদের দেশের যে শাখায় একাউন্ট খোলা আছে সেই শাখার সুইফট কোড
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে অনেক প্রবাসী
ভাইয়েরা জানতে চান। আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক মানুষ বিদেশে যান
শ্রমিক হিসেবে। তারা তাদের পরিবারের চাহিদা মিটানোর জন্য বিদেশ থেকে
দেশে টাকা পাঠান। আর এই টাকাই হলো আমাদের দেশের জন্য রেমিটেন্স। কিন্তু
যারা নতুন প্রবাসে গিয়েছেন তারা রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে খুবই কম
জানেন। তাই চলুন সবাই জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে রেমিটেন্স
পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম সমুহঃ
- প্রথমে আপনাকে সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।
- এরপর আপনাকে আপনার নিকটস্থ একটি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে।
- টাকা পাঠানোর পূর্বে উক্ত মানি ট্রান্সফার অফিসের যাবতীয় সকল তথ্য জেনে নিতে হবে, বিশেষ করে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ।
- এরপর উক্ত অফিস থেকে টাকা পাঠানোর জন্য একটি ফর্ম নিতে হবে, সঠিকভাবে সেই ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
- ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করার পরে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন তা উক্ত ফর্মের সাথে যুক্ত করতে হবে।
- যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সিস্টেম থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
- এরপর আপনি বাংলাদেশের যে ব্যক্তির একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, একাউন্ট নম্বর ও ব্রাঞ্চ এর নাম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- যে ব্যক্তির নামে টাকা পাঠাবেন সে ব্যক্তির যে ব্রাঞ্চে একাউন্ট খোলা আছে সেই ব্রাঞ্চের সুইফট কোড ফর্মে উল্লেখ করতে হবে।
- এরপর উক্ত ফর্মে আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাবেন সেটা উল্লেখ করতে হবে।
- টাকা পাঠানোর পর উক্ত মানি ট্রান্সফার অফিস থেকে লেনদেনের ট্রানজেকশন নাম্বার সহ
- রশিদটি নিতে হবে।কারণ ওই রশিদে একটি পিন নাম্বার দেওয়া থাকবে যে পিন নাম্বার দিয়ে দেশে টাকা উত্তোলন করতে পারবে।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত প্রতিটি প্রবাসী ভাই মনে মনে
এই প্রশ্নটি ভেবে থাকেন। কারন প্রত্যেক প্রবাসী প্রতিমাসে পরিবারের
জন্য বাংলাদেশে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য সোনালী
ব্যাংক কত টাকা খরচ নেয় এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা। চলুন তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কত
টাকা খরচ হয়।
বিদেশ থেকে প্রতিটি প্রবাসী ভাই তাদের পরিবারের জন্য যে টাকা দেশের একাউন্টে
পাঠিয়ে থাকেন সেটাই আমাদের দেশের জন্য রেমিটেন্স। আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই
প্রচুর পরিমানে রেমিটেন্স প্রয়োজন। আমাদের দেশের যে রেমিটেন্স
প্রয়োজন তার বেশিরভাগই প্রবাসী ভাইয়েরা পূরণ করে থাকে। তাই সোনালী ব্যাংকে
টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন প্রকার খরচ নেওয়া হয় না বরং যে পরিমাণ
টাকা পাঠানো হয় সেই টাকার উপরে ২.৫ শতাংশ বোনাস দেওয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম
বর্তমানে আমাদের দেশে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই
সহজ। কারণ আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেবা কে ইন্টারনেট সেবার সাথে যুক্ত করায়
খুব সহজেই একাউন্ট খোলা যায়। এটা আপনি ঘরে বসেও এখন খুলতে পারবেন আবার
সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খুলতে পারবেন। সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার
জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ও কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয় চলুন এই বিষয়ে
সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
- সরাসরি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য-
- প্রথমে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে যেতে হবে
- এরপর একাউন্ট খোলার জন্য একটি ফর্ম নিতে হবে
- উক্ত ফর্মের যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে
- ফর্মের সঙ্গে কাগজপত্র হিসেবে যুক্ত করতে হবে-আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- এন আইডি কার্ড না থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি, যদি তাও না থাকে তাহলে স্টুডেন্ট আইডি ফটোকপি।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- টিন সার্টিফিকেট যদি থাকে
- আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- যাকে আপনি নমিনি বানাবেন তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- সঞ্চয় একাউন্ট হলে ৫০০ টাকা আর কারেন্ট একাউন্ট হলে ১০০০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সীমা কত
আপনারা অনেকেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সীমা কত এই বিষয়ে জানতে
চান। যেহেতু আমাদের দেশে বিদেশ থেকে বেশ কয়েকটি মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়
তাই মাধ্যম অনুযায়ী এটা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি বিকাশ, রকেট এরকম
কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান তাহলে একবারে সর্বোচ্চ আপনি তিন লক্ষ টাকা পাঠাতে
পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন
লিমিট নেই অর্থাৎ আপনি যত খুশি তত পাঠাতে পারবেন।
তবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে
ব্যাংক। এবং ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে আপনাকে এক্সট্রা কোনো টাকা খরচ
করতে হয় না। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে যে পরিমাণ টাকা পাঠাবেন তার
বিপরীতে ২.৫% বোনাস দেবে। আর অন্যান্য মাধ্যমে টাকা পাঠালে বোনাস পাওয়ার
সুযোগ নেই এবং আপনার পাঠানো টাকা থেকে তারা খরচ কেটে নিবে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে
পেরেছেন বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সীমা কত।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
সোনালী ব্যাংক থেকে বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবো?
সোনালী ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে সোনালী ব্যাংকের অ্যাপস ওপেন করে নিতে হবে। এরপর ফান্ড ট্রান্সফার অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করার পরে আপনাকে একটি মাধ্যম নির্বাচন করতে বলবে অর্থাৎ আপনি কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান। এ সময় আপনি বিকাশে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পরে ওখানে আপনার বিকাশ নাম্বার চাবে। আপনার যে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই বিকাশ নম্বরটি এখানে লিখতে হবে। এরপর আপনাকে সেন্ড অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর উপায়?
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর উপায় খুবই সহজ। এখন কথা হলো আপনি কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন বিকাশ, রকেট এ ধরনের মাধ্যমে না ব্যাংকের মাধ্যমে। সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার পূর্ণাঙ্গ নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্যাংকের নাম, রাউটিং নাম্বার ও টাকার পরিমাণ সহ একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এরপর উক্ত ফর্ম টাকা সহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার টাকা বিদেশে চলে যাবে।
বিদেশে ব্যাংক চেক পাঠানো যাবে কি?
আমাদের দেশ থেকে বিদেশে ব্যাংক চেক অবশ্যই পাঠানো যাবে। এটাকে ব্যাংকিং ভাষায় বলা হয় আন্তর্জাতিক ব্যাংক ড্রাফট। আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকে চেক পাঠাতে পারবেন। তবে বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে এটি খুবই পুরাতন ও ধীর গতির একটি প্রক্রিয়া। কারণ এভাবে চেক পাঠানোর মাধ্যমে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আর আপনি যদি অনলাইনে টাকা পাঠান তাহলে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবে।
বিদেশে কি বেশি টাকা পাঠানো যায়?
বিদেশ থেকে বেশি টাকা পাঠানো যায়। তবে যদি সেটা ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয় তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি নিয়ম মেনে টাকাগুলো পাঠাতে হবে। অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলে সেই দেশের গভমেন্টকে এ বিষয়টি অবহিত করতে হবে যে, আমাদের দেশের এই অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের এই একাউন্টে এত পরিমাণ টাকা যাচ্ছে এবং এই টাকার উৎস কি সেটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
নিজের ব্যাংক একাউন্টে কিভাবে টাকা জমা দিতে হয়?
নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্য আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা আছে সেই ব্যাংকের যেকোনো একটি শাখায় যেতে হবে। এরপর আপনি কত টাকা জমা রাখবেন সেই টাকার পরিমাণ সহ একটি ফরম পূরণ করতে হবে। যে ফর্মে আপনার নাম সহ যাবতীয় সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এরপর টাকা সহ এবং ফর্ম সহ ব্যাংকে জমা দেন। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে গিয়েছে।
সোনালী ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে সোনালী ব্যাংকের অ্যাপস ওপেন করে নিতে হবে। এরপর ফান্ড ট্রান্সফার অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করার পরে আপনাকে একটি মাধ্যম নির্বাচন করতে বলবে অর্থাৎ আপনি কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান। এ সময় আপনি বিকাশে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পরে ওখানে আপনার বিকাশ নাম্বার চাবে। আপনার যে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই বিকাশ নম্বরটি এখানে লিখতে হবে। এরপর আপনাকে সেন্ড অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর উপায়?
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর উপায় খুবই সহজ। এখন কথা হলো আপনি কোন মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন বিকাশ, রকেট এ ধরনের মাধ্যমে না ব্যাংকের মাধ্যমে। সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার পূর্ণাঙ্গ নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্যাংকের নাম, রাউটিং নাম্বার ও টাকার পরিমাণ সহ একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এরপর উক্ত ফর্ম টাকা সহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার টাকা বিদেশে চলে যাবে।
বিদেশে ব্যাংক চেক পাঠানো যাবে কি?
আমাদের দেশ থেকে বিদেশে ব্যাংক চেক অবশ্যই পাঠানো যাবে। এটাকে ব্যাংকিং ভাষায় বলা হয় আন্তর্জাতিক ব্যাংক ড্রাফট। আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকে চেক পাঠাতে পারবেন। তবে বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে এটি খুবই পুরাতন ও ধীর গতির একটি প্রক্রিয়া। কারণ এভাবে চেক পাঠানোর মাধ্যমে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আর আপনি যদি অনলাইনে টাকা পাঠান তাহলে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবে।
বিদেশে কি বেশি টাকা পাঠানো যায়?
বিদেশ থেকে বেশি টাকা পাঠানো যায়। তবে যদি সেটা ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয় তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি নিয়ম মেনে টাকাগুলো পাঠাতে হবে। অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলে সেই দেশের গভমেন্টকে এ বিষয়টি অবহিত করতে হবে যে, আমাদের দেশের এই অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের এই একাউন্টে এত পরিমাণ টাকা যাচ্ছে এবং এই টাকার উৎস কি সেটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
নিজের ব্যাংক একাউন্টে কিভাবে টাকা জমা দিতে হয়?
নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্য আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা আছে সেই ব্যাংকের যেকোনো একটি শাখায় যেতে হবে। এরপর আপনি কত টাকা জমা রাখবেন সেই টাকার পরিমাণ সহ একটি ফরম পূরণ করতে হবে। যে ফর্মে আপনার নাম সহ যাবতীয় সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এরপর টাকা সহ এবং ফর্ম সহ ব্যাংকে জমা দেন। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে গিয়েছে।
শেষ কথাঃ বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জেনে নিন
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা
পাঠানোর নিয়ম ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খরচ কেমন এই বিষয়
সম্পর্কে। আপনারা আরো জানতে পারলেন সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা ও বিদেশ
থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কি কি লাগবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। আশা
করি বিষয়গুলো আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম খুবই সহজ যা উপরে আলোচনা করা
হয়েছে। অর্থাৎ একজন প্রবাসী ভাই খুব সহজেই বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে
আমাদের দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এতে করে একদিকে যেমন কোন খরচ লাগবে না। অন্যদিকে
তেমনি আপনি যে টাকা পাঠাবেন আমাদের দেশের সরকার সেই টাকার উপরে দুই ২.৫
শতাংশ বোনাস প্রদান করবে।
বাংলাদেশের সকল সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক হল সোনালী
ব্যাংক। যার কারণে এই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা
পাওয়া যায়। যেমন এই ব্যাংকে টাকা পাঠালে কোন ঝুঁকি থাকে না। দেশের
যেকোন প্রান্ত থেকে সহজে তোলা যায়। কোন খরচ কাটে না। বোনাস প্রদান
করে এরকম অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত এরকম
তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট পাবলিশ করা হয়। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের
সঙ্গেই থাকুন।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url