ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ভালোভাবে বোঝার জন্য এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ও ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। ড্রাগন ফল সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। ড্রাগন এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যামান আছে এবং এই ফল খেতে খুবই সুস্বাদু। এটি বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে জনপ্রিয় ফলের মধ্যে অন্যতম একটি ফল হলো ড্রাগন। চলুন এই ফল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যায়। 

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উৎপাদনে ভরপুর একটি ফল। ড্রাগন ফল যেমন খেতে খুবই সুস্বাদু তেমনি এই ফল খাওয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপকার পেয়ে থাকি। যেমন-ড্রাগন খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না, ওজন কমাতে সাহায্য করে এরকম বিভিন্ন ধরনের উপকার পেয়ে থাকি। ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে আমরা যেসব উপকার পেয়ে থাকি চলুন সেগুলো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সমূহঃ
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান আছে। যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ড্রাগন ফল প্রতিটি মানুষের
ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যার ফলে ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী ফল।তাই আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ড্রাগনে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকলেও ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম আছে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে শরীরে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যোগ হলেও ক্যালোরি কম থাকার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমে যাবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেঃ  ড্রাগন এর মধ্যে বিদ্যমান আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক এসিড এবং বিটাসায়ানিন যেটা ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি কে বাধা প্রদান করে।  ফ্রি রেডিকেলের কারণে ক্যান্সার ও অকাল বার্ধক্য জনিত সমস্যা তৈরি হয়। তাই নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেঃ ভিটামিন সি এর একটি প্রধান উৎস হলো ড্রাগন ফল। আর ভিটামিন সি হলো একটি প্রচন্ড শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ড্রাগন ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন কম করে হলেও ২০০ গ্রাম করে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের প্রবায়োটিক আছে। যে প্রোবায়োটিক গুলো খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত ড্রাগন খাওয়ার ফলে প্রতিটি মানুষের হজম শক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।

হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করেঃ হার্টকে সুস্থ রাখতে ড্রাগন ফলের তুলনা হয় না বললেই চলে। কারণ ড্রাগন ফলের মধ্যে আছে হিমোগ্লোবিন এইচ বি, যা আয়রনসমৃদ্ধ কোষ। এই এইচ বি কোষের কাজ হল হার্ট থেকে রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে ও অক্সিজেন পরিবহনের সাহায্য করে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। তাই আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়ম করে ড্রাগন ফল খাবেন।

রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করেঃ শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিন এর প্রয়োজন হয়। আর হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে ড্রাগন ফল খুবই ভালোভাবে সাহায্য করে। কারণ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও আয়রন বিদ্যমান আছে। আর ভিটামিন-এ ও আয়রন মানুষের শরীরে মূলত হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান আছে। আর পটাশিয়ামের মূল কাজ হল মানুষের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই কোন ব্যক্তি যদি নিয়ম করে ড্রাগন ফল খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ ভিটামিন-এ এর একটি ভালো উৎস হচ্ছে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান আছে। আর ভিটামিন-এ এর মূল কাজ হল মানুষের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে আছে ক্যারোটিন যা মানুষের চোখের ছানি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনার চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানুষের মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি সব সময় মানুষের চাপে থাকেন তাহলে ড্রাগন ফল হতে পারে আপনার জন্য উত্তম সমাধান। মানসিক চাপ দূর করতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

হাড় মজবুত করতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফল মানুষের হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। কারণ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান আছে। এই ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম মানুষের হাড় মজবুত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনার হাড় মজবুত করতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

ব্রণ জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করেঃ যেহেতু ড্রাগন ফল এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। যা ত্বকের জন্য ট্রপিক্যাল মলম হিসাবে কাজ করে, মুখে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি এর অভাব। তাই মুখের ব্রণ দূর করতে বা মুখে যেন আর ব্রণ না হয় এজন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফলে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি বিদ্যমান আছে। যেগুলো প্রতিটি মানুষের ইমুনিটি সিস্টেমকে বাড়াতে সাহায্য করে। আর ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে গেলে রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই আপনার ইমিউনিটি বাড়াতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

বয়সের ছাপ দূর করেঃ ড্রাগন ফল মানুষের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। অর্থাৎ ড্রাগন ফলের ভিতরে বিভিন্ন ভিটামিন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বা ভিটামিন সি ও অন্যান্য উপাদান অনেক বেশি উপস্থিত থাকে। যার ফলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আপনার বয়সের ছাপ দূর হয়ে যায়।

চুল পড়া রোধ করেঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ এর মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো খাওয়ার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাই আপনার মাথায় চুল পড়া বন্ধের জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে যে কোন ব্যক্তির কিডনি ভালো থাকে। কারণ ড্রাগন ফলে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। আর কিডনি ভালো রাখার ক্ষেত্রে পটাশিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কিডনি ভালো রাখতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা

আমরা সবাই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিসেরই উপকার এবং অপকার দুটোই থাকে। হয়তোবা কোনটাতে উপকার বেশি আবার হয়তোবা কোনটাতে অপকার বেশি। আমরা উপরের অংশে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি, এখন আমরা জানবো ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা সমুহঃ
এলার্জি জনিত সমস্যা বাড়তে পারেঃ ড্রাগন ফল কারো কারো জন্য এলার্জির মূল কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ ড্রাগন ফলে এলার্জি পরিমাণ একটু বেশি থাকে। যার ফলে ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে চুলকানি, আমবাদ সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। তাই যাদের অ্যালার্জি আগে থেকেই আছে তারা একটু সাবধানে পরিমাণে কম করে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকেঃ সাধারণত ড্রাগন ফল খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়। হজম শক্তি বাড়ার পাশাপাশি ডায়রিয়া জনিত সমস্যা হতে পারে ড্রাগন ফল খেলে। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে তারপর খাবেন।

ড্রাগন ফলের দাম বেশিঃ আমাদের দেশে যেসব ফল পাওয়া যায় সেগুলোর দাম যেরকম তার চেয়ে অনেক বেশি দামে ড্রাগন ফল কিনতে হয়। একজন গরিব মানুষের জন্য প্রতিদিন ড্রাগন ফল খাওয়া সম্ভব নয়।

সব সময় প্রয়োজন অনুযায়ী পাওয়া যায় নাঃ আমাদের দেশে যেভাবে ড্রাগন ফলের চাহিদা সে অনুযায়ী উৎপাদন হয় না। কারণ এটা বিগত কয়েক বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। যার কারণে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সব সময় এই ফলটি পাওয়া যায় না।

ঔষধের সাথে মিশে যায়ঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ড্রাগন ফল খাবেন। কারণ ড্রাগন ফল অনেক সময় ওষুধের সাথে মিশে যায়। এতে করে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পেট ব্যথা বা ফোলা ভাব হতে পারেঃ অতিরিক্ত ড্রাগন খাওয়ার ফলে যে কোন ব্যক্তির পেট ব্যথা বা পেট ফোলা ভাব হতে পারে। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে দেখে নিতে হবে আপনার এ ধরনের সমস্যা আছে কিনা। যদি আগে থেকে আপনার এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ড্রাগন ফল আপনার জন্য না খাওয়াই ভালো।

কিডনিতে পাথর হতে পারেঃ নিয়মিত এবং প্রয়োজনে তুলনায় বেশি ড্রাগন খেলে আপনার কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জানা প্রয়োজন। কারণ ড্রাগন ফলের ভেতরে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান আছে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে। যেমন- গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালো হয়, গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, এরকম বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সমুহঃ 
গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়ঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ বিদ্যমান আছে। যেগুলো গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটেতে সাহায্য করে। তাই যদি কোন গর্ভবতী মা নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে তার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালো হবে।

জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সাহায্য করেঃ নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে জন্মগত ত্রুটি রোধ হয় কারণ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও ফোলেট আছে। তাই একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে তার শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করেঃ গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করতে ড্রাগন ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান আছে।স্বাভাবিকভাবেই ভিটামিন এ গর্ভবতী মায়ের শরীরে রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে। এ কারণে গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা জনিত সমস্যা থাকে না।

গর্ভে থাকা শিশুর হাড়ের বিকাশ ঘটেঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান আছে। যেগুলো গর্ভে থাকা শিশুর হাড়ের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। তাই কোন গর্ভবতী মা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ভ্রুনের হাড়ের বিকাশ ভালো হয়।

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ নিয়মিত ড্রাগন খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যে ব্যাকটেরিয়া গুলো খাদ্যকে ভেঙ্গে হজম করতে সাহায্য করে। যার ফলে নিয়মিত ড্রাগন খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ গর্ভ অবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতে হয়। এসব খাবার খেতে যেয়ে অনেক সময় ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি কোন গর্ভবতী মা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাহলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ ড্রাগন ফলের ভিতরে শক্তিশালী ফাইবার আছে যা শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যমান আছে। আর ভিটামিন সি একজন গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কোন গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়ঃ ড্রাগন ফল একজন গর্ভবতী মায়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ ফলের মধ্যে বিদ্যমান আছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যে উপাদান গুলো গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকে ক্ষতিকর জীবাণু বের করে দেয়। যার ফলে নিয়মিত ড্রাগন খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান আছে। পটাশিয়াম হৃদপিন্ডের ভেতরে রক্ত চলাচল ও অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক করে থাকে। যার ফলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের হৃদরোগ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

হাড়ের গঠন মজবুত করেঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান আছে। যেগুলো গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকার শিশুর হাড়ের গঠন শক্ত করতে সাহায্য করে। তাই একজন গর্ভবতী মাকে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। 

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবেনা। কারণ ড্রাগন ফলকে পুষ্টির ভান্ডার বলা হয়।ড্রাগন ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান আছে। যেমন-ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইত্যাদি। যেগুলো মানুষের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত।
 
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যেসব পুষ্টি উপাদান আছেঃ

ক্রমিক নং পুষ্টি উপাদানের নাম পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ
কার্বোহাইডেট ১৪ গ্রাম
প্রোটিন ১ গ্রাম
চর্বি ০ গ্রাম
ফাইবার ৩ গ্রাম
ভিটামিন সি ২৭%
ভিটামিন বি-৬ ১২%
ম্যাগনেসিয়াম ১০%
পটাশিয়াম ৮%
ক্যালরি ৬০ কিলো ক্যালরি

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল আমাদের দেশীয় কোন ফল নয়। এটি বিদেশি একটি ফল। বিভিন্ন দেশ ঘুরে বর্তমানে আমাদের দেশে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। এই ফলটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। তবে অন্যান্য তুলনায় এর দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেকেই এই ফল কিনে খেতে পারছেন না। অনেকেই এই ফল কেনার পর কিভাবে খেতে হয় জানেন না, চলুন তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
 
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সমুহঃ
প্রথমে বাজার থেকে একটি ড্রাগন ফল কিনে নিয়ে আসতে হবে
এরপর ফলটিকে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দুই ভাগ করতে হবে
কাটার পর দেখতে পাবেন এর ভেতরে সাদা অথবা লাল রঙের ফল আছে
এরপর আপনি যেভাবে আমের খোসা ছাড়ান ঠিক সেভাবে ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়াতে হবে
এরপর ভেতর থেকে খুবই সুন্দর আকৃতির একটি ফল বেরিয়ে আসবে
উক্ত ফলটিকে আপনি তখনই খেতে পারবেন অথবা আপনার অতিথিকে দিতে পারবেন
তবে এই ফল কাটার পর বেশিক্ষণ কোন জায়গায় না রাখাই ভালো

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে চান। প্রত্যেকটা জিনিসই খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় বা নিয়ম থাকে। যে সময় খেলে আপনি কোন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বরং উপকৃত হবেন। এ জন্য আমাদের সকলেরই যে কোন ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি এই বিষয়টি সবারই জানা প্রয়োজন।

চলুন তাহলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে আপনি দুই আহারের মাঝখানে। অর্থাৎ আপনি দুপুরে খেয়েছেন আবার রাতে খাবেন ঠিক এর মাঝামাঝি সময় আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন। এটা করে ড্রাগন ফলের যে পুষ্টি উপাদান গুলো আছে সেগুলো সঠিকভাবে আপনার শরীরে কাজ করবে। খালি পেটে খেলে অথবা খাবারের পরপর খেলে পেটের ভিতরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

তাহলে নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি। চেষ্টা করবেন দুই আহারের মাঝখানে বিশেষ করে বিকেল বেলা খাওয়ার জন্য। আশা করি আপনি এই সময় খেলে সঠিকভাবে ড্রাগন ফলের পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবেন। খালি পেটে খেলে অথবা ভরা পেটে খেলে গ্যাস, বমি বমি ভাব, এলার্জি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন যেমন আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী তেমনি ড্রাগন ফলের খোসা আমাদের শরীরে অনেক উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে। ফল থেকে খোসা কোন কিছু ফেলে দেওয়ার মত নয়।অর্থাৎ ড্রাগন ফলের প্রায় সমস্ত কিছু আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন প্রকার উপকার করে থাকে। ড্রাগন ফলের খোসা আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার করে থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সমুহঃ

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
  • ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করে
  • দীর্ঘদিনের পুরনো আলসার দূর করতে সাহায্য করে
  • চুল ভালো রাখতে ড্রাগন ফলের খোসা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে
  • হার্টের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
  • রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে
  • চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে
  • হাত পায়ের গিরাই ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
  • হারের গঠন করতে সাহায্য করে

ড্রাগন ফলের দাম কত

আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে জানতে চান। ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় আমাদের দেশে দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে। মানুষের চাহিদা তুলনায় এর উৎপাদন খুবই কম। যদিও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে তারপরও সেটা খুব বেশি নয়। যার কারণে ড্রাগন ফলের দাম অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি। চলুন তাহলে ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।

আমাদের দেশে এলাকা ভেদে ও ফলের কোয়ালিটি ভেদে দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ যদি আপনার ড্রাগন একটু নরমাল কোয়ালিটির হয় তাহলে সেটি ৩০০ টাকা থেকে বিক্রি শুরু হয়। আবার যদি ড্রাগনের কোয়ালিটি একটু ভালো হয় তাহলে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়।এটা এলাকা ভেদে কমবেশি হতে পারে। তবে সর্বসাকুল্যে যদি ২০০ টাকা করে বিক্রি হতো তাহলে সমস্ত শ্রেণীর লোক এটি সহজে কিনে খেতে পারতো।
ড্রাগন ফল খেলে কি মোটা হয়

ড্রাগন ফল খেলে কি মোটা হয়

ড্রাগন ফল খেলে কি মোটা হয় আপনারা অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে অনেক চিন্তিত। ড্রাগন ফল খেয়ে মোটা হওয়ার কোন সুযোগ বা সম্ভাবনা নেই। কারণ ড্রাগনে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকলেও ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। যার ফলে আপনি যত বেশি ড্রাগন ফল খান না কেন আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ড্রাগন ফলের ইংরেজি নাম

ড্রাগন ফলের ইংরেজি নাম কি এই বিষয়ে আপনারা অনেকেই অনেক সময় অনুসন্ধান করে থাকেন।আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে সবকিছুর বাংলা নাম সহজেই জানি। কিন্তু সবকিছুর ইংরেজি নাম আমরা সহজেই জানিনা। অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে ড্রাগন ফল এর ইংরেজি নাম জানার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সময় মত সেগুলো হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। চলুন তাহলে ড্রাগন ফলের ইংরেজী নাম জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের দেশে বাংলায় এই ফলকে ড্রাগন ফল বললেও ইংরেজিতে এ ফলকে বলা হয় Dragon fruit. অর্থাৎ বাংলাতে এটাকে ড্রাগন ফল আর ইংরেজিতে Dragon fruit. ড্রাগন নাম বাংলা ইংলিশে একই শুধুমাত্র ফলের ক্ষেত্রে বাংলায় ফল এবং ইংরেজিতে fruit বলা হয়। আশা করি বিষয়টি আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি কোন কিছু না বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর


প্রতিদিন ড্রাগন ফল খাওয়া কি ক্ষতিকর?
প্রতিদিন ড্রাগন ফল খাওয়া কি ক্ষতিকর এ বিষয়টি আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আসলে একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ড্রাগন খাওয়া ক্ষতিকর নয়। কারণ এই ফলটি সবার জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে আপনার যদি শারীরিক কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ড্রাগন খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ড্রাগন ফলের কার্যকারিতা কি?
ড্রাগন ফল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। এ ফলটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। যেমন ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, ইমিউনিটি বেড়ে যায়, হার্ট ভালো থাকে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, হাড়ের গঠন ভালো হয়, হজম শক্তি বেড়ে যায় এরকম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।

ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া উচিত?

ড্রাগন ফল একজন মানুষের প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে, এর চেয়ে বেশি বা কম খেলে সমস্যা হতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে এই পরিমাণে খাওয়ার জন্য। এই পরিমাণে খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হবে। তাই প্রত্যেকেই চেষ্টা করতে হবে দিনে ২০০ গ্রাম ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য।

ড্রাগন ফল খেলে শরীর খারাপ হয় কেন?
ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে শরীর খারাপ হতে পারে, যাদের শরীরে আগে থেকেই সমস্যা আছে, তারা যদি একটু বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল খেয়ে ফেলে তাহলে, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন-এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে, গ্যাস বাড়তে পারে, পেট ব্যাথা হতে পারে, বমি ভাব হতে পারে এরকম সমস্যা হতে পারে। তাই যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ তারা ড্রাগন ফল খেলে তাদের শরীর খারাপ হতে পারে।

ড্রাগন ফলের জন্য কোন সার ভালো?
ড্রাগন ফলের জন্য সবচেয়ে ভালো যে সার তা হচ্ছে জৈব সার। কারণ জৈব সার ব্যবহার করলে ড্রাগন ফলে রোগ ব্যাধির আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার ড্রাগন ফলের ফলন বেশি হয়। জৈব সার বলতে পচা গোবর, সরিষার খৈল, হাড়ের গুঁড়া, শুটকির গুড়া, মুরগির বিষ্ঠা, রক্তের গুড়া ইত্যাদি।

শেষ কথাঃ ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার ও অপকার পাওয়া যায়

উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  এবং গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি বিষয়গুলো আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। ড্রাগন ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি ফল। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান আছে যেমন-ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ।

যার কারণে ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপকার পেয়ে থাকি যেমন-রক্তের হিমোগ্লোবেন বাড়ে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে, ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে যায়, ওজন কমে যায়, রক্তের কোলেস্ট্রল কমে যায়, রক্তের শর্করা কমে যায়, হার্ট ভালো থাকে, গর্ভে থাকার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালো হয়, হজম শক্তি বেড়ে যায় এরকম বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। এর পাশাপাশি কিছু কিছু অপকার করে থাকে যেমন।

এলার্জি বেড়ে যেতে পারে, পেট ব্যাথা হতে পারে, ডায়রিয়া হতে পারে, গ্যাস চাপ দিতে পারে এরকম বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে ড্রাগন ফল খেলে অপকার এর চেয়ে উপকার অনেক বেশি হয়ে থাকে। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি ড্রাগন ফল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। কারণ আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url