সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় - সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই বিষয়ে আপনারা অনেকেই গুগলে এ সার্চ
করে থাকেন। কারণ সরকারিভাবে বিদেশে গেলে একদিকে যেমন খরচ কম হয় অন্যদিকে তেমন
ঝুঁকি থাকে না। তাই আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার
উপায় খোজেন।
তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আজ আমরা জানবো সরকারিভাবে বিশ্বের কোন কোন দেশে যাওয়া
যায়। এছাড়া আরো জানব সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ও সরকারিভাবে বিদেশ
যেতে কত টাকা খরচ হয় । চলুন তাহলে আর দেরি না করে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে
নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় - সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়
- কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়
- দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ
- কত বছর বয়স হলে বিদেশ যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ কোন কোন দেশে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই বিষয়টি আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন।
কারণ জীবিকার তাগিদে কখন কাকে কোন দেশে যেতে হয় তা আগে থেকে বলা যায় না। তাই
যদি আপনার জানা থাকে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। তাহলে পরবর্তীতে এই
বিষয়গুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের দেশ থেকে
সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়।
আমাদের দেশ থেকে প্রায় ১৭২টি দেশে সরকারিভাবে যাওয়া যায়।
যেমন-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,ওমান, কাতার, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ভারত,
রোমানিয়া, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, ইতালি সহ আরো অন্যান্য অনেক দেশ। এসব দেশে
সরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যায় ও বিভিন্ন ধরনের কাজ করা
যায়। যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে এই
দেশগুলোর মধ্যে যে কোন একটি দেশের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আমাদের দেশ থেকে বিশ্বের যে দেশগুলোতে সরকারিভাবে যাওয়া যায় তার তালিকা
নিচে দেওয়া হলঃ
ক্রমিক নং | দেশের নাম | ক্রঃ নং | দেশ এর নাম |
---|---|---|---|
১ | জাপান | ২১ | রোমানিয়া |
২ | থাইল্যান্ড | ২২ | কানাডা |
৩ | অস্ট্রেলিয়া | ২৩ | যুক্তরাষ্ট্র |
৪ | কম্বোডিয়া | ২৪ | লিবিয়া |
৫ | শ্রীলংকা | ২৫ | লেবানন |
৬ | চীন | ২৬ | জর্ডান |
৭ | জামাইকা | ২৭ | সিঙ্গাপুর |
৮ | নিউজিল্যান্ড | ২৮ | ইতালি |
৯ | ফিনল্যান্ড | ২৯ | বাহারাইন |
১০ | ডেনমার্ক | ৩০ | কুয়েত |
১১ | মালদ্বীপ | ৩১ | কাতার |
১২ | সুইজারল্যান্ড | ৩২ | মালয়েশিয়া |
১৩ | যুক্তরাজ্য | ৩৩ | ওমান |
১৪ | ভারত | ৩৪ | সংযুক্ত আরব আমিরাত |
১৫ | অস্ট্রেলিয়া | ৩৫ | সৌদি আরব |
১৬ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩৬ | দুবাই |
১৭ | ফ্রান্স | ৩৭ | দক্ষিণ কোরিয়া |
১৮ | মরিসাস | ৩৮ | ইন্দোনেশিয়া |
১৯ | ব্রুনাই | ৩৯ | জর্ডান |
২০ | ইরাক | ৪০ | ডেনমার্ক |
সারা বিশ্বের ১৭২ টি দেশের মধ্যে এখানে ৪০ টি দেশের নাম দেওয়া হল। এই ৪০টি
দেশ ছাড়াও আপনি আরো ১৩২টি দেশে সরকারি ভাবে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায়
আপনি কি সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই
পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টে এখন আমি আলোচনা করব কিভাবে সরকারিভাবে ইউরোপে
যাওয়া যায়। যারা বিদেশে যেতে চান তাদের কাছে ইউরোপ হলো একটি স্বপ্নের মত। কারণ
ইউরোপের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে আপনি সরকারিভাবে কম খরচে যেতে পারবেন। এবং সেখান
থেকে প্রচুর টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
লেখালেখির চাকরী করে মাসে লাখ টাকা আয়
সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার আরো কিছু সুবিধা হল-তুলনামূলকভাবে খরচ কম হয় এবং
প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ আমাদের দেশে অনেক এজেন্সি আছে যার মাধ্যমে
গেলে আপনি বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হতে পারেন। যেমন আপনাকে যে কাজ দিবে বলে নিয়ে
যাবে, দেখা গেল সেখানে আপনাকে সেই কাজ না দিয়ে অন্য কাজ দিল। এছাড়াও বেসরকারি
এজেন্সের মাধ্যমে গেলে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
সরকারিভাবে ইউরোপে যেতে হলে আপনাকে সরকার মনোনীত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে
হবে। আবেদন করার সময় আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান সেই দেশকে সিলেক্ট করতে
হবে। এরপর ওই দেশের ভিসা নীতি অনুযায়ী আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
এছাড়াও ওই দেশে ভিসা পেতে হলে আপনার কোন কোন কাগজ প্রয়োজন সেই কাগজগুলো আপনাকে
সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
ইউরোপে ভিসা আবেদন করার উপায়ঃ
ইউরোপের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে দেখতে হবে কোন এজেন্সি সরকারি ভাবে
আপনাকে নিয়ে যাবে। সেই এজেন্সির সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর ঔ এজেন্সির
মাধ্যমে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান, সেই দেশকে বেছে নিতে হবে। এরপর ওই দেশের
ভিসা আবেদনের নিয়ম কানুন মেনে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর উক্ত ভিসা
পাওয়ার জন্য আপনার যেসব কাগজ প্রয়োজন সেই কাগজগুলোকে আপনার জমা দিতে হবে।
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়ঃ
ইউরোপে প্রায় ৫০ টি দেশ আছে, এগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোতেই সরকারি ভাবে যাওয়া
যায়। তবে সব দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় না। এর মধ্যে কিছু কিছু দেশ আছে
যেগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইউরোপের কোন দেশগুলোর
ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায়।
ইউরোপের যেসব দেশের ভিসা সহজ পাওয়া যায়ঃ
- সুইজারল্যান্ড
- পর্তুগাল
- ফ্রান্স
- মালটা
- নেদারল্যান্ড
- হাঙ্গেরি
- লিথুনিয়া
- লাটভিয়া
- ডেনমার্ক
- ফিনল্যান্ড
- জার্মানি
- ইতালি
- সুইডেন
যারা সহজেই ইউরোপের ভিসা নিয়ে বিদেশ যেতে চান তারা এই দেশগুলোর মধ্যে যে
কোন একটি দেশকে বেছে নিতে পারেন। কারণ এই দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে ভিসা পাওয়া
কিছুটা সহজ। বাকি যে দেশগুলো আছে সেগুলোতে ভিসা পাওয়া অনেকটা কঠিন। তাই
উপরে উল্লেখিত ১৩ টি দেশের মধ্যে আপনার পছন্দের দেশটিতে যেতে আপনি এখনি
আবেদন করতে পারেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় খুঁজছেন তাহলে আপনি সঠিক পোস্টটি পড়ছেন। কারণ এই
পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক এখন চায় সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। এতে করে একদিকে
যেমন খরচ কম হয় অন্যদিকে তেমন প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই চলুন জেনে
নেওয়া যাক সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
লুডু গেম খেলে লাখ টাকা আয় করুন
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে সরকারি কোন এজেন্সের মাধ্যমে
বিদেশে লোক পাঠানো হচ্ছে। তারপর আপনাকে ওই এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
যোগাযোগ করার পরে আপনি কোন দেশে যেতে চান, সেই দেশের নিয়ম কানুন আগে আপনাকে ভালো
ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এরপর ওই দেশের নিয়ম কানুন অনুযায়ী আপনাকে ভিসার জন্য
আবেদন করতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সেখানে জমা দিতে হবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে আপনাকে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
- আপনার বয়স ১৮ বছর উপরে হতে হবে, কারণ ১৮ বছরের নিচে বয়স প্রাপ্ত ব্যক্তি কে আমাদের দেশে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলা হয়। স্বাভাবিকভাবেই অপ্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তি বিদেশ যেতে পারবে না।
- আপনার পাসপোর্ট ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি আগে থেকে পাসপোর্ট করে থাকেন তার মেয়াদ আছে কিনা বা কতদিন আছে সেটা আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে। আর যদি আপনার নতুন করে পাসপোর্ট করতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে পাসপোর্টে দেওয়া আপনার তথ্য সঠিক আছে কিনা। অর্থাৎ আপনার এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট এর তথ্যে মিল আছে কিনা। তথ্যের মিল না থাকলে আপনি বিরাম্বনাই পড়তে পারেন।
- আপনি যে দেশে যেতে চান সেই দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য যে কাগজগুলো প্রয়োজন সেগুলোর ঠিকঠাক আছে কিনা ভালো করে দেখে নিতে হবে। যদি থাকে তাহলে ভালো আর না থাকলে দ্রুত আপনাকে সে কাগজগুলো ম্যানেজ করতে হবে।
- বিদেশে যেয়ে আপনাকে কোন ধরনের কাজ করতে হবে সেই কাজের বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে খুবই ভালো, না থাকলে আপনাকে ওই কাজের বিষয়ে অবশ্যই ট্রেনিং নিয়ে যেতে হবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়ঃ
আমাদের দেশ থেকে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সাধারণত তিন ধরনের ভিসা পাওয়া
যায় যেমন-
- শ্রমিক ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ভ্রমণ ভিসা
এই তিনটি ভিসাই যদি আপনি বিদেশ যেতে চান তাহলে চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে যাওয়ার
জন্য। এতে করে আপনার ঝুঁকি কম থাকবে । কারণ লোকাল এজেন্সির মাধ্যমে আপনি
গেলে সেখানে গিয়ে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে, আপনাকে বলে দেওয়া কাজের
সাথে ওখানকার দেওয়া কাজের মিল না হতে পারে। তাই সরকারি ভাবে গেলে আপনার অর্জিত
কষ্টের টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়
আমাদের দেশ থেকে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয় এটা প্রত্যেকেরই
জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা বিদেশ যেতে চান তাদের তো অবশ্যই জানা প্রয়োজন।
কারণ আপনি যদি না জানেন কত টাকা খরচ হয় তাহলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন। তাই আপনি
যদি আগে থেকেই জেনে থাকেন যে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়। তাহলে আপনি
প্রতারিত না হয়ে সঠিক টাকা খরচ করে বিদেশ যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আপনার যে টাকা খরচ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন
দেশে যেতে চান এবং কোন কাজে যেতে চান। বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে প্রতিমাসে
অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। সেই দেশে যেতে হলে স্বাভাবিকভাবে আপনার খরচ একটু বেশি
হবে। আবার যে দেশে কাজের চাহিদা কম বা ইনকাম কম সে দেশে যেতে আপনার খরচ কিছু
কম হবে। অনেক সময় এটা আবার কাজের উপর নির্ভর করে।
আপনি কোন কাজের উপর যেতে চান তার ওপর নির্ভর করে টাকা কম বেশি লাগতে পারে, যেমন
ধরুন আপনি ওই দেশের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার
বেতন বেশি হবে এবং আপনার খরচ একটু বেশি হবে। আমরা যদি মনে করেন লেবার হিসেবে যেতে
চান তাহলে আপনার খরচ কম হবে, সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হওয়ার সুযোগও অনেক কম
থাকে।
তবে আমাদের দেশ থেকে সাধারণত সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে ৫০ হাজার থেকে দু লক্ষ
টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এটা আপনি কোন দেশে যাবেন কি কাজের উপর যাবেন এরকম
নির্ভর করে। আবার বেসরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে আপনার ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বলা যায় সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার খরচ খুবই
কম। আমি এখানে যে টাকার পরিমান উল্লেখ করেছি সেটা কম বেশি হতে পারে।
কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়
আমাদের বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়, এই প্রশ্নটিই কম বেশি সবার
মনেই থাকে। কারণ যেহেতু আমরা অর্থনৈতিকভাবে একটি দুর্বল দেশ অর্থাৎ
আর্থিকভাবে সবাই খুবই সফল নয়। যার কারণে আমরা চেষ্টা করি কিভাবে কম খরচে কোন
দেশে যাওয়া যায় এটা জানার জন্য।আমাদের দেশ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে কম খরচে
যাওয়া যায়, চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কম খরচে কোন দেশে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে কম খরচে যে দেশগুলোতে যাওয়া যায় তার তালিকাঃ
- সৌদি আরব
- দুবাই
- ভারত
- মালয়েশিয়া
- ইতালি
- ফ্রান্স
- লিথুনিয়া
- পর্তুগাল
- মালটা
- সুইজারল্যান্ড
- নেদারল্যান্ড
- হাঙ্গেরি
- ইন্দোনেশিয়া
উপরে যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো এই দেশগুলো ছাড়াও আরো অনেক দেশ আছে যেখানে
আমাদের দেশ থেকে কম খরচে যাওয়া যায়। এবং সে দেশে কাজ করে টাকা ইনকাম করে আমার
দেশে পাঠানো যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম
খরচে যাওয়া যায়। তাই যারা কম খরচে বিদেশ যেতে চান তারা এই দেশগুলোতে আবেদন করতে
পারেন।
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে ভাবতেছেন তাহলে এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন। কারণ এই লেখার মধ্যে আলোচনা করব কিভাবে আপনি দালাল ছাড়া বিদেশ যেতে
পারবেন। দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া মানে একটা অনিশ্চয়তা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার
মত অবস্থা। কারণ দালাল আপনাকে বলবে একটা কিন্তু বাস্তবে করবে আর একটা। তাই এখন
আমাদের দেশের সরকার দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার একটা সহজ উপায় বের করে
দিয়েছেন।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়া যায়। এজন্য আপনাকে একটি
অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে। আমাদের দেশের প্রবাসীর কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ
তৈরি করেছেন। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন
করতে পারবেন। অর্থাৎ এর জন্য আপনার কোন রকম দালাল ধরার প্রয়োজন নেই। এখন প্রশ্ন
আসতে পারে এই অ্যাপসটা আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন চলুন তাহলে এই বিষয়ে জেনে
নেওয়া যাক।
- প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে Ami Probashi নামক অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে, এরপর আপনার পাসপোর্ট এর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে হোমপেজে প্রকাশ করে, চাকরি খুঁজুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি বিভিন্ন দেশের চাকরির সার্কুলার দেখতে পাবেন।
- আপনি কোন দেশে যেতে চান এবং কোন চাকরি করতে চান তার উপর আপনাকে ক্লিক করতে হবে, ক্লিক করার পরে আবেদনের একটি ফর্ম চলে আসবে, এরপর উক্ত আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কিছুদিন পর উক্ত কোম্পানি আপনার সকল তথ্য দেখে আপনাকে ভাইভা দেওয়ার জন্য মেসেজ দেবে, এর জন্য অবশ্য আপনাকে প্রথমে আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে মেসেজ অপশন চালু করে নিতে হবে।
- যেহেতু আপনি বাংলাদেশে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরির জন্য আবেদন করতেছেন, তাই ভাইভা দেওয়ার জন্য আপনাকে ওই দেশে যেতে হবে না। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন প্রতিনিধি যারা বাংলাদেশের অবস্থান করতেছে এবং বাংলাদেশের কয়েকজন প্রতিনিধি বসে আপনার ভাইবা নিবে।
- যদি আপনি তাদের প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে সিলেক্ট করবে। এবং আপনাকে তারা ভিসা দেবে। আর এভাবে আপনি দালাল ছাড়া আমি প্রবাসী অ্যাপস এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে পারবেন।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ আপনাকে নিতে হবে। এসব
পদক্ষেপ না নিলে আপনি কোনও কাজ ঠিকভাবে করতে পারবেন না। এমনকি আপনার বিদেশ যাত্রা
নাও হতে পারে। তাই বিদেশ যাওয়ার পূর্বে আপনাকে যে কাজগুলো বা যে পদক্ষেপগুলো
আপনাকে নিতে হবে সেগুলো আপনার আগে জানা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ কি কি।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহঃ
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে আপনাকে প্রথমে একটি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
- অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া যাবে না, তাই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বৈধ ভাবে যাওয়ার জন্য।
- পাসপোর্ট পাওয়ার পর প্রথমে আপনার নিজের জেলার জোন DEMO যেয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
- আপনি যে দেশে যেতে চান, সে দেশের ভাষা কি, সেটা জেনে সেই ভাষা শিখার প্রশিক্ষণ নিতেহবে ।
- সারাদেশের চল্লিশটি টিটিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ওখানে ভর্তি হয়ে ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
- পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ শেখার প্রশিক্ষণ নিতে হবে, বর্তমানে আমাদের দেশে ৬৪ টি টিটিসিতে ও ৬টি আইএমটিতে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
- সরকার অনুমোদিত বৈধ রিক্রটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যেতে হবে।
- চুক্তিপত্রে ভালো করে দেখে, শুনে, পড়ে, বুঝে তারপরে স্বাক্ষর করবেন।
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সমস্ত কাগজপত্র তিন থেকে চারসেট ফটোকপি করে সঙ্গে রাখবেন।
- বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হবে। টিভিসি-২ ।
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে তিনদিনের প্রাক বহিঃগমন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট ডি ই এম ও অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথবা আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।
- অনুমোদিত যেকোনো একটি মেডিকেল সেন্টারে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
- প্রবাসীদের সহযোগিতা ও সামগ্রিকভাবে কল্যাণের জন্য অয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের সাহায্য নিতে হবে।
- বিদেশ যেতে ও বিদেশ থেকে ফিরে স্বল্প সুদের ঋণ দিতে পারেন।
কত বছর বয়স হলে বিদেশ যাওয়া যায়
আমাদের দেশে কত বছর বয়স হলে বিদেশ যাওয়া যায় এই প্রশ্নটি আপনারা অনেকেই
করে থাকেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর। কারণ
১৮ বছর নিচে আমাদের দেশের সবাইকে নাবালক বলা হয়। অর্থাৎ স্বাবলক না হওয়া
পর্যন্ত কোন ব্যক্তি বিদেশ যেতে পারবেনা। শ্রমিক ভিসায় কম করে হলো ১৮ থেকে ২০
বছর বয়স আপনার হতে হবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। এর চেয়ে কম বয়স হলে আপনি শ্রমিক
বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
তবে এটা বিভিন্ন দেশের নিয়ম নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হতে পারে। কোন দেশে ২৫
বছরের নিচে এলাও নাই। আবার কোন দেশে ২০ বছরের নিচে কোন শ্রমিক ভিসা প্রদান করে
না। তাই সর্বনিম্ন ১৮ থেকে শুরু করে আপনি বিভিন্ন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে
পারবেন। আবার বেশি বয়সের লোকজনকে অনেক দেশেই ভিসা প্রদান করে থাকে না শ্রমিক
ভিসার জন্য। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে আপনি কোন দেশে যেতে চান সে দেশে কত বছর বয়সে
লোক নেয় সেটা আপনাকে আগে থেকে জেনে নিতে হবে।
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
কোন দেশে কাজের ভিসা পাওয়া সহজ?
কোন দেশের কাজের ভিসা পাওয়া সহজ এই বিষয়টি আপনারা অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে
এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। আমাদের দেশ থেকে সবচেয়ে ভিসা পাওয়ার সহজ হচ্ছে
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সৌদি
আরব, দুবাই ও আরব আমিরাত।
ইউরোপের কোন দেশে চাকরির সুযোগ বেশি?
ইউরোপের কোন দেশে চাকরি সুযোগ বেশি থাকে জেনে নিন। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে
চাকরির সুযোগ বেশি থাকে তার মধ্যে একটি হলো নেদারল্যান্ড। এছাড়াও সুইজারল্যান্ড,
হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, জার্মানি, সুইডেন ইতালি। ইউরোপের এই দেশগুলোতে চাকরির সুযোগ
সব সময় বেশি থাকে।
যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পাওয়া কি সহজ?
যুক্তরাজ্যের কাজের ভিসা পাওয়া খুব বেশি সহজ নয় আবার খুব বেশি কঠিন তাও নয়।
এখানে কাজে যেতে হলে আপনাকে যে কাগজপত্র প্রয়োজন, সে কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে
প্রদান করলে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। কিন্তু ওই কাগজ
গুলোর মধ্যে যদি কোন ঘাটতি থাকে, তাহলে কোন ভাবে আপনার ভিসা পাওয়ার সুযোগ নেই।
অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন দেশ ভালো?
অদক্ষ শ্রমিকের জন্য কোন দেশ ভালো আপনাদের অনেকেরই মনে এরকম প্রশ্ন থাকতে পারে।
তাই চলুন এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নেওয়া যাক। জার্মানি যুক্তরাজ্য ফ্রান্স
ইতালি স্পেন ও লুক্সেমবার্গ এই দেশগুলো অধ্যক্ষ শ্রমিক বেশি নিয়ে থাকে। কারণ
এখানে গোডাউনের কাজ, পরিষ্কারের কাজ, নির্মাণ কাজ সহ অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
কোন দেশে চাকরি পাওয়া সবচেয়ে সহজ?
কোন দেশে চাকরি পাওয়া সহজ জানেন কি না জানলে চলুন জেনে আসি। এই দিক থেকে যে দেশ
সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে তা হচ্ছে কানাডা। কানাডায় কাজের তুলনায় জনসংখ্যা খুবই
কম, এবং এই দেশটি খুবই অতিথি পরায়ন। তাই সহজেই এদেশে ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া
যায়।
শেষ কথাঃ কোন কোন দেশে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়
আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষই চিন্তা ভাবনা করে সরকারি ভাবে যদি বিদেশ যাওয়া
যেত তাহলে খুবই ভালো হতো। কারণ সরকারিভাবে বিদেশ গেলে একদিকে যেমন খরচ খুবই কম
লাগে অন্যদিকে তেমনি প্রতারিত হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। অর্থাৎ আপনি নিরাপদে যে
কোন দেশে ভাল একটি কাজ করতে পারবেন সরকারি ভাবে গেলে। আর যদি বেসরকারি এজেন্সির
মাধ্যমে যান তাহলে আপনার প্রতারিত হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তবে সব এজেন্সি
এক রকম নয়।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া
যায়, এছাড়া আরো জানতে পারলেন সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায়, সরকারিভাবে
বিদেশ যাওয়ার উপায়. সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয় এবং দালাল
ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়। আশা করি এই বিষয়গুলো আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে
পেরেছেন। কারণ এই পোষ্টের মধ্যেও এই বিষয়গুলো বিস্তারিত বলা আছে।
এই পোস্টটি পড়ার পরে যদি আপনার কোন বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট
বক্সে কমেন্ট করবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইট একটি তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট। এখানে
প্রতিদিন বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট পাবলিস্ট করা হয়। যেন আপনারা সব সময় সঠিক
তথ্য পান সেটাকে বেশি লক্ষ্য রাখা হয়। সব সময় সঠিক তথ্য পেতে এবং তথ্যবহুল
কোনকিছু জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। সবাইকে এই ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ
জানাই।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url