গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার ঝুঁকি


গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারণ কিসমিস হল প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা একজন গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই উপকার। তবে তার আগে জানতে হবে গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার কোন ঝুকি আছে কিনা।
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু এটি কিভাবে খেতে হবে, কখন খেতে হবে এই বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। না জেনে খাওয়ার কারণে উপকারের পরিবর্তে এটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা, অপকারিতা ও ঝুঁকি সম্পর্কে।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ  গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা -  গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার ঝুঁকি 

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিস হল অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর ও মজাদার একটি খাবার। গর্ভবতী মায়ের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার। কিসমিসের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান গুলো আছে তা গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশু উভয়েরই অনেক বেশি উপকার করে থাকে। কিন্তু অনেক গর্ভবতী মা জানেন না কিসমিস খেলে কি কি উপকার বা অপকার হয়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভ অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাঃ
কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যামান থাকায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কিসমিস অনেক উপকারী একটি খাবার। প্রতিদিন নিয়ম করে একজন গর্ভবতী মা কিসমিস খেলে সে ও তার গর্ভে থাকা শিশুর শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগ হয়। যার ফলে গর্ভে থাকার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালো হয়। দুজনেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। চলুন তাহলে  জেনে নেওয়া যাক গর্ব অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা গর্ভবতী মা সহ যেকোনো ব্যক্তির রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যেহেতু গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্ত উৎপাদন দরকার। তাই একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ মতো কিসমিস খেতে হবে। এটি শরীরের ভেতরে রক্ত উৎপাদন করার মাধ্যমে রক্তস্বল্পতা দূর করে। এনিমিয়া রোগীর জন্য অনেক বেশি কার্যকর খাবার হলো কিসমিস।

গর্ভবতী মায়ের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করেঃ কিসমিসের মধ্যে বিদ্যমান আছে গ্লুকোজ ও  ফ্রকটোজ। এই উপাদান গুলো গর্ভবতী মায়ের শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কিসমিস কে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ বলা হয়। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীর সাধারণত দুর্বল থাকে। তাই গর্ভবতী মায়ের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে নিয়মিত কিসমিস খাওয়া উচিত।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ কিসমিস এমন একটি খাবার যার মধ্যে আছে এন্টি কোলেস্টেরল। একজন গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত কিসমিস খায় তাহলে তার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট যার নাম হল বোরন। এটি মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা শিশুর স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায় ও মনোযোগ বেড়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করেঃ গর্ভবতী মা সহ যেকোনো ব্যক্তির যদি কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা থেকে থাকে। তাহলে তার জন্য উত্তম পরামর্শ হচ্ছে কিসমিস খাওয়া। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে উন্নত মানের ফাইবার। যা হজম শক্তিকে ত্বরান্বিত করে পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত কিসমিস খেতে হবে।

অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে আয়রন সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা মানুষের অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই যদি কোন গর্ভবতী মায়ের অনিদ্রা জনিত সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে তাকে পরামর্শ দিব নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার জন্য।

দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে বিটা কেরোটিন ও ভিটামিন এ। যা একজন গর্ভবতী মা সহ অন্যান্য যেকোনো ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। একজন গর্ভবতী মা সহ একজন সাধারণ মানুষ যদি, নিয়মিত কিসমিস খায় তাহলে তার চোখের দৃষ্টিশক্তি আগের চেয়ে একটু হলেও বেড়ে যায়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করেঃ যেহেতু গর্ভবতী অবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে হয়। তাই যাদের আগে থেকে উচ্চ রক্ত চাপ জনিত সমস্যা আছে, তাদের বেশি বেশি খাবার খাওয়ার কারণে আরো সমস্যা বাড়তে পারে। একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে তার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দ্রুত কেটে যাবে। এক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য পরামর্শ হচ্ছে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে নিয়মিত কিসমিস খাওয়া উচিত।

হাড় ও দাঁত মজবুত রাখেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে গুরুত্বপূর্ণ ক্যালসিয়াম নামক একটি উপাদান। যা গর্ভবতী মা সহ যেকোনো ব্যক্তির হার ও দাত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ হাড় ও  দাঁত মজবুত করার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ক্যালসিয়াম যা কিসমিসের মধ্যে বিদ্যমান আছে। তাই একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খেলে তার হার ও দাঁত মজবুত থাকে।

হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়ঃ কিসমিসের মধ্যে আছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম গর্ভবতী মায়ের হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। যার ফলে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তাই যদি একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খায় তাহলে তার হার্ট জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।

শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা একজন গর্ভবতীর মায়ের শরীরের বিভিন্ন কোষ কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। যার ফলে একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাইয়ের হাত থেকে সহজে রক্ষা পান।

জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করেঃ গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন কারণে জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এসব জন্মগত ত্রুটি দূর করার জন্য নিয়মিত কিসমিস খেতে হবে। কারণ কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক উপাদান বিদ্যামান রয়েছে। যার কারণে একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খেলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি আর থাকে না।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা

কিসমিস হল বহু গুনে একটি গুনান্বিত মজাদার একটি খাবার। এটি খেলে যেমন শরীরের জন্য অনেক উপকারী, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এটি শরীরের জন্য অনেক বেশি অপকারিতা বা ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসে। প্রত্যেক জিনিসেরই উপকারী এবং অপকারী দুইটা দিক থাকে। তেমনি কিসমিসের যেমন উপকারি দিক আছে তেমন অপকারী বা ক্ষতির দিকও আছে। কিসমিস খেলে কি কি অপকার বা ক্ষতি হতে পারে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা সমুহঃ
  • অতি লাভের আশায় বেশি কিসমিস খেলে ডায়রিয়া জনিত সমস্যা হতে পারে। তাই কখনোই অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া যাবে না।
  • কিসমিস খেয়ে যে সব অপকারিতা দেখা যায় তার মধ্যে একটি হলো পেটব্যথা, বেশি কিসমিস খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য পরিমিত মাত্রায় কিসমিস খেতে হবে।
  • যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা আগে থেকেই থাকে, তাহলে আপনার জন্য কিসমিস না খাওয়াই ভালো, কারণ কিসমিস খেলে গ্যাস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যদিও খান তবে সেটা অবশ্যই পরিমাণমতো খেতে হবে।
  • কিসমিস খেলে শরীরে পুষ্ট উপাদান যোগ হয় ঠিকই, কিন্তু যদি আপনি বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • পেট ফোলা জনিত সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে, তাই কিসমিস খাওয়ার সময় আপনাকে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা।
  • যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা আছে তাদের কিসমিস না খাওয়াই ভালো, যদি কোনো কারণে আপনাকে খেতেই হয়, তবে সেটা খুবই অল্প পরিমাণ খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার ঝুঁকি 

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার ঝুঁকি আছে কি, এরকম প্রশ্ন আপনারা অনেকেই করে থাকেন। গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন খাবার খাওয়া যেমন উপকারী, তেমনি কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো অনেক বেশি ক্ষতিকর। কিন্তু কিসমিস খেলে গর্ভ অবস্থায় কোন ঝুঁকি আছে কিনা অথবা কিসমিস খেলে কিভাবে খেতে হবে বা কি পরিমান খেতে হবে। চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
কিসমিসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে, কিন্তু কিসমিসের মধ্যে আয়রনের পাশাপাশি আছে অনেক বেশি মিষ্টি ও ক্যালরি। যার ফলে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে, বিশেষ করে অতিরিক্ত খাবার ফলে, গর্ভবতী মায়ের ওজন অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার ফলে গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস জনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন।

কিসমিসের মধ্যে আছে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ও সামান্য পরিমাণে কীটনাশক, যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর না হলেও, গর্ভে থাকা শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর, এ জন্য গর্ব অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার আগে ভেবে চিন্তে ও পরিমাণমতো খেতে হবে। অতি লাভের আশায় বেশি পরিমাণে কিসমিস খেয়ে ফেললে হিতে বিপরীত হয়ে আপনি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খেলে আরো যেসব ঝুঁকি হতে পারেঃ
  • পেটব্যথা জনিত সমস্যা হতে পারে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা হতে পারে
  • শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে পারে
  • পেট ফাঁপা জনিত সমস্যা হতে পারে
  • গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা হতে পারে
  • এলার্জি রোগ থাকলে আরো বেড়ে যেতে পারে
  • বদ হজম জনিত সমস্যা হতে পারে

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত, এটা প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়ের জানা প্রয়োজন। কারণ আপনি নিশ্চয়ই জানেন কিসমিস একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি খাবার। এটি গর্ভবতী মা কে যেমন বিভিন্নভাবে উপকৃত করে তেমনি গর্ভে থাকা শিশু কেউ বিভিন্নভাবে উপকৃত করে থাকে। তাই আগে আপনাকে জানতে হবে একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন  কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত। চলুন তাহলে এই বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম এর বেশি কিসমিস খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন সব্বোর্চ ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস নিয়ম করে খেতে হবে। অনেকে আবার বেশি পুষ্টি লাভের আশায় বেশি পরিমাণে কিসমিস খেয়ে ফেলে। যেটা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করবেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ গ্রাম অথবা চা কাপের হাফ কাপ প্রতিদিন খেতে হবে।

এর চেয়ে বেশি খেলে গর্ভবতী অবস্থায় বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আবার পরিমাণে কম খেলে শরীরে পুষ্টি উপাদান যোগ হবে না। তাই চেষ্টা করতে হবে সঠিক মাত্রায় কিসমিস খাওয়ার জন্য। কারণ কিসমিস গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে এক্ষেত্রে কোন গর্ভবতী মা কিসমিস যদি খেতে না পারেন, তাহলে তাকে জোর করে খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। কারণ এমন অনেক গর্ভবতী মা আছে কিসমিসের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা।

কিসমিসের পুষ্টি উপাদান সমুহ

একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কিসমিস খাওয়া প্রয়োজন কিন্তু কিসমিসের মধ্যে কি পুষ্টি উপাদান আছে। এটা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কিন্তু কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই তার মধ্যে কি পুষ্টি উপাদান আছে সেটা জানা প্রয়োজন। এতে করে খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। কারণ আপনি যদি কিসমিসের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে যান, তাহলে নিশ্চয়ই নিয়ম করে প্রতিদিন কিসমিস খাবেন। চলুন তাহলে কিসমিসের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদানগুলো বিদ্যমান তা হলঃ

ক্রমিক নং পুষ্টি উপাদানের নাম পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ
এনার্জি ৩০৪ কিলো ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬
ফাইবার ১.১ গ্রাম
ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম
প্রোটিন ১.৮ গ্রাম
আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম
১০ শর্করা ৭৯.১ গ্রাম
১১ স্নেহ পদার্থ ০.৪৬ গ্রাম
১২ লৈাহ ১.৮৮ মিলি গ্রাম
১৩ ম্যাগনেসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম
১৪ সোডিয়াম ১১ মিলিগ্রাম
১৫ জিংক ০.২২ মিলিগ্রাম 

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া কি নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের কিসমিস খাওয়া কি নিরাপদ না অনিরাপদ। আমার মনে হয় প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়ের এই কথাটি অবশ্যই জানা প্রয়োজন। গর্ভের সন্তানকে ভালো রাখার জন্য এ বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। কিসমিস খাওয়া একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য যেমন অনেক বেশি উপকারী সেটা আমরা কিছুক্ষণ আগে জেনেছি, কিন্তু কিসমিস খাওয়া একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটুকু নিরাপদ  চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভ অবস্থায় কিসমিস খাওয়া একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অবশ্যই নিরাপদ। তবে সেটা নির্ভর করে একজন গর্ভবতী মা কিভাবে খাবেন বা কতটুকু খাবেন। কারণ কিসমিস গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী এটা মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু সেটা খাওয়ার পরিমাণ ও সময়ের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

আবার সময়ের উপর নির্ভর করে এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা সুবিধার মুখোমুখি হতে পারেন। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণ কিসমিস খেতে হবে। একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেতে হবে। এটা দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায় তবে চেষ্টা করতে হবে সকাল বেলা খাওয়ার জন্য। কোন ভাবেই কিসমিস একজন গর্ভবতী মা রাত্রিবেলা খাওয়া যাবে না। এতে করে উপকার হচ্ছে ক্ষতি বেশি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া কি নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যদি একজন গর্ভবতী মা জেনে বুঝে নিয়মিত কিসমিস খায় তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগ হয়। এবং সেই গর্ভবতী মা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয় গর্ভের শিশুসহ। কিন্তু খাওয়ার নিয়ম যদি কোন গর্ভবতী মা না জেনে থাকেন তাহলে এটি উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিকর দিক বয়ে নিয়ে আসতে পারে।

তাই একজন গর্ভবতী মাকে সর্বপ্রথম গর্ব অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ব অবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় কিসমিসের সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পেতে হলে আপনাকে যা করতে হবে তা হল-আগের দিন রাত্রে বেলা পরিষ্কার পানিতে কিসমিস গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর এক গ্লাস পানির মধ্যে ১০০ গ্রাম পরিষ্কার পানিতে ধোঁয়া কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারারাত ওই কিসমিস গুলো পানিতে ভিজবে এবং এর পুষ্ট উপাদান গুলো পানির সঙ্গে মিশে যাবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে উক্ত কিসমিস সহ সমস্ত পানি খেয়ে ফেলতে হবে।

যদি কোন গর্ভবতী মা এভাবে নিয়মিত কিসমিস খান তাহলে ওই গর্ভবতী মায়ের জন্য কিসমিস খুবই উপকারী হবে এবং গর্ভের শিশু থাকবে খুবই ভালো। কিন্তু যদি এই নিয়ম না মেনে, অন্য কোন নিয়ম মেনে কিসমিস খায়, তাহলে হয়তোবা যেকোনো সময় যে কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। তাই কিসমিসের সর্বাধিক সুবিধা পেতে হলে আপনাকে সকাল বেলা খালি পেটে এ নিয়মে খেতে হবে। আশা করি বিষয়টি আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলারা কিসমিস খেতে পারবেন?

অনেক সময় আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন গর্ভকালীন ডায়াবেটিকস আক্রান্ত মহিলারা কিসমিস খেতে পারবেন কি না। আমরা এই পোষ্টের ওপরের অংশে জেনে এসেছি গর্ভ অবস্থায় অতিরিক্ত কিসমিস খেলে ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা বাড়তে পারে। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন থেকে যায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলারা কিসমিস খেতে পারবেন কিনা। এক্ষেত্রে উত্তর হবে অবশ্যই খেতে পারবেন।

তবে সেটা নিয়ম মেনে পরিমান মত খেতে হবে। যদি নিয়ম মেনে না খায় তাহলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বিশেষ করে ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা বেশি হতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত মহিলারা কিসমিস খাবেন স্বাভাবিক একজন গর্ভবতী মহিলা যে পরিমাণ কিসমিস খায় তার চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ। অর্থাৎ একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত গর্ভবতী মা সর্বোচ্চ দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম কিসমিস খেতে পারবেন।

খাওয়ার নিয়ম একই। অর্থাৎ সকালবেলা খালি পেটে কিসমিস সহ মিশ্রিত পানি খেয়ে নিতে হবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে গর্ব অবস্থায় কিসমিস খাওয়ার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারন আপনার ডায়াবেটিস কত মাত্রায় আছে এই অবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা, একমাত্র ডাক্তার আপনাকে চেকআপ করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। তাই গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কিসমিস খেলে কি মোটা হওয়া যায়

কিসমিস খেলে কি মোটা হওয়া যায়, না ওজন কমে যায়। এরকম বিভিন্ন প্রশ্ন আমাদের কাছে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। অবশ্য এটি প্রত্যেকটা ব্যক্তির জানা প্রয়োজন কিসমিস খেলে মোটা হয় না ওজন কমে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। কিসমিস অনেক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি খাবার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিসমিস খেলে আপনি মোটা হবেন না চিকন হবেন।

যদি আপনি প্রতিদিন ১০০ গ্রামের অধিক কিসমিস নিয়মিত খান তাহলে আপনার ওজন ধীরে ধীরে বেড়ে যাবে অর্থাৎ আপনি মোটা হবেন। কারণ কিসমিসের মধ্যে চিনি ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়ম করে ১০০ গ্রামের অধিক কিসমিস খেতে পারেন তাহলে নিশ্চিতভাবে তার ওজন দিয়ে যাবে। কিন্তু যদি প্রতিদিন আপনি অল্প পরিমান কিসমিস খান তাহলে কি হবে। কিসমিস খেলে যেমন ওজন বেড়ে যায় তেমনি কিসমিস আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম কিসমিস নিয়ম করে খায় তাহলে তার ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়। বিশেষ করে যদি খালি পেটে কিসমিস খাওয়া যায় তাহলে তার খুদার ভাবটা অনেক কমে যায়। আর ক্ষুধা কমে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে খাবার পরিমানে কম খাবে। এভাবে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে অন্যান্য খাবার সে পরিমাণ কম খাবে। আর খাবার কম খাওয়ার ফলেই তার ওজন স্বাভাবিকভাবে কমে যাবে বা সে মোটা হবে না
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া নিয়ে সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া নিয়ে সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে কিসমিস খাওয়া নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কোন গর্ভবতীর মা সতর্কতা অবলম্বন করে যদি কিসমিস না খায় তাহলে তার উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই কিসমিস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু একজন গর্ভবতীর মাকে কিসমিস খাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আগে এই বিষয়টি জানা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া নিয়ে সতর্কতা সমুহঃ
  • গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া যাবেনা, কারণ অতিরিক্ত কিসমিস খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়ে যেতে পারে।
  • কিসমিস খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সকাল বেলা খালি পেটে খেতে হবে, কারণ খালি পেটে কিসমিস খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, ভরা পেটে কিসমিস খেলে উপকারিতা কম হয়।
  • কিসমিস অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে খেতে হবে, তার কারণ হলো কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য, এতে করে কিসমিস থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
  • শুকনা কিসমিস খেলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, গর্ব অবস্থায় শুকনা কিসমিস খেলে পেট ব্যথা, এলার্জি গ্যাস এরকম বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
  • প্রতিদিন পরিমাণ মতো কিসমিস খেতে হবে, অর্থাৎ একজন গর্ভবতী মাকে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেতে হবে, এর চেয়ে বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত?

গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এই প্রশ্নটি অনেকে করে থাকেন। গর্ব অবস্থায় একজন মহিলাকে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম অথবা এক মুষ্টি কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি কোন কারনে সমস্যা মনে হয় তাহলে অন্ততপক্ষে ২০ গ্রাম পর্যন্ত কিসমিস খেতে হবে। এর চেয়ে কম খেলে অথবা বেশি খেলে কম বেশি বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস কি খাওয়া উচিত? 

গর্ভ অবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার যেমন- মাছ, দুধ,ডিম,ওটস,ভূট্টা, গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, টমেটো,মটরশুঁটি,ক্যাপসিকাম,আম,কলা,কমলা,জাম্বুরা,বাঙ্গি,পেয়ারা,মাল্টা, খেজুর, কিসমিস, বিশুদ্ধ পানি, চিয়া সিড,মুরগির মাংস ও টাটকা শাকসবজি। এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া যাবে না?

গর্ভ অবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে বিভিন্ন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও একটি ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়, আর সেই ফলটি হল আঙ্গুর, কারণ আঙ্গুরের মধ্যে বিভিন্ন বিষাক্ত যৌগ ছাড়াও আরো কিছু উপাদান আছে যেগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই গর্ব অবস্থায় অন্যান্য ফল খাওয়া গেল আঙ্গুর ফল কোনভাবেই খাওয়া যাবে না।

গর্ভাবস্থায় কি দুধ খাওয়া ভালো?

গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়া কি ভালো এটা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। গর্ব অবস্থায় দুধ খাওয়া একজন গর্ভবতী মা ও শিশু দুজনের জন্যই ভালো। কারণ দুধের মধ্যে অনেক পুষ্টিউপাদান বিদ্যমান আছে, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম অনেক বেশি বিদ্যমান আছে। যা একজন গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিপূরনের সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কতবার লাল মাংস খাওয়া উচিত?

একজন গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত লাল মাংস খাওয়া উচিত। তার আগে জানতে হবে কতটুকু লাল মাংস খাওয়া নিরাপদ। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ আউন্স দিনে সর্ব্বোচ ১-২ বার লাল মাংস খাওয়া প্রয়োজন। তবে এর থেকে বেশি নয়। অর্থাৎ প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ পিস লাল মাংস দিনে সর্ব্বোচ ১-২ বার খেতে হবে। এর চেয়ে বেশি পরিমাণে খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কিসমিস খেলে কি কি উপকার ও অপকার পাওয়া যায়


গর্ভাবস্থায় কিসমিস একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কারণ কিসমিসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। একজন গর্ভবতী মা নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তান অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে গর্ভে থাকে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির বেশি হয় এবং বুদ্ধির বিকাশ ভালো হয়। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে কোনভাবেই জানো গর্ভবতী মায়েরা প্রয়োজনের বেশি কিসমিস না খায়।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়া আপনারা আরো জানতে পারলেন গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার ঝুকি কতটুকু, কিসমিসের পুষ্টি উপাদান ও গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয়গুলো আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাই আপনার আশেপাশে থাকা গর্ভবতী মা ও শিশুকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দিন।

উপরের আলোচনার কোন অংশ যদি আপনি বুঝতে না পারেন অথবা এই সংক্রান্ত আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। চেষ্টা করব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। আমাদের এই সাইটে নিয়মিত বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট পাবলিশ করা হয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্য সমৃদ্ধ সকল খবর জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url