রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
প্রিয় পাঠক আপনি কি রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার উপায়
খুজছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য, কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার উপায়
সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এখানে আমি তুলে ধরব। তাই ভালোভাবে বুঝার জন্য আর্টিকেলটি
শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আসছে কিনা এটা জানার জন্য বারবার বিআরটিএ অফিসে যাওয়া খুবই
বিরক্তিকর একটি বিষয়। তাই আপনি কিভাবে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জেনে
নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার
- এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে যা যা প্রয়োজন
- ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম
- মটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আপনার করণীয় কি
- রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম ২০২৪
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
কিভাবে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক চেক করা যায় এ
বিষয়ে আপনারা অনেকেই জানতে চান। চলুন এই বিষয়ে যাবতীয় সকল তথ্য জেনে নেওয়া
যাক। বর্তমান যুগে আমরা কম বেশি সবাই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স
এর সকল কার্যক্রম শেষ করার পরে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আসলো কিনা তা জানার জন্য
আপনাকে বারবার বিআরটিএ অফিসে যেতে হয়।
এতে করে একদিকে যেমন সময় অপচয় অন্যদিকে তেমন বিরক্তিকর মনে হয়। আবার দালাল
চক্রের বিষয়টা তো থেকেই যায়। এইসব ঝামেলা থেকে আমরা প্রত্যেকেই মুক্তি
পেতে চাই। এই সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নিয়ে এখন আমি আলোচনা করবো।
অর্থাৎ কিভাবে আপনি ঘরে বসে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এসেছে কিনা চেক করতে পারবেন
এই বিষয়ে এখন আপনাদেরকে জানাবো।
ঘরে বসে যেভাবে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করবেনঃ
- এর জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার স্মার্টফোনে একটি অ্যাপস ইনস্টল করে নিতে হবে, অ্যাপসটির নাম হল BRTA DL Checker ।
- ইনস্টল হয়ে যাওয়ার পর প্রথমে ওপেনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ চলে আসবে, যেখানে DL No/ BRTA Ref. No. নামক একটি অপশন চলে আসবে।
- এখানে আপনাকে আপনার লাইসেন্স নম্বর অথবা রেফারেন্স নাম্বার টাইপ করতে হবে, অথবা ডান পাশে একটি স্ক্যান করার অপশন আছে সেখানে ক্লিক করে আপনি স্ক্যান করে নিতে পারেন।
- এরপর নিচে আপনার জন্ম তারিখের একটি অপশন চলে আসবে, যেখানে আপনারা সঠিক জন্ম তারিখ টাইপ করতে হবে।
- তাহলে রেফারেন্স নাম্বার এবং জন্মতারিখ টাইপ করার পরে নিচের দিকে দেখবেন সার্চ নামক একটি অপশন আছে, যেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
- ক্লিক করার পরে এই অ্যাপসটি আপনার দেওয়া রেফারেন্স নাম্বার ও জন্ম তারিখ অনুযায়ী কার্ড খুজবে, এতে করে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগতে পারে।
- এরপর অ্যাপসটি আপনাকে দেখাবে আপনার লাইসেন্সের অবস্থা এখন কি। অর্থাৎ আপনার লাইসেন্সটি তৈরি হয়েছে কিন্তু প্রিন্ট হয়নি, অথবা প্রিন্ট হয়েছে কিন্তু এখনো আপনার নিকটস্থ বিআরটিএ অফিসে যায়নি।
- অথবা আপনার কার্ডটি আপনার নিকটস্থ বিআরটিএ অফিসে জমা হয়ে আছে আপনাকে দেওয়ার জন্য।
- এই তিনটি অপশনের মধ্যে যে কোন একটি অপশন আপনাকে তারা দেখাবে।
- আর এভাবেই আপনি ঘরে বসে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয় জানেন কি, যদি না জেনে থাকেন তাহলে
এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ এখন আমি আলোচনা করব কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করতে হয়। তাহলে চলুন কিভাবে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় এই সম্পর্কে
যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য বেশ
কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা যায়। যার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-
আরো পড়ুনঃ
জিবনে বড় হতে হলে কি করতে হবে
- মোবাইলে BRTA DL Chaker ব্যবহার করে
- ডেক্সটপে রেফারেল নাম্বার ব্যবহার করে
- মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে
মোবাইলে BRTA DL Chaker ব্যবহার করেঃ এর জন্য প্রথমে
আপনাকে BRTA DL Chaker নামক অ্যাপসটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে
হবে। ইন্সটল হয়ে যাওয়ার পরে উক্ত অ্যাপের ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। ওখানে
রেফারেন্স নাম্বার অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার চাবে এবং নিচে আপনার
জন্ম তারিখ চাবে। এই দুই তথ্য দেওয়ার পর সার্চ অপশনে ক্লিক করলে কয়েক সেকেন্ড
অথবা কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত হয়েছে কিনা আপনি চেক
করতে পারবেন।
ডেক্সটপে রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করেঃ প্রথমে আপনাকে যেকোনো একটি
ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করতে হবে বিআরটিএ ওয়েব সাইট। সার্চ করার পর বিআরটিএ ওয়েব
সাইট আসলে সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর সেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স নামক একটি অপশন
দেখতে পাবেন ওখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার সামনে একটি বক্স চলে আসবে যেখানে
রেফারেল নাম্বার দেওয়ার অপশন থাকবে।
উক্ত বক্সে রেফারেন্স নাম্বার দিতে হবে এবং নিচে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ দিতে হবে।
সঠিকভাবে এই দুইটি বক্স এবং করা হয়ে গেলে, নিচে লেখা সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে
হবে। ক্লিক করার পরে কিছুক্ষণ সময় নেবে। এরপর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর
বর্তমান কি অবস্থা তার ছবি সহ এখানে প্রদর্শন করবে। আর এই সম্পূর্ণ কাজটি আপনি
বিআরটিএ তে না যেয়ে ঘরে বসে করতে পারবেন।
মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেঃ এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার জন্য প্রথমে এসএমএস অপশনে যেতে হবে। এরপর ওখানে গিয়ে লিখতে
হবে DL এরপর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর রেফারেন্স নাম্বার লিখতে হবে,
লেখা হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে 26969 নাম্বার টাইপ করে সেন্ড করতে হবে।
উদাহরন- DL 256978745 26969. মেসেজ সেন্ড করার কিছুক্ষণ পরে ফিরতে
একটা মেসেজ আসবে, যেখানে আপনার ড্রাইভিং সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য লেখা থাকবে।
নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে কিভাবে করতে হয় চলুন জেনে নেওয়া
যাক। আমরা এর আগে জানলাম বিএল অ্যাপ ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,
সরাসরি ওয়েবসাইটে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক ও এসএমএসের মাধ্যমে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক। এই তিনটা পদ্ধতির মধ্যে কোন জায়গাতেই নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করার অপশন বলা হয়নি। কারণ আমাদের দেশে এই সিস্টেমটা এখনো চালু হয়নি।
আরো পড়ুনঃ
লেখালেখি করে মাসে লাখ টাকা আয়
চালু না হওয়ার মূল যে কারণটা হলো একই নামে একই জেলায় অনেক ব্যক্তি থাকতে
পারে। শুধু নাম দিয়ে সার্চ করতে গেলে একই সঙ্গে অনেকগুলো ফলাফল দেখাবে। যার
মধ্যথেকে আপনার নাম খুঁজে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য একটা বিষয়। এই কারণে আপাতত এই
সিস্টেমটা চালু হয়নি তবে এটি দ্রুত চালু হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে আপনি
উপরের দেওয়া তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজেই ঘরে বসে
চেক করতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয় জানেন কি, যদি না
জেনে থাকেন তাহলে এই লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন। মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে এসএমএস অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে
প্রথমে লিখতে হবে DL এরপর লিখতে হবে রেফারেন্স নাম্বার 2564589 এবং এটি
পাঠাতে হবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে। এসএমএস টি সেন্ড করার কিছুক্ষণ পরে
ফিরতি মেসেজ আপনাকে জানানো হবে আপনার লাইসেন্স কি অবস্থায় আছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান।
চলুন এই বিষয়ে আজকে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার
জন্য এই সফটওয়্যারটি আপনি ব্যবহার করে ঘরে বসে অথবা যে কোন জায়গায় অবস্থান করে
আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন আপনাকে বিআরটিএ
অফিসে যেতে হবে না অন্যদিকে তেমনি আপনার বিরক্তি বোধ হবে না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য যে সফটওয়্যার এর কথা বলছি তার নাম হলো BRTA DL
Checker. এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যাবতীয় তথ্য আপনি
জানতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার স্মার্টফোনে ইন্সটল করে নিতে হবে।
ইনস্টল হয়ে গেলে অ্যাপস এ প্রবেশ করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার অথবা
রেফারেন্স নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সার্চ অপশনে ক্লিক করার
কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার লাইসেন্সের যাবতীয় তথ্য এখানে দেখা যাবে।
এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন জেনে নিন। আমার
দেশে এখনো অনেক মানুষ আছে যাদের হাতে স্মার্টফোন নাই। যদি স্মার্ট ফোন না থাকে
তাহলে তো আপনি অ্যাপস ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন না। তাই
আপনার সুবিধার জন্য এই অপশনটি আছে। প্রথমে আপনাকে এসএমএস অপশনে গিয়ে লিখতে হবে
DL স্পেস দিয়ে লিখতে হবে রেফারেন্স নাম্বার যেমন 4586598,
এরপর এই এসএমএসটিকে সেন্ড করার জন্য 26969 নাম্বার চাপতে হবে। এসএমএস
সেন্ড করার কিছুক্ষণ পরে আপনার কাছে একটিভ ফিরতি এসএমএস আসবে, যেখানে আপনার
লাইসেন্সের বর্তমান কি অবস্থা তার বিস্তারিত লেখা থাকবে। আপনি সহজেই জানতে পারবেন
আপনার লাইসেন্স বর্তমানে কি অবস্থায় আছে। এক্ষেত্রে আপনাকে বিআরটি অফিসে যেতে
হবে না অথবা কোন দালাল এর হেল্প নিতে হবে না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে যা যা প্রয়োজন
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে যা যা প্রয়োজন সেই বিষয়টি আগে আপনাকে জানতে
হবে। কারণ আপনি যদি না জানেন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য কি কি লাগবে, তাহলে
আপনি বিরম্বনার শিকার হতে পারেন। তাই চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করতে কি কি প্রয়োজন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে যা যা প্রয়োজনঃ
- আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডের নাম্বার( লাইসেন্স রিনিউ করার ক্ষেত্রে)
- লাইসেন্স এর সকল প্রক্রিয়া শেষ করার পরে আপনাকে যে সর্বশেষ কাগজ দিয়েছে সেই কাগজে দেওয়া রেফারেন্স নাম্বার।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ
এই তিন ধরনের তথ্য দিয়ে আপনি ঘরে বসে লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। তবে যদি আপনার
এই তথ্যগুলো না থাকে তাহলে কোন ভাবেই আপনি অনলাইনে অথবা এসএমএস দিয়ে অথবা অ্যাপস
ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন না। ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করতে হলে আপনাকে এই তথ্যগুলো অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আসলে
এই বিষয়টি আপনাদের জানা থাকলে খুব সহজে আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে
যাবতীয় তথ্য। আপনি ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য তিনটি নিয়ম ফলো
করতে পারেন। এই নিয়মগুলো ফলো করে আপনি দ্রুত আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার ৩টি নিয়মঃ
- মোবাইলে BRTA DL Checker অ্যাপ ব্যবহার করে
- এসএমএসের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
- সরাসরি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
মটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
মটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়টি আমাদের
প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। যারা এই বিষয়টি সঠিক ভাবে জানেন না তারা দালালদের
চক্রে পড়ে বিভিন্নভাবে অনেক বেশি টাকা খরচ করে থাকেন। তাই এই বিষয়টি যদি আপনার
আগে থেকেই জানা থাকে তাহলে আপনি বিরম্বনার শিকার হতে মুক্তি পাবেন। তাই চলুন জেনে
নেওয়া যাক বর্তমান সময়ে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে।
মটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগেঃ
- ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লার্নার করতে হবে, লার্নার করার জন্য আপনার খরচ হবে ৩৫০ টাকা।
- এরপর ১০ বছরের লাইসেন্স বাবদ সমস্ত ফি সহ মোট খরচ হবে ৪৫৫৭ টাকা। এরমধ্যে কার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের খরচ এর হিসাব ধরা আছে।
- অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আপনাকে এই পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে, তবে পেশাদার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেক কম হবে।
- পেশাদার লাইসেন্স করতে আপনার খরচ হবে ২৪৮৭ টাকা। তবে পেশাদার লাইসেন্স সাধারণত ৫ বছরের জন্য হয়।
- তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন পেশাদার লাইসেন্স এর জন্য কত টাকা খরচ হবে এবং অফিসের লাইসেন্সের জন্য কত টাকা খরচ হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আপনার করণীয় কি
যেহেতু ড্রাইভার লাইসেন্স করেছেন আপনি ড্রাইভিং করার জন্য, আর ড্রাইভিং করার জন্য
আপনার বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। ছোটাছুটি করার কারণে যদি আপনার ড্রাইভিং
লাইসেন্স হারিয়ে যায় তাহলে আপনার করণীয় কি। এই বিষয়টি আপনারা অনেকেই জানতে
চান। কারণ এই বিষয়টি জানা থাকলে আপনি কোন সময় প্রতারিত হবেন না। তাই চলুন জেনে
নেওয়া যাক আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আপনার করণীয় কি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আপনার করণীয় কিঃ
- প্রথমত আপনাকে যে এলাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্সটি হারিয়ে গিয়েছে সেই এলাকায় মাইকিং করে অনুরোধ করা, যদি কোন ব্যক্তি লাইসেন্স পেয়ে থাকে তাহলে যেন আপনাকে ফেরত দিয়ে যায়।
- সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে একটি ফটোকপি রাখতে হবে।
- যদি আপনার কাছে ফটোকপি থাকে তাহলে উক্ত ফটোকপি দিয়ে আপনার নিকটস্থ থানায় একটি জিডি করতে হবে। না থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার দিয়ে জিডি করতে হবে।
- আপনার ওই লাইসেন্সের বিপরীতে কোন মামলা-মোকদ্দমা আছে কিনা, অর্থাৎ কোন ট্রাফিক সার্জেন্ট মামলা দিছে কিনা, যদি কোন মামলা থাকে তাহলে সে মামলার বিষয়ে ট্রাফিক অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
- পুনরায় বিআরটিএ অফিসে গিয়ে আপনার লাইসেন্সের আরেকটি অনুলপির জন্য আবেদন করা এবং উক্ত লাইসেন্স কপি সংগ্রহ করা।
- লাইসেন্স নেওয়ার সময় ওখানে কিছু লোক থাকে যাদেরকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দিলে আপনার লাইসেন্স এর উপরে আপনার মোবাইল নাম্বার সেটআপ করে দেবে, যাতে করে আপনার লাইসেন্সটি হারিয়ে গেলে যে ব্যক্তি লাইসেন্স পাবে আপনার সঙ্গে ওই মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিআরটিএ অফিসে পুনরায় আবেদন করার জন্য যে কাগজপত্র গুলো প্রয়োজনঃ
- আবেদন ফরম
- থানায় জিডি করা কাগজের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- টাকা জমা দেওয়ার রশিদের ফটোকপি
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেন?ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে যেকোনো একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পরে বিয়ের অফিস থেকে আপনাকে একটি লার্নার কপি দেবে। এরপর আপনাকে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ও জিগ জাগ পরীক্ষার জন্য তারিখ দেওয়া হবে। উক্ত তারিখে সমস্ত পরীক্ষা দেওয়ার পরে আরো কিছু প্রক্রিয়া আছে সেগুলো আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে।
মোবাইলে বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনি দুটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। একটা হচ্ছে এসএমএস এর মাধ্যমে আরেকটি হলো অ্যাপ ব্যবহার করে। এসএমএস এর মাধ্যমে চেক করতে হলে প্রথমে আপনাকে DL লিখে এরপরে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ২৬৯৬৯ এসএমএস সেন্ড করতে হবে। আর অ্যাপস ব্যবহার করলে অ্যাপসটি ওপেন করার পরে রেফারেন্স নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে সার্চ করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে সাধারণত সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা আপনার লাগতে পারে। তবে যদি আপনি দালালের মাধ্যমে লাইসেন্স করেন তাহলে আপনার অনেক টাকা খরচ হতে পারে। আপনি নিজে লাইসেন্স করলে পাঁচ হাজার টাকার উপরে কোনভাবে খরচ হওয়ার কথা নয়। লার্নার করার জন্য খরচ ৩৫০ টাকা, এবং লাইসেন্স বাবদ ব্যাংকে জমা দিতে হবে ৪৭৫৭ টাকা।
ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে নিয়ম অনুযায়ী আপনার জরিমানা হবে পাঁচ হাজার টাকা। পরিবেশ পরিচিতি বিবেচনা করে এটা কম বেশি হতে পারে। তবে যদি সঠিক নিয়মে আপনাকে জরিমানা করে তাহলে তাদেরকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করতে হবে।
আপনি যেদিন পরীক্ষা দিবেন সেদিন থেকে সর্বোচ্চ এক থেকে দু মাস সময় লাগতে পারে। তবে আবেদন করার দিন থেকে হিসাব শুরু করলে প্রায় তিন মাস সময় লেগে যায়। যদিও এটি এখন অনেকটাই কমে গেছে কারণ এর আগে ৬ মাস অথবা এক বছরের আগে কখনোই লাইসেন্স পাওয়া যেত না। ডিজিটাল করার কারণে এখন বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে একটি অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে যার নাম হলো BRTA DL Checker. ইন্সটল করার পরে ওপেন এ ক্লিক করতে হবে, এরপর এখানে দুইটি অপশন আসবে একটি হচ্ছে রেফারেন্স নাম্বার আরেকটা হচ্ছে জন্ম তারিখ। এই দুটি তথ্য দেওয়ার পরে আপনাকে সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন আপনার ছবি সহ লাইসেন্সের যাবতীয় তথ্য প্রদর্শিত হবে।
শেষ কথাঃ রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম
২০২৪
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়া আপনারা আরও জানতে পারলেন কিভাবে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয় তার যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে। আশা করি এই প্রসেস
গুলো কাজে লাগিয়ে আপনারা সহজেই ঘরে বসে আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে
পারবেন। এতে করে একদিকে যেমন দালাল চক্র করতে হবে না।
অন্যদিকে আপনার সময় বেশি যাবে এবং আপনি বিরক্ত বোধ করবেন না। বর্তমানে আমরা
স্মার্ট যুগে বসবাস করছি তাই এখন সবকিছু বিআরটিএ অফিসে গিয়ে চেক করার মতো
সময় ও ধৈর্য আমাদের নেই। এজন্য আজ আমি এই পোস্টে আলোচনা করলাম কিভাবে ঘরে বসে
আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।
স্মার্ট ফোন না থাকলেও নরমাল ফোন দিয়েও এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করার উপায় সম্পর্কে এই পোস্টে বলেছি।
আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন করার পরে যদি আপনার কোন কিছু জানার থাকে অথবা কোন কিছু
বলার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারেন। আমাদের এই সাইটে এরকম
বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট নিয়মিত করা হয়। তথ্যনির্ভর ও নির্ভুল সকল যাবতীয়
তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। কারণ আমরা চেষ্টা করি সব সময় বিভিন্ন রকম
তথ্য বহুল ও নির্ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url