কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন - কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়

উচ্চ শিক্ষার জন্য সারা বিশ্বের যে দেশগুলো জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে কানাডা। কানাডায় জীবনযাত্রার মান অনেক বেশি। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্টুডেন্টরা স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়াশোনা করতে আসেন। কিন্তু কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন।
কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন
অথবা কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কি। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন, কিভাবে কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়া যায়, স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়াশোনা করতে সর্বমোট কত খরচ হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃকানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন

কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন

সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান করা হয় কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর অনেক স্টুডেন্ট ভর্তি হয়। উন্নত পড়াশোনার পাশাপাশি কানাডার জীবনযাত্রার মান অনেক বেশি। জীবনযাত্রার মান বেশি হওয়ার কারণে পড়াশোনার খরচও অনেক বেশি। তাই আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের স্কলারশিপ ছাড়া কানাডায় পড়াশোনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন। অর্থাৎ কত সিজিপিএ থাকলে আপনি কানাডায় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে আপনি সর্বনিম্ন ৩.০ থেকে ৩.৫ সিজিপিএ নিয়ে স্কলার্শিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো র‍্যাঙ্কে আছে সে বিষয়গুলোতে ভর্তি হতে হলে আপনাকে  ৪.০  সিজিপিএ থাকতে হবে। 

আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো মাঝারি মানের সেগুলোতে ৩.৫ থেকে ৪.০ সিজিপিএ নিয়ে স্কলারশিপ-এ ভর্তি হওয়া যায়। তবে আপনি সর্বনিম্ন ৩.০ থেকে ৩.৫ সিজিপিএ নিয়ে স্কলার্শিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মানের উপর নির্ভর করে ৩.০ থেকে ৪.০ সিজিপিএ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করা যায়। যদি আপনার সিজিপিএ এর মধ্যেই থাকে তাহলে আপনি কানাডার  বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়

কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে নিজের যোগ্যতায় ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে নির্দিষ্ট স্তরের একটি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। কারণ প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকতা যোগ্যতা না থাকলে আপনি কোনভাবেই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কানাডায় যেকোনো ব্যাচেলর প্রোগ্রামে পড়াশোনা করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে এইচ এস সি অথবা যেকোনো সমমানের ডিগ্রি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে।

একটি নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই তবে আপনি কানাডায় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পাশাপাশি আপনাকে ভাষাই ভালো পারদর্শী হতে হবে। কারণ তারা একাডেমিক যোগ্যতা এর পাশাপাশি আপনার ভাষাগত যোগ্যতা কেমন এই বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখে। তবে এক্ষেত্রে TOEFL অথবা IELTS - এ দেওয়া পরীক্ষার ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কানাডার এমন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে আপনার নির্বাচিত প্রোগ্রাম এর পাশাপাশি আপনাকে ফ্রেঞ দক্ষতার প্রমাণ দেওয়া লাগতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার যেটি প্রয়োজন তা হল DELF অথবা DALF স্কোর অথবা TCF. তাহলে আপনারা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলেন কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম

কানাডায় পড়াশোনা করতে হলে আপনাকে প্রথম স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হবে। আর এই জন্য আপনাকে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ’অফার লিটার’ পেতে হবে। এরপর আপনাকে ’স্টাডি পারমিটের’ জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এগুলো কিভাবে করবেন চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
  • স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পছন্দসই একটি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে হবে। এরপর উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনাকে একটি অফার লেটার পাঠাবে। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে সেই অফার লেটারটি সংগ্রহ করতে হবে। 
  • কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য সাধারনত স্টুডেন্ট ভিসার নামে কোন ভিসা পাওয়া যায় না। কানাডায় পড়াশোনা করার আপনাকে শুধুমাত্র একটি স্টাডি পারমিট দেওয়া হবে। যেটাকে আমার দেশের লোকজন স্টুডেন্ট ভিসা বলে থাকে। ধরুন আপনার কোর্সের মেয়াদ চার বছর তাহলে আপনি চার বছরের জন্য স্টাডি পারমিট পাবেন। এর পাশাপাশি আরো ৯০ দিন আপনাকে এক্সট্রা পারমিট দেওয়া হবে। আপনার কোর্সের মেয়াদ যদি ছয় মাস বা তার চেয়ে কম হয় তাহলে কোন ধরনের স্টাডি পারমিটের প্রয়োজন হয় না।
  • কানাডায় যদি আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলেও আপনার স্টাডি পারমিটেড প্রয়োজন হবে না। অথবা আপনি যদি ইন্ডিয়ান হন অথবা যদি আপনার রেজিস্টার্ড ইন্ডিয়ান স্ট্যাটাস থাকে তাহলে আপনার স্টাডি পারমিটের প্রয়োজন পড়বে না। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি কানাডায় বসবাস করতে পারবেন না। কানাডায় বসবাস করার জন্য আপনাকে আলাদা করে ভিসা করে নিতে হবে।
  • আপনি কানাডায় পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন আপনার কানাডায় পড়াশোনা খরচ চালানোর মত যোগ্যতা আছে কিনা, তার প্রমাণ পত্র হিসেবে যে কাগজগুলো আপনাকে যুক্ত করতে হবে তা হল-কানাডার ব্যাংকে আপনার নিজের নামে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যাংক ড্রাফট, এক বছরের থাকা ও খাওয়ার জন্য টাকা পরিশোধ হয়েছে তাহার প্রমাণ পত্র। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে টাকা দেবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চিঠি, আপনি যদি স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান তাহলে তার উপযুক্ত কাগজপত্র।
  • যে সকল কাগজপত্র বলা হল, এ সকল কাগজপত্র নিয়ে স্টাডি পারমিটের জন্য আপনার খরচ হবে ১৫০ ডলার বা ৮৬১০ টাকার মত। তাছাড়াও স্টাডি পারমিট এর জন্য আবেদন করার পরে আপনার আশেপাশের ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে, আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তুলে পাঠাতে হবে। এজন্য বাংলাদেশি টাকায় আপনার খরচ হবে ১৪ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকার মত।
  • এ সমস্ত কাজ করার পরে আপনার কাগজপত্র তারা যাচাই-বাছাই করবে, যদি আরো কোন কাগজের প্রয়োজন হয় তাহলে তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে। অন্য কোন প্রয়োজন হলে আপনাকে তারা অফিসে ডেকে ইন্টারভিউ নিতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে একটি কনফার্মেশন লেটার পাঠাবে। আর যদি কোন কারনে কনফার্ম না হয়, তাহলে আপনি যোগাযোগ করলে আপনাকে তারা বলে দেবে কি কারণে আপনার স্টাডি পারমিট হচ্ছে না।
কেন কানাডায় পড়াশোনা করবেন?

কেন কানাডায় পড়াশোনা করবেন?

সারা বিশ্বের এত বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও কেন কানাডায় পড়াশোনা করতে হবে। কানাডায় পড়াশোনা করার একমাত্র কারণ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের শিক্ষা দেওয়া হয় কানাডায়। তার কারণ হলো কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রেংকিং এ খুবই ভালো অবস্থানে আছে। এছাড়াও কানাডায় পড়াশোনা করে ওই দেশেই চাকরি নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমাদের প্রত্যেকেরই আসা যেন আমরা ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারি। 

বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা বা বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই দেশেই অবস্থান করছে। কানাডায় ভালো পড়াশোনা করার পাশাপাশি আপনি স্কলারশিপ নিয়ে অল্প খরচেই পড়াশোনা করতে পারবেন। এখানকার পাঠদানের বিষয়গুলো একেবারেই সহজ। যার কারণে সবাই কানাডায় পড়াশোনা করতে চায়। এছাড়াও কানাডায় রয়েছে শক্তিশালী চাকরি বাজার, যেখানে আপনি সহজেই পড়াশোনা করে চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন।

কানাডায় সবচেয়ে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়া যায়। ’দ্যা ইকোনমিক টাইমস’ এর তথ্য অনুসারে ২০১০ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত কানাডায় পড়াশোনা করার পর, প্রায় ৬ লক্ষ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী চাকরির জন্য অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়াও আপনি স্নাতক ডিগ্রী শেষ করার পরে, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার সময়, পড়াশোনার পাশাপাশি কানাডায় চাকরি করতে পারবেন।
যা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার জন্য একটি ভালো সুযোগ তৈরি করে দেয়।

কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার নিয়ম

কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করার আগে আপনাকে কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপনি কোন সাবজেক্ট নিয়ে বা কোন বিভাগ নিয়ে পড়তে চান সে অনুযায়ী আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে নিতে হবে। অথবা আপনি কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, সেটা আপনি আগে থেকে বাছাই করে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করা নিয়ম সম্পর্কে।
প্রথমেই বলে রাখা ভালো কানাডায় প্রায় ১০০ টিরও বেশি পাবলিক ও বেসরকারি ইউনিভার্সিটি আছে। এর মধ্যে আপনি কোন প্রোগ্রামে পড়তে চান, সে অনুযায়ী বাছাই করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চান অথবা  যে বিষয়ে আপনার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে। সেই বিষয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করানো হয়, সেটি আপনাকে আগে থেকেই বাছাই করে নিতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্থাৎ যারা কানাডার বাইরের দেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়তে আসেন তাদের জন্য এই দেশে কয়েকটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যাদের শিক্ষাদান ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার সিস্টেমটাই সম্পূর্ণ আলাদা। যেগুলো দেখলে আপনি  অবাক হয়ে যাবেন। তাদের পড়াশোনা ও বিভিন্ন পদ্ধতি আন্তর্জাতিক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এক কথায় তাদের সকল কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হল-ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার সুবিধা

কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য স্কলারশিপ নেওয়ার কথা ভাবছেন। তার আগে আপনাকে জানতে হবে কানাডা স্কলারশিপ পাওয়ার সুবিধা কি কি। কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যার কারণে আপনি খুব সহজেই কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার সুবিধা কি কি।
  • কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপনাকে দিবে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ,অর্থাৎ বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশোনার মান অনেক বেশি তফাৎ থাকে।
  • কানাডায় ভালোভাবে ও কঠোরভাবে পড়াশোনা করার মাধ্যমে আপনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করতে পারবেন, কারণ এখানে ভালো স্টুডেন্টদের বিভিন্নভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
  • বিদেশি শিক্ষাজীদের জন্য এখানে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করা আছে, যদি আপনি ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারেন তাহলে আপনি প্রায় বিনা খরচেই কানাডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন।
  • কানাডায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি আপনি পার্টটাইম জব করে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন, যেটা আপনার পড়াশোনা খরচ করার পরেও আপনি বাসায় টাকা পাঠাতে পারবেন।
  • কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান পদ্ধতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা, বিশ্বের অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা এবং স্বীকৃত।

কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে থাকার খরচ

কানাডায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে থাকার খরচ সম্পর্কে। আপনি স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেলেন, কিন্তু আপনি যদি না জানেন স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে কত টাকা খরচ হবে তাহলে নির্ঘাত হবে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে থাকার খরচ কেমন হতে পারে।

কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গেলে টিউশন ফি তো আপনাকে দিতেই হবে, এর পাশাপাশি আপনাকে থাকা এবং খাওয়ার জন্য আলাদা টাকা খরচ করতে হবে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় জীবনযাত্রার মান অনেক বেশি। অর্থাৎ কানাডায় চলাফেরা করা প্রচুর পরিমাণে ব্যয়বহুল। কানাডায় পড়াশোনা করতে আপনার যে পরিমান খরচ হবে তার বেশিরভাগ খরচ হবে থাকা ও খাওয়া বাবদ। 

এক্ষেত্রে পরামর্শ হচ্ছে যদি কানাডায় আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলে তার বাসায় উঠে পড়া। কারণ কানাডায় থাকা বাবদ ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি কোন স্টুডেন্ট ম্যাচ বা স্টুডেন্ট হলে ওঠেন তাহলে আপনার খরচ কিছুটা কম হবে। এখানে যে খরচের হিসাব দেওয়া হল পরিবেশ, আবাসস্থল এবং বিভিন্ন কারণে কম বেশি হতে পারে।
কানাডায় আর্থিক সহযোগিতা ও বৃত্তি পাওয়ার নিয়ম

কানাডায় আর্থিক সহযোগিতা ও বৃত্তি পাওয়ার নিয়ম

কানাডায় আর্থিক সহযোগিতা ও বৃত্তি পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানলে আপনি অল্প খরচেই কানাডায় পড়াশোনা করতে পারবেন। বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফলাফল ভালো করতে হবে। আপনি যদি পড়াশোনা করতে গিয়ে ভালো ফলাফল করেন তাহলে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই আপনাকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

যদি আপনার ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা ভালো থাকে তাহলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো আপনাকে প্রতি বছরে ২০ হাজার ডলার প্রদান করে থাকে। যেমন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগাড়ি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়াও কানাডায় এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে। এমন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-ভ্যানিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ ও অন্টারিও ট্রিলিয়ান স্কলারশিপ।

কানাডায় এমন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি, অর্থাৎ টিউশন ফি স্কলারশিপ   দেওয়া হয় যেমন-কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি।

আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো আপনার টিউশন ফি, বই, আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি নিজেরাই বহনকরে থাকে। যেমন টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, লেস্টার বি পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ।

কানাডায় স্কলারর্শিপ ফি বা খরচ

কানাডায় স্কলারশিপ ফি বা খরচ কত জানেন কি? না জানা থাকলে এই লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন। কানাডায় পড়াশোনা করতে ব্যয়বহল খরচ হয়, এটা আপনারা অনেকেই জানেন। কিন্তু যদি স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করা যায় তাহলে খরচ অনেকটাই কমে যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কানাডায় স্কলারর্শিপ ফি বা খরচ কত। কানাডায় স্কলারশিপ ফি নির্ভর করে প্রোগ্রাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর।

একটি বিষয় আপনাদের জানা ভালো যে কানাডিয়ান ছাত্র-ছাত্রী ব্যতীত অন্যান্য দেশ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীর টিউশন ফি অনেক বেশি। আমাদের দেশ থেকে কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে স্নাতক ডিগ্রীর জন্য বছরে ১৬ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার থেকে ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর জন্য প্রতি বছরে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

আপনাদের আরেকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার সেটি হচ্ছে কানাডাতে এগ্রিকালচার, হিউম্যান মেডিসিন, এনিমেল মেডিসিন অর্থাৎ ভেটেনারি, ও ফার্মেসি নিয়ে পড়তে গেলে প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ইতিহাস নিয়ে পড়তে গেলে খরচ অনেক কম হবে।

আমাদের দেশ থেকে যারা স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে যান অথবা যেতে ইচ্ছুক, তারা চেষ্টা করবেন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ একটু কম হয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। এতে করে আপনার খরচ কিছুটা কম হবে। যেহেতু কানাডার বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা হয় খুব উন্নতমানের। তাই চেষ্টা করবেন যে বিশ্ববিদ্যালয় খরচ কম হবে সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য।

কানাডায় যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে আপনার কম খরচ হতে পারে সেগুলো হল-নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডর ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবা, এবং ইউনিভার্সিটি অফ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয়।

কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

কানাডায় এমএস করতে কত সিজিপিএ লাগে?
কানাডায় এম এস করতে কত সিজিপিএ লাগে এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কত সিজিপিএ হলে কানাডায় মাস্টার্স করা যায়। সাধারণত কানাডায় এম এস করার জন্য সি জি পিএ ৩.০ থেকে ৪.০ এর মধ্যে থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনি ৩.০ থেকে ৪.০ সিজিপিএ নিয়ে সহজে কানাডায় এম এস করতে পারবেন।

কানাডায় স্কলারশিপ পেতে কত জিপিএ লাগে?
কানাডায় স্কলারশিপ পেতে কত জিপিএ লাগে এই প্রশ্নটি প্রত্যেকটি ছাত্র ছাত্রীর মনে ঘোরাফেরা করে। চলুন এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক। কানাডায় শুধুমাত্র ভালো পড়াশোনা করলেই স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট উক্ত প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক যোগ্যতা, পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত বিভিন্ন কার্যকলাপ, ও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে অর্জনের উপর নির্ভর করে সরাসরি প্রদান করা হয়। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ৩.০ থেকে ৪.০ এর মধ্যে ফলাফল থাকতে হবে।

কানাডায় কম জিপিএ থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে কি?
কানাডা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্কলারশিপ পতন করা হয় মূলত তার একাডেমিক ফলো করার উপরে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি স্টুডেন্টকে মাপা হয় তার একাডেমীর ফলাফল দিয়ে। তবে বর্তমানে অনেক কম ফলাফল নিয়েও কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ আপনি অল্প জিপিএ নিয়েও কানাডা স্কলারশিপ পাবেন।

কানাডায় সিজিপিএ কত হলে ভালো হয়?
কানাডায় সিজিপিএ কত হলে ভালো হয় এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। সাধারণত কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি আপনার সিজিপিএ ৩.৫ থেকে ৪.০ থাকে তাহলে খুবই ভালো হয়। কারণ এইরকম ফলাফল সমৃদ্ধ স্টুডেন্টকে তারা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়। বিভিন্ন রকম স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।

কানাডায় বৃত্তির জন্য কত ঘন্টা স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন?
কানাডায় বৃত্তির জন্য কত ঘন্টা স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজনে এই বিষয়টি প্রত্যেকটি স্টুডেন্টদের জানা প্রয়োজন। যদি কানাডাতে আপনার কমপক্ষে ৩০০ ঘন্টা স্বেচ্ছাসেবক অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বাড়ানোর উপায়?
আপনার জন্য বৃত্তির আবেদনকে ব্যক্তিগত করতে পারলে কানাডায় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও উন্নত হয়। আপনার ব্যক্তিগত প্রবন্ধ লেখার সময় বৃত্তি পাওয়ার নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে কখনোই সম্বোধন করতে ভুল করবেন না।

শেষ কথাঃ কত সিজিপিএ থাকলে কানাডায় স্কলারশিপ পাবেন

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন কানাডায় স্কলারশিপের জন্য কত সিজিপিএ প্রয়োজন, এছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আরও জানতে পারলেন কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়। আশা করি এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ পড়লে কানাডা স্কলারশিপ নেওয়া থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে আপনি জানতে পারবেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিশেষ করে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেলে আপনার অনেক কিছু জানতে হবে। না জানার কারণে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যেহেতু কানাডা একটি ব্যয়বহুল শহর এখানে জীবন যাপনের মান অনেক বেশি। তাই চেষ্টা করুন ছাত্র-ছাত্রীদের হলরুমে থাকার জন্য অথবা আপনার আত্মীয়র বাসায় থাকার জন্য। এতে করে আপনার খরচ কিছুটা কম হবে।

যদি কানাডা শহরে আপনার আত্মীয় স্বজন থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই, অথবা কানাডায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি আপনি পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে, চেষ্টা করবেন যে বিশ্ববিদ্যালয় খরচ একটু কম সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নেওয়ার জন্য এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করার জন্য। কারণ কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়াশোনা করলে তারা বিভিন্নভাবে আপনাকে পুরস্কৃত করে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url