বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম জানুন

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ বিদেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। দিনশেষে আপনি চিন্তা ভাবনা করছেন কিভাবে আপনার পরিবারের কাছে  টাকা পাঠাবেন। টাকা পাঠানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে ডাচ বাংলা ব্যাংক। তাই চলুন বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম জানুন
এই পোস্টটি আপনি সম্পন্ন পড়লে আরও জানতে পারবেন বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা কি কি ও  ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাতে কত টাকা খরচ হতে পারে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে নিয়ম বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম জানুন

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম জানুন

আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায় তার পরিবারকে সুখে রাখার জন্য। আর এজন্যই প্রতিমাসে পরিবারকে টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয়। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম কি।
এই বিষয়টি প্রবাসী প্রত্যেক ভাইয়ের জানা প্রয়োজন। কারণ আপনি যদি টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম না জানেন। তাহলে বিভিন্ন ভাবে আপনি প্রতারিত হতে পারেন। তাই চলুন আজকে এই লেখাটির মাধ্যমে যেনে নেওয়া যাক, বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হলে, প্রথমত ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কারণ অ্যাকাউন্ট ব্যতীত আপনার পরিবারকে টাকা দেওয়ার সুযোগ নেই।

এছাড়াও আপনার পরিবারকেও ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। আপনার পরিবারের ও আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে, আপনাকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের পিন নাম্বার ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে নিকটস্থ কোন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজে যেতে হবে।
এরপর আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা হল-
  • প্রথমে আপনাকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজে জমা দিতে হবে আপনি কোন একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বার।
  • এরপর আপনি বাংলাদেশের কোন একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান অথবা কার একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান সে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও বাংলাদেশের কোন শাখায় টাকা পাঠাবেন এই সকল তথ্য উক্ত এক্সচেঞ্জ হাউজ কে দিতে হবে।
  • এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে যে টাকা পাঠানো হবে সেই টাকাটি আপনার বায়োমেট্রিক একাউন্টে এসে প্রথমে জমা হবে ।
  • এরপর আপনি বাংলাদেশের যার একাউন্ট নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন তার নাম্বারে টাকা চলে আসলে তাকে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে ব্যাংক থেকে।
  • মেসেজ পাওয়ার পর আপনি যার নামে টাকা পাঠিয়েছেন সেই ব্যক্তি, কাছাকাছি কোন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে মেসেজ দেখানোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • অথবা যদি উক্ত ব্যক্তির নিকট ডান্স বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড থাকে তাহলে সেই কার্ড দিয়ে নিকটস্থ যেকোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
আর এভাবেই আপনি সঠিক নিয়মে বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন। আশা করি এই বিষয়টি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি এই নিয়ম সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। এবার চলুন পরবর্তী বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা

বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা  পাঠানো আগে বা পরে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা সম্পর্কে। যেহেতু বাংলাদেশে আরো অন্যান্য ব্যাংক আছে, তাহলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা পাঠালে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন, এরকম প্রশ্ন আপনার মনের ভেতরে আশাটা স্বাভাবিক। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা সমূহ কি কি। 
  • প্রথম যে সুবিধা পাবেন সেটি হচ্ছে আপনার টাকা পাঠানোর পরে দ্রুত আপনার পরিবার টাকাটি পেয়ে যাবেন, কারণ ডাচ-বাংলা ব্যাংকে প্রবাসীদের টাকা খুবই দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
  • দ্বিতীয় যে সুবিধা পাবেন তা হল ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে, এছাড়াও আমাদের দেশের প্রতিটি বাজারে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক আছে, যার কারণে টাকা উত্তোলন করার জন্য আপনাকে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না, অর্থাৎ আপনার ঝুঁকি কম হবে।
  • তৃতীয় যে সুবিধা পাবেন তা হল বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাংকের এটিএম বুথ আছে তা হল ডাচ-বাংলা ব্যাংকের, অর্থাৎ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রচুর পরিমাণে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ আছে, যার ফলে আপনি সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের যে কোন বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • চতুর্থ যে সুবিধা তা হল ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে আপনার ঝামেলা খুবই কম। যার কারণে আপনার পরিবার খুব সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারবেন টাকা লেনদেন করার জন্য।
  • পঞ্চম যে সুবিধা তা হল-ডাচ-বাংলা ব্যাংকে নিরাপদে টাকা পাঠাতে পারবেন এবং আপনার পরিবার নিরাপদে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। এখানে টাকা মার যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, এক কথায় আপনার প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই।
  • ষষ্ঠ যে সুবিধা তা হল-ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড আপনি কোনপ্রকার চার্জ ছাড়াই এক বছর ব্যবহার করতে পারবেন।

বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত

বিদেশে পাড়ি জমানোর পর প্রথম যে চিন্তা ভাবনা থাকে তা হল পরিবারকে আমি কখন ও কিভাবে টাকা পাঠাবো। কারণ আমরা প্রত্যেকেই পরিবারের সুখের জন্যই বিদেশে পাড়ি জমায়। এক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত। আমাদের দেশে যেমন এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অথবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা পাঠাতে হলে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা খরচ করতে হয়।

সেই হিসেবে এখানেও আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। আপনারা প্রবাস থেকে যে টাকা পাঠান সেটাকে আমাদের দেশে বলা হয় রেমিটেন্স। আমাদের দেশের যত বেশি রেমিটেন্স যোগ হবে, ততই আমাদের দেশের জন্য ভালো। তাই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে কোন খরচ বহন করতে হবে না। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে আপনি কোন প্রকার ফি ছাড়াই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা ও পাওয়ার উপায়

ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা ও পাওয়ার উপায়

ডান্স বাংলা ব্যাংক থেকে দ্রুত টাকা উত্তোলন করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো নেক্সাস কার্ড। অর্থাৎ এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখন আপনার মনের প্রশ্ন আসতে পারে ডাচ-বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা ও পাওয়ার উপায় কি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা ও পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
 
ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস কার্ডের সুবিধা সমূহঃ
  • বাংলাদেশের প্রতিটা ব্যাংক এটিএম বা মাস্টার কার্ডের জন্য প্রতি বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কর্তন করে থাকেন। কিন্তু নেক্সাস কার্ড আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ১ বছর ব্যবহার করতে পারবেন। যেটা অন্যান্য ব্যাংকে কখনোই সুযোগ দেয় না।
  • এই কার্ডগুলো দিয়ে আপনি বাংলাদেশের যে কোন এটিএম বুথ থেকে যেকোনো সময় টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এবং নেক্সাস কার্ডের সিকিউরিটি সিস্টেম অন্যান্য কার্ড এর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই এখান থেকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
  • আপনার বাসা সহ যে কোন ধরনের বিল পরিশোধ করার জন্য আপনি নেক্সাস কার্ড সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • যেকোনো শপিং মলে গেলে আপনি নেক্সাস কার্ড দিয়ে খুব সহজেই পেমেন্ট করতে পারবেন কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই।
  • বাংলাদেশে অন্যান্য যত ব্যাংক আছে সবচেয়ে বেশি এটিএম বুথ আছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের। বলতে গেলে আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ পাওয়া যায়। যার কারণে নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার নিকটবর্তী কোন স্থান থেকে নিরাপদে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • নেক্সাস কার্ড দিয়ে আপনি লিমিট অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত একবারে উত্তোলন করতে পারবেন।
ডান্স বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস কার্ড পাওয়ার উপায়ঃ
ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যে শর্ত তা হল আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যদি আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি সাধারণ এটিএম কার্ড এর মত nexus কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই আপনাকে ব্যাংক থেকে জানানো হবে অথবা আপনি ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিলে জানতে পারবেন আপনার কার্ডটি এসেছে কিনা।
  • সর্বোচ্চ ১৫ দিনের ভিতরে আপনার নেক্সাস কার্ডটি আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে। এই নেক্সাস পে কার্ডটি আপনি এক বছর সম্পূর্ণ ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • অর্থাৎ এখান থেকে এক বছর আপনাকে কোন চার্জ দিতে হবে না, সম্পূর্ণ ফ্রি ব্যবহারকরতে পারবেন। তবে এক বছর পর থেকে আপনাকে কার্ড বাবদ  বাৎসরিক কিছু টাকা আপনাকে পে করতে হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত বেশ কিছু এক্সচেঞ্জ হাউজ

আমরা যারা প্রবাসী ভাইয়েরা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছি পরিবারের সুখের জন্য। পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় এক্সচেঞ্জ হাউজ সম্পর্কে ধারণা পাই না। এক্সচেঞ্জ হাউজ সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে আমাদের বিভিন্ন সময় বিরম্বনার মুখোমুখি হতে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত বেশ কিছু এক্সচেঞ্জ হাউজ সম্পর্কে। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত বেশ কিছু এক্সচেঞ্জ হাউজ এর নামঃ
  • ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফার
  • এক্সপ্রেস মানি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস
  • ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ
  • হাবিব এক্সচেঞ্জ কোম্পানি
  • আলফালা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি
  • স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস
  • আলজাজিদ এক্সচেঞ্জ এলএলসি
  • ইস্ট বেঙ্গল এক্সচেঞ্জ ইন কর্পোরেশন
  • ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ
  • আল আহালিয়া এক্সচেঞ্জ ব্যুরো কাভার
  • ডলার এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড ইউ এস এ
  • এস বি এক্স মানি প্রাইভেট লিমিটেড
  • ব্যাংক আল বিলাদ জাপান
  • হ্যালো পয়সা প্রাইভেট লিমিটেড ইতালি
  • লারী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি
  • ওমান ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ অস্ট্রেলিয়া
  • আই এম ই (এম) সেন্ডিরিয়ান বিরহাদ
  • লুলু ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ এলএলসি
  • প্রভু মানি ট্রান্সফার
  • ট্রান্স ফাস্ট রেমিটেন্স এলএলসি
  • ইউ এ ই এক্সচেঞ্জ সেন্টার এল এল সি
  • আল আনসারী এক্সচেঞ্জ এলএলসি ইউ এ ই
  • চেঞ্জ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাহারাইন
  • প্লাস্টিড এক্সপ্রেস
  • মারকেনট্রেড েএসিয়া সেন্ডিরিয়ান বেরহাদ
  • বি এফ সি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ই জেড রেমিট
  • ওরিয়েন্ট এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এলএলসি
  • ওয়াল স্ট্রিট এক্সচেঞ্জ সেন্টার এলএলসি
  • ইউএস মানে এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওমান

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানো কতটা নিরাপদ

বিদেশ থেকে অর্জিত কষ্টের টাকা পরিবারের কাছে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানো কতটা নিরাপদ।এরকম প্রশ্ন আপনি সহ সকল প্রবাসী ভাইদের মনে আসতে পারে। তার কারণ আপনি অনেক কষ্ট করে পরিশ্রম করে টাকাগুলো ইনকাম করেছেন, সেই টাকাগুলো আপনার পরিবারের কাছে নিরাপদে পৌঁছবে কিনা, এটা অবশ্যই জানা দরকার। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানো কতটা নিরাপদ।

  • বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা পাঠানো ১০০% নিরাপদ, কারণ ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি যে টাকা পাঠাবেন সেটা কোনভাবেই অপব্যবহার হওয়ার সুযোগ নেই।
  • আপনি যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও ব্রাঞ্চ নাম যদি সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে টাকা না পাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। যদি কোন কারণে অ্যাকাউন্ট নম্বর অথবা ব্রাঞ্চ নাম ভুল হয়ে থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত এক্সচেঞ্জ হাউজকে জানাতে হবে।
  • ব্যাংক যেমন কোন ব্যক্তির নামে টাকা পাঠাতে পারে, আবার সেখান থেকে টাকা উইথড্রো করতে পারে, তবে যদি টাকা পাঠানোর পরে কয়েকদিন আপনি যোগাযোগ না করেন তাহলে ওই টাকা আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।
  • এক্ষেত্রে পরামর্শ হচ্ছে আপনি টাকা পাঠানোর পরপরই যার নামে টাকা পাঠিয়েছেন তাকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া ও যে ব্যক্তির নামে টাকা এসেছে সে ব্যক্তি ব্যাংকে গিয়ে চেক করে নেওয়া, টাকা তার একাউন্টে এসেছে কিনা। যদি আসে তাহলে খুবই ভালো না আসলে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিতে হবে টাকা তার একাউন্টে আসেনি। এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকে ইনফর্ম করলে সে টাকাটি সহজে ফেরত পাওয়া যাবে।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা পাঠানো অনেক সহজ এবং টাকা উত্তোলন করা অনেক সহজ এবং একজনের টাকা অন্যজন উত্তোলন করতে পারবে না তাই ডাচ-বাংলা ব্যাংক অনেকটাই নিরাপদ।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলাতে আছে যার কারণে দূর থেকে টাকা বহন করে নিয়ে আসার ঝুঁকি থাকে না,অর্থাৎ আপনি নিরাপদে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে সহজে বাড়ি আসতে পারবেন।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রতিদিন আপনি ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন এটিএম বুথ থেকে। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ কারণ এটিএম বুথ বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে অবস্থান করছে, লক্ষ্য করলে দেখবেন আপনার নিকটেই কোন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ আছে। কাছাকাছি হয় টাকা উত্তোলন করা এবং বহন করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কদিন পরে টাকা পাওয়া যায়

বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কয়দিন পরে টাকা পাওয়া যায়, এই প্রশ্নটি আপনাদের অনেকেরই মনে থাকে। যেহেতু বর্তমান যুগ ডিজিটাল বা আধুনিক যুগ। এ যুগে আপনাকে টাকা পেতে খুব বেশি সময় লাগে না। যদি আপনার টাকা পাঠানোর প্রসেস ও তথ্য সঠিক থাকে তাহলে আপনি দুই থেকে তিন দিনের ভেতরে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি তথ্যে ভুল দিয়ে থাকেন অথবা যিনি টাকা উত্তোলন করবেন তিনি টাকা উত্তোলন করার সময় ভুলভাল কোন কিছু করে থাকেন, তাহলে সে টাকা উত্তোলন করতে সময় লাগতে পারে। আগে যেখানে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পরে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লেগে যেত, এখন সেখানে সর্বোচ্চ হলে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে যেদিন টাকা পাঠায় সেদিনও পাওয়া যায়। যেহেতু টাকাটি বিদেশ থেকে আমাদের দেশে আসে কনভার্ট হয়ে, তাই এটা কম বেশি দু একদিন সময় লাগতে পারে।

বিদেশ থেকে আর কোন কোন ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়

যারা বিদেশে গিয়ে পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে টাকা ইনকাম করে দেশে পাঠাচ্ছেন, তাকে আমাদের দেশে বলা হয় রেমিটেন্স যোদ্ধা। বিদেশে গিয়ে টাকা ইনকাম বা পকেটে আসা মাত্রই প্রথম চিন্তা চলে আসে পরিবারকে টাকা পাঠানোর জন্য। যারা নতুন তারা অনেকেই জানেনা বিদেশ থেকে কোন কোন ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে আর কোন কোন ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়।

বিদেশ থেকে যেসব ব্যাংকের টাকা পাঠানো যায় তাদের নামঃ
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
  • সোনালী ব্যাংক 
  • রূপালী ব্যাংক
  • জনতা ব্যাংক
  • আই এফ আই সি ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া
  • সিটি ব্যাংক
  • বেসিক ব্যাংক
  • পূবালী ব্যাংক
  • উত্তরা ব্যাংক 
  • এবি ব্যাংক
  • ইউসিবি ব্যাংক
  • ন্যাশনাল ব্যাংক
এখানে কয়েকটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হলো এছাড়াও আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক আছে, যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে যে ব্যাংকগুলো থেকে সহজ এবং দ্রুত টাকা পাওয়া যায় সেগুলো হল ডাচ বাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক। কারণ এই দুটি ব্যাংক প্রবাসীদের টাকা দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। অন্যান্য ব্যাংকে আপনি যেখানে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায় সেখানে এসব ব্যাংকে আপনার সবচেয়ে কম সময় লাগে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের একদম নতুন গ্রাহক অর্থাৎ যারা এ পর্যন্ত কখনোই এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেনি তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়। কারণ আপনি না জেনে টাকা উত্তোলন করতে গেলে নানা বিরম্বনার শিকার হতে পারেন। তাই ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার উপায় জানা থাকলে আপনি সহজে টাকা তুলতে পারবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম সমুহঃ
  • প্রথমেই আপনাকে এটিএম বুথে কার্ড টি সঠিকভাবে  প্রবেশ করাতে হবে। এক্ষেত্রে দেখবেন কার্ডের ভিতরে সিমের মত একটা অংশ আছে যেটিকে আগে প্রবেশ করাতে হবে।
  • কার্ড বুথ এর ভেতরে চলে যাওয়ার পর আপনার কাছে একটি পিন নাম্বার চাবে, এরপর আপনাকে আপনার এটিএম কার্ডের গোপন পিন নাম্বার এখানে দিতে হবে।
  • এরপর স্ক্রিনে বেশ কয়েকটি অপশন আসবে তার মধ্যে একটি হচ্ছে টাকা উত্তোলন, এই লেখাটির পাশে থাকা বাটনটি আপনাকে চাপতে হবে।
  • এরপর একটি অপশন চলে আসবে যেখানে আপনাকে বলবে আপনি কত টাকা নিতে চান। যদিও ওখানে  বিভিন্ন এমাউন্ট দেখাবে, যদি ওর মধ্যে থেকে কোন এমাউন্ট হয় তাহলে তার ডান পাশে বাটনে চাপতে হবে।
  • আর যদি আরও বেশি এমাউন্ট দরকার হয় তাহলে আদার্স নামক অপশনটি চাপতে হবে, এখানে চাপার পরে একটি ব্লাঙ্ক ঘর আপনার সামনে চলে আসবে, সেখানে আপনাকে টাকার পরিমাণ বসাতে হবে।
  • এরপর এটিএম বুথ থেকে আপনাকে দেখাবে যে আপনি রিসিভ নিতে চান কিনা, যদি রিসিভ নিতে চান তাহলে হ্যা চাপুন, আর যদি রিসিভ না নিতে চান তাহলে না চাপুন।
  • এরপর দেখবেন মেশিনের ভিতরে টাকা গোনা শুরু হয়ে গেছে, কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে আপনার টাকার কিছু অংশ বাইরের দিকে বেরিয়ে আসবে, আপনাকে ওই টাকা ধরে টেনে বের করতে হবে।
  • এরপর স্ক্রিনে আরেকটি অপশন আসবে আপনি আরো লেনদেন করতে চান কিনা, যদি আরও লেনদেন করতে চান তাহলে হ্যাঁ চাপবেন, আর যদি লেনদেন না করতে চান তাহলে না চাপবেন।
  • না অপশন চাপ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার কার্ডটি বেরিয়ে আসবে। এরপর কার্ডটা আপনি এটিএম বুথে সংগ্রহ করে আপনার কাছে রেখে দিন।

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

রকেট থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত?
কর্পোরেট স্যালারির জন্য রকেট একাউন্ট থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য কোন চার্জ কাটা হয় না। তবে অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে টাকা পাঠাতে হলে হাজারে ৯ টাকা চার্জ বাবদ দিতে হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবো?
প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনের ডাচ-বাংলা অ্যাপসটিতে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি সিলেক্ট করুন। এরপর ট্রান্সফার অপশনে গিয়ে বিকাশ নির্বাচন করুন। এরপর বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকার এমাউন্ট বসিয়ে দিন। তারপর সেন্ট-পাঠনে ক্লিক করুন।

বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে কত দিন লাগে?
বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে সাধারণভাবে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে, তবে বর্তমানে আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধারার কারণে এটি আরো কোন সময় পাওয়া যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে পারবেন। তারপরও যদি টাকা না পান তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

রকেটে কিভাবে টাকা পাঠাবো?
রকেটে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তাহলে প্রথমে *322# ডায়াল করতে হবে আপনার ফোন থেকে, এরপর কয়েকটি অপশন আসবে যেমন-1. payment, 2.sent money, 3.top up, 4. bank A/c, 5. Balance, 6.Statement, 7.change pin, 8.logout. প্রথমে Send Money ক্লিক করতে হবে, এরপর যে রকেট নাম্বারে টাকা পাঠাবেন সেই নাম্বারটি ওখানে ওঠাতে হবে, এরপর টাকার পরিমাণ ও পিন নাম্বার দিয়ে সেন্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক রিচার্জ কিভাবে করবো?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে রিসার্চ করার জন্য আপনাকে প্রথমে *322# ডায়াল করতে হবে, এরপর আপনার ফোনে কয়েকটা অপশন আসবে যেমন-1. payment, 2.sent money, 3.top up, 4. bank A/c, 5. Balance, 6.Statement, 7.change pin, 8.logout. মোবাইল রিচার্জ করার জন্য আপনাকে 3 অপশনে ক্লিক করতে হবে, এরপর মোবাইল নম্বর একটু অপশন আসবে, সেখানে মোবাইল নাম্বার দিয়ে কত টাকা রিচার্জ করতে চান সেই টাকার পরিমান বসিয়ে দিয়ে done ক্লিক করতে হবে।

শেষ কথাঃ বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম ২০২৪

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে, এছাড়া আরও জানতে পারলাম বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বিষয়গুলি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। বিদেশে গিয়ে কষ্ট করে অর্জিত টাকা যদি নিরাপদে আপনার পরিবারের কাছে না পৌঁছাতে পারেন। তাহলে আপনার ইনকাম করা সম্পূর্ণ বৃথা হয়ে যাবে।

তাই টাকা পাঠানোর আগেই আপনাকে জানতে হবে কোন ব্যাংকে আপনার টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ, সেই ক্ষেত্রে একবাক্যে বলা যায় ডাচ বাংলা ব্যাংকে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ। এই ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ  নিরাপদে আপনার পরিবারের কাছে সহজে টাকা পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা টাকা তোলার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক আরও অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যেটার মাধ্যমে আপনি অনেক সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে অবশ্যই ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাবেন। সেটা হতে পারে ডাচ-বাংলা ব্যাংক অথবা অন্য কোন ব্যাংক। কখনই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠাবেন না। কারণ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে যে কোন সময় টাকা মার যেতে পারে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো তা জানানোর জন্য কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট করা হয়। তাই সঠিক তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url