ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায় জানেন কি। না জানা থাকলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। যারা নিয়মিত ফেসবুকে কাজ করে থাকেন তাদের মনে স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নটি চলে আসে। আবার ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম এ বিষয়ে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে। আজ আমি এই পোস্টে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায়
আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন। ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা পাওয়া যায়, ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়, কিভাবে ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায় - ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায় একজন ফেসবুক পরিচালনাকারীর মনে এই প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবে চলে আসতে পারে। কারণ ফেসবুক থেকে ইনকামের প্রথম যে শর্ত সেটি হচ্ছে ফেসবুক ফলোয়ার। যদি আপনার ফলোয়ার না থাকে তাহলে আপনি কোনভাবেই ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। তাই স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে এই প্রশ্নটি চলে আসে যে ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়। 
ফেসবুক থেকে ইনকামের প্রথম শর্ত হচ্ছে ফলোয়ার। অর্থাৎ ফেসবুক থেকে ইনকামের জন্য আপনার ফেসবুকে পাঁচ হাজার ফলোয়ার হতে হবে। শুধু ফলোয়ার হলেই টাকা ইনকাম করা যাবে না। ফলোয়ার এর পাশাপাশি সর্বশেষ ৬০ দিনে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম হতে হবে। এই দুটি শর্ত পূরণ হলে তবে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ শুধু ফলোয়ার্স হলে আপনি সেখান থেকে টাকা পাবেন না আপনাকে মনিটাইজেশনের জন্য ফলোয়ার এর শর্ত পূরণ করতে হবে।

উপরিক্ত শর্ত পূরন হলে আপনার ফেসবুকের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন আসবে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অথবা আপনার ফলোয়ার যদি অনেক বেশি হয় এবং আপনার ভিউ খুব ভালো হয় তাহলে আপনি স্পন্সরের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য কি কি কাজ করতে হবে। কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম হয়। কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করলে নিশ্চিতভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। এসব বিষয়ে বিস্তারিত এই পোস্টের নিচের দিকে আলোচনা করা হলো। এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি আপনি এই বিষয়গুলি পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ ইনকামের একটি উপায়। ফেসবুক থেকে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। যদি আপনি নিয়ম মেনে প্রতিনিয়ত ফেসবুক ভিডিও আপলোড করেন। তাহলে নিশ্চিত ভাবে প্রতি মাসে আপনি কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন এই সাইট থেকে। তাই ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম এর বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ফেসবুকের ভিডিও অনেকটা tiktok এর ভিডিওর মতই। ফেসবুকের ১৫০ টি দেশের জরিপ অনুযায়ী বেশিরভাগ মানুষ যারা ফেসবুক চালায় তারা রিলস দেখে সময় কাটায়। একটি রিল ভিডিও তিন সেকেন্ড থেকে ৯০ সেকেন্ড এর মধ্যে হতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি রিলস ভিডিও দেখে। বর্তমান সময়ে ফেসবুক কোম্পানি রিলস ভিডিওতে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

আগে শুধুমাত্র ফেসবুক রিলস থেকে বোনাস প্রোগ্রাম পাওয়া গেলেও, এখন ফেসবুক রিলস ভিডিতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিয়েছে ফেসবুক কোম্পানি। একজন ফেসবুক ইউজারের পাঁচ হাজার ফলোয়ার, পাঁচটি ইউনিক ভিডিও ও ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম, সর্বশেষ দুই মাসের মধ্যে হলেই ওই ইউজারের রিলস ভিডিওতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখাবে।

এভাবে রিলস ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর পরে উক্ত রিলস ভিডিও থেকে যে ইনকাম হবে, তার ৫৫ শতাংশ আপনি পাবেন আর বাকি ৪৫ শতাংশ ফেসবুক নিয়ে নেবে। তবে এর আগে শুধুমাত্র রিলস ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতো না বর্তমানে এই সিস্টেমটি চালু করেছেন। এছাড়াও ফেসবুক রিলস ভিডিওর জন্য নতুন একটি ফিচার চালু করেছেন, সেটি হচ্ছে স্টার।

ভিডিও দেখার সময় যদি আপনার ফলোয়ার স্টার দেয় তাহলে আপনি সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক রিলস থেকে বেশ কয়েকটি উপায়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক ভিডিও থেকে কি কি উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
  • রিলস ভিডিও এর বিজ্ঞাপন থেকে টাকা ইনকামঃ যদি আপনার ফলোয়ার পাঁচ হাজার হয়, পাঁচটি ইউনিক ভিডিও থাকে, এবং ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম হয়। তাহলে আপনার ফেসবুকটি মনিটাইজ করতে পারবেন। আর একবার মনিটাইজ হয়ে গেলেই। প্রতিটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাবে ফেসবুক কোম্পানি। এভাবে আপনি যত বেশি রিলস ভিডিও আপলোড করবেন এবং সে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
  • রিলস ভিডিওতে স্পন্সর এর মাধ্যমে ইনকামঃ যদি আপনার ভালো ফলোয়ার থাকে এবং আপনার ফেসবুকে ভালো ভিউ থাকে। এক কথায় যদি আপনার ফ্যান বেজ খুব ভালো থাকে। তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর নিয়ে আপনার ভিডিওতে ওইসব কোম্পানির পণ্যর প্রচার চালিয়ে আপনি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে স্পন্সর পাওয়ার জন্য জন্য ভালো কোম্পানির সাথে আপনাকে অবশ্যই যোগাযোগ রাখতে হবে।
  • স্টার এর মাধ্যমে রিলস ভিডিও থেকে ইনকামঃ স্টার থেকে ইনকাম এর ক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে খুব বেশি ফলোয়ার বা ওয়াচ টাইম লাগবে না। মাত্র এক হাজার ফলোয়ার হলে আপনি স্টার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ফেসবুকে যদি ১০০০ ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনাকে স্টার অপশনটি চালু করে নিতে হবে। এরপর নিয়মিত রিলস ভিডিও আপলোড করতে হবে। উক্ত ভিডিও যদি আপনার ফলোয়ারের ভালো লাগে তাহলে একটি স্টার দেবে। আর এই ষ্টার এর বিনিময় ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে রিলস ভিডিও থেকে টাকা ইনকামঃ আপনার ফ্যানবেজ ভালো থাকার মাধ্যমে আপনি সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ যেসব কোম্পানির পণ্য বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। সেসব কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পণ্য উপর ভিডিও তৈরি করে এবং ওইসব পণ্যর লিংক আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে শেয়ার করার মাধ্যমে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন
  • চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে ফেসবুক রিলস থেকে ইনকামঃ সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক বা মেটা একটি ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজস্ব রিলস ভিডিও প্রতিদিন আপলোড করবেন লাগাতার এক মাস। সে ব্যক্তি প্রতি মাসে ৪০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক বোনাস এর প্রোগ্রামের আওতায় থাকতে হবে। এভাবে এক মাসে একটি চ্যালেঞ্জ পূরণ হলে নতুন করে আরেকটি চ্যালেঞ্জ চালু হয়।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা, যারা ফেসবুকে টুকটাক কাজ করে থাকেন তাদের প্রত্যেকের মনে এই কমন প্রশ্নটি থাকে। এই প্রশ্নটি থাকাটা একটি স্বাভাবিক বিষয় কারণ যেহেতু ফেসবুক থেকে ইনকামের আশায় ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের কাজ আপনি করে থাকেন। আবার যারা নতুন ফেসবুকে কাজ শুরু করেন তাদের মনে এই প্রশ্নটি আরো অনেক বেশি হয়ে থাকে। চলুন তাহলে ফেসবুকে কত বিয়ে কত টাকা দেয় এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা দেয় এটা নির্দিষ্ট করে বলা খুবই মুশকিল। এটা আসলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল হয়। ধরুন আপনার ভিডিও যদি বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া সহ এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি ভিউ হয়। তাহলে আপনার সিপিসি খুবই কম হয় যার কারণে এই ভিডিও থেকে ইনকাম খুবই কম হয়। আবার আপনার ভিডিও যদি আমেরিকা কানাডা সহ ইউরোপের দেশগুলোতে ভিউ হয় তাহলে আপনি সেখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এক কথায় যদি আপনি আমেরিকা কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোকে টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করেন। সেই ভিডিওতে অল্প ভিউ হলেও সেখান থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব হয়। আর যদি আপনি বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সহ এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করেন। তাহলে সেসব ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয় কিন্তু ইনকাম খুবই কম হয়। আবার আপনার ভিডিও কোন ক্যাটাগরির এর উপর নির্ভর করেও ইনকাম কম বেশি হয়।

সাধারণত ইন্টারটেইনমেন্ট ভিডিওগুলি বেশি ভিউ হয়। যেহেতু আমরা বাংলাদেশী তাই আমরা বাংলা ভাষায় এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিওগুলো তৈরি করি। আর এই ভিডিওগুলো বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সহ এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি ভিউ হয়। তাই এন্টারটেনমেন্ট ভিডিও প্রতি ১০ হাজার ভিউ হলে ১ ডলার ফেসবুক দিয়ে থাকে।

এভাবে ইন্টারটেনমেন্ট, এগ্রিকালচার, কমেডি, নাচ, গান, কৌতুক, কবিতা এই ধরনের ভিডিওতে প্রতি ১০ হাজার ভিউ হলে ফেসবুক তার পরিবর্তে এক ডলার পেমেন্ট করে থাকে। এভাবে আপনার ফেসবুকে যত বেশি ভিডিও থাকবে এবং যত বেশি ভিউ হবে তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে।তবে এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই কারণ এই ভিডিওগুলো আপনি প্রতিদিন আপলোড করতে পারবেন ।

এবং ভিডিওর সংখ্যা যখন বেশি হবে তখন সবগুলো ভিডিও ভিউ হবে এবং সেখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ফেসবুকে যদি এই ভিডিওগুলো প্রতিমাসে মিলিয়ন ভিউ হয় তাহলে আপনি সেখান থেকে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

আবার আপনার ভিডিও যদি সায়েন্স এবং টেকনোলজি বিষয়ক হয় তাহলে এইসব ভিডিওতে ১০০০ ভিউয়ের বিনিময় ফেসবুক এক ডলার পেমেন্ট করে থাকে। অর্থাৎ আপনি এই জাতীয় ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে সহজেই প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এই ভিডিওগুলোতে সাধারণত একটু কম ভিউ হয়। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে এই ভিডিও গুলো প্রতিদিন আপলোড করে কমপক্ষে ১০০ থেকে ২০০ টি ভিডিও আপনার ফেসবুকে থাকতে হবে।

আপনার ভিডিও যদি ইসলামিক ভিডিও হয় অথবা আর্ট বিষয়ক ভিডিও হয় তাহলে এসব ভিডিও ৫ হাজার ভিডিও ভিউ হলে ফেসবুক সেখান থেকে আপনাকে এক ডলার পেমেন্ট করে থাকে। এবং এই ক্যাটাগরির ভিডিও গুলোও প্রচুর ভিউ হয় এবং এখান থেকে ভালো ইনকাম করার সুযোগ থাকে বিশেষ করে আমাদের দেশের জন্য। কারণ যেহেতু আমাদের মুসলিম দেশ এখানে ইসলাম বিষয়ক ভিডিও খুব ভালো ভিউ হয়।

তাহলে উপরিক্ত বিষয়গুলো থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা পাওয়া যায়। যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতে পারেন তাহলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। প্রতিমাসে আপনি কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। কিন্তু যদি ধারাবাহিকতার ঘাটতি হয় তাহলে আপনি এখান থেকে ছিটকে যাবেন। অর্থাৎ আপনার ইনকাম অনেক কমে যাবে।

ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়, যারা নতুন করে ফেসবুকে কাজ করতে চান তাদের মনে এই প্রশ্ন সাধারণভাবেই উঁকি দেয়। এছাড়াও প্রায় সবাই এই কথাটি জানতে চাই যে ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়। ফেসবুক থেকে কেউ প্রতি মাসে কয়েক হাজার আবার কেউ প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। এটা নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট আপনার ধারাবাহিকতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর।আপনি যদি ভালো কনটেন্ট তৈরি করেন। 
ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়
এবং নিয়মিত সেই কনটেন্টগুলো আপলোড করেন। এছাড়া ঐসব ভিডিওর উপর রিলস ভিডিও তৈরি করেন। এভাবে একটি দুটি বা তিনটি ভিডিও যদি প্রতিদিন আপলোড করে থাকেন। তাহলে ফেসবুক থেকে আপনি প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা নিশ্চিত ভাবে আয় করতে পারেন। কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। কত টাকা আয় করা যায়, চলুন এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত যেন না যাক।

বিজ্ঞাপন থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়ঃ যদি আপনার ফেসবুক প্রোফাইল মনিটাইজ করা থাকে। এবং সেখানে আপনি ভালো মানের ভিডিও নিয়মিত আপলোড করে থাকেন। ওইসব ভিডিওতে ফেসবুক কোম্পানি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। যদি ওই ভিডিওগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয়। তাহলে স্বাভাবিকভাবে বিজ্ঞাপন বেশি দেখাবে।

এভাবে বেশি বেশি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে এবং বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে প্রতি মাসে ফেসবুক থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। অথবা এর থেকে কম বেশি হতে পারে।

ফেসবুক স্টার থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়ঃ ফেসবুকে ইনকামের আরেকটি সুযোগ হচ্ছে স্টার। অর্থাৎ আপনার কনটেন্ট যদি শিক্ষামূলক হয়। বা দর্শকের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়। অথবা দর্শকের খুব ভালো লাগে। তাহলে দর্শক আপনার ভিডিও দেখার সময় একটি করে স্টার দেবে। এভাবে প্রতি মাসেযত বেশি স্টার আসবে তার বিনিময় ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে।

তবে সেটা প্রতিমাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার ভিডিওতে কতগুলো স্টার পড়লো। যদি অনেক বেশি স্টার পড়ে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার সুযোগ থাকে। শুধুমাত্র একটি ভিডিও থেকে স্টার পাবেন বিষয়টা এমন নয়। যদি আপনার ফেসবুকে ৫০০ ভিডিও থাকে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে স্টার আসে। তাহলে আপনি এই পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।

স্পন্সরের মাধ্যমে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়ঃ যদি আপনার ফেসবুকে ফ্যান বেজ খুব ভালো থাকে। এবং প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয়। তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। অথবা আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন। তাদের বিভিন্ন পণ্য আপনার ফেসবুকে প্রচার করার মাধ্যমে কোম্পানির নিকট থেকে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়ঃ বিভিন্ন কোম্পানির পন্যের ওপর আপনি নিজে বিজ্ঞাপন তৈরি করেবেন। সেই কোম্পানির পণ্য কোথায় বিক্রি হয় অর্থাৎ সেই প্রতিষ্ঠানের লিংক আপনার ডেসক্রিপশন এর শেয়ার করতে হবে। আপনার দর্শক যখন ওই লিংকে প্রবেশ করে পণ্য ক্রয় করবে। তখন আপনি ওই পণ্যটি বিক্রি বাবদ কমিশন পাবেন। এভাবে প্রতি মাসে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

লাইভ ভিডিও করার মাধ্যমে মাসে কত টাকা আয় করা যায়ঃ আপনার নিজের পণ্য অথবা অন্য কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে লাইভে এসে বিস্তারিত বলার মাধ্যমে। আপনি ওই পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন আপনার দর্শকের নিকট। এভাবে পণ্য বিক্রয় করে নিজের পণ্য হলে সেখান থেকে আপনি ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। অন্য কোম্পানির হলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। এখান থেকে দশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যদি আপনার ফ্যানবেজ খুব ভালো হয়। অর্থাৎ আপনার ফেসবুক এর ভিউ যদি অনেক বেশি হয়। আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন। বিভিন্ন স্পন্সর ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তাহলে প্রতি মাসে আপনার ফেসবুক থেকে আপনি নিশ্চিত ভাবে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

যদি আপনার ফ্যানবেজ খুব ভালো না হয়, আপনার ভিউ কম হয়। অর্থাৎ আপনি যদি সব দিক থেকে দুর্বল থাকেন তারপরও। শুধুমাত্র নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন ফেসবুক থেকে। আশা করি আপনি এই আলোচনাটুকু খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা

১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ইনকাম ফেসবুক থেকে হতে পারে। আশা করি এই বিষয়ে অনেকেই ধারণা আছে আবার অনেকেই ধারণা নেই। ফেসবুকে বর্তমানে অনেক এমন ভিডিও আছে যেখানে প্রতিমাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়। এখন স্বাভাবিকভাবেই মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে এক মিলিয়ন ভিউ হলে কত টাকা পাবো। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভিউ এর পরিবর্তে ইনকাম বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন আপনার ভিডিও যদি বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে এক মিলিয়ন ভিউ হয়। তাহলে সেখান থেকে আপনি ১০০ থেকে ২০০ ডলার পেতে পারেন। আবার ওই ভিডিও যদি আমেরিকা, কানাডাসহ ইউরোপে এক মিলিয়ন ভিউ হয় তাহলে এক থেকে দুই হাজার ডলার ইনকাম হতে পারে।

ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ডলার ইনকাম কম বেশি হতে পারে। যেমন ইন্টারটেনমেন্ট, এগ্রিকালচার, কমেডি, ইসলামিক ভিডিও, সামাজিক ভিডিও, শর্ট ভিডিও, শর্ট ফিল্ম, এই ভিডিওগুলো এক মিলিয়ন ভিউ হলে সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

কিন্তু আপনার ভিডিও যদি সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা আর্ট বিষয়ক অথবা স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটি অথবা অনলাইন ভিত্তিক কোর্স এ জাতীয় হয় তাহলে প্রতি এক মিলিয়ন ভিউ হলে তার পরিবর্তে আপনি ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এক মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায় ফেসবুক থেকে। তবে যে পরিমান টাকা আমি এখানে উল্লেখ করেছি সেটা বিভিন্ন কারণে কম বা বেশি হতে পারে। এগুলো আমি বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে তথ্য নিয়ে এখানে উল্লেখ করেছি। বর্তমান পলিসি ও বিভিন্ন কারণে এটা কম বেশি হতে পারে।

কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়

কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় জানেন কি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। ফেসবুক হলো সারা বিশ্বের অন্যতম একটি সোশ্যাল মিডিয়া। সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বের প্রত্যেকটা ব্যক্তি একটু সময় পেলেই চেষ্টা করে ফেসবুক থেকে ঘুরে আসার জন্য।

আমরা ফেসবুকে অনেক সময় নষ্ট করি। এই সময় নষ্ট না করে যদি সামান্য কিছু কাজ করতে পারি। তাহলেই ফেসবুক থেকে আমরা প্রতি দিন ৫০০ টাকা আয় করতে পারবো। ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করার ক্ষেত্রে দুইটি উপায় কাজে লাগানো যায়। একটি হচ্ছে স্টার এর মাধ্যমে। আর অন্যটি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

আপনার কনটেন্ট দেখে যদি দর্শকের পছন্দ হয় এবং তারা আপনাকে একটি স্টার উপহার দেয়। এভাবে যদি আপনার ফেসবুকে অনেক ভিডিও থাকে এবং প্রতিদিন অনেক পরিমাণ স্টার চলে আসে। তাহলে সেখান থেকে আপনি নিশ্চিত ভাবে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ প্রতিটি স্টার এর বিনিময়ে ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে।

আর দ্বিতীয় যে উপায়টা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং, যেহেতু বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাই এই মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি চায় তাদের পণ্যগুলো প্রচার করার জন্য। যদি আপনার ফ্যান ফলোয়ার ভালো থাকে। তাহলে সেসব কোম্পানির পণ্য প্রচারের জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করে এবং সেসব পণ্যর লিংক ডেসক্রিপশনে দিয়ে আপনি প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায় জানেন কি। আমাদের দেশে যারা ফেসবুক থেকে ইনকাম করেন। তাদের বেশিরভাগই ফেসবুক ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করে থাকেন। অর্থাৎ আমাদের দেশে স্পন্সর বা এফিলিয়েট মার্কেটিং চালু হলেও এখনো ওইভাবে অনেক বেশি নয়।

যার ফলে যেটুকু ইনকাম হয় তার বেশিরভাগ আসে ফেসবুক ভিডিও থেকে। আমাদের দেশে এমনও ব্যক্তি আছে যারা ফেসবুক ভিডিও থেকে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে ভিডিও তৈরি করবেন সেটা যেন দর্শকের প্রয়োজন হয়।

তাহলেই দর্শক আপনার ওই ভিডিওগুলো নিয়মিত দেখবে এবং অনেক বেশি দেখবে। এভাবে আপনি যত বেশি দর্শকের প্রয়োজনীয় ভিডিও আপলোড দিবেন। তত বেশি আপনার ভিডিও ভিউ হবে। আর ভিউ হওয়ার কারণে ওখানে বেশি বিজ্ঞাপন দেখাবে ফেসবুক। এভাবে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে আপনার ভিডিও থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম হবে।

এভাবে আপনি যত বেশি ভিডিও আপলোড করবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। যদি আপনার ফেসবুকে অনেক বেশি ভিডিও আপলোড করা হয় তাহলে নিশ্চিত ভাবে আপনি ফেসবুক ভিডিও থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম

ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করার কোন উপায় আছে কি। আপনার মনে এরকম প্রশ্ন আসতে পারে। হ্যাঁ প্রিয় দর্শক আপনি ঠিকই শুনেছেন। ফেসবুকে লাইক দিয়েও টাকা ইনকাম করা যায়। কিভাবে ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। কত টাকা ইনকাম করা যায় চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ফেসবুক হল সারা বিশ্বের অন্যতম একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লেখা ছবি বা ভিডিও পোস্ট করে থাকি। প্রতিদিন আমরা কম করে হলেও এক থেকে দুই ঘন্টা ফেসবুকে সময় অপচয় করি। যদি কারো ছবি অথবা ভিডিও অথবা লেখা আমাদের পছন্দ হয় সেখানে আমরা লাইক ও কমেন্ট করি।  

ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম

কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা অন্যের লেখা ছবি বা ভিডিওতে লাইক দিয়েও টাকা ইনকাম করা যায়। আমাদের দেশে এমন কিছু ফেসবুক বা ফেসবুক পেজ আছে। যেগুলোতে বেশি ভিউজ পাওয়ার জন্য বা বেশি এনগেজমেন্ট পাওয়ার জন্য লাইক প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট অথবা ফেসবুক পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা লাইকের বিনিময়ে টাকা প্রদান করে থাকে।

আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় দিয়ে তাদের লেখা ছবি ও ভিডিওতে লাইক দিয়ে প্রতি মাসে আপনি আট থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এবং সেই টাকা আপনি বিকাশে পেমেন্ট দিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাদের লাইক প্রয়োজন।

কেবল তাদের সঙ্গে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা লাইক বিক্রি করে টাকা ইনকাম করে থাকে। সেই টিমের সাথে যোগ দিয়ে আপনি প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন অনায়াসেই শুধুমাত্র লাইক দিয়ে।আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।

১k ভিউ সমান কত টাকা 

ওয়ান কে ভিউ সমান কত টাকা পাওয়া যায় ফেসবুক থেকে। যদি বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া সহ এশিয়ার দেশগুলো থেকে ওয়ান কে ভিউ পাওয়া যায় তাহলে সেখান থেকে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পাওয়া যায়। আমার যদি ওই ওয়ান কে ভিউ আমেরিকা বা কানাডা বা ইউরোপের কোন দেশ থেকে আসে তাহলে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

যদি আপনার ভিডিও টেকনিক্যাল বিষয়ক হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে বা এশিয়ার কোন দেশ থেকে ভিউ হলেও প্রতি ওয়ানকেতে এক হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। আর যদি টেকনিক্যাল বিষয়ক ভিডিও আমেরিকা বা ইউরোপের দেশ থেকে ওয়ান কে ভিউ হয় তাহলে সেখান থেকে ২০০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

এটা নির্ভর করে কোন দেশ থেকে ভিউ হচ্ছে অথবা আপনার ভিডিও কোন ক্যাটাগরির। যেসব দেশে সিপিসি এর পরিমাণ বেশি সেসব দেশ থেকে ভিউ বেশি হলে ইনকাম বেশি হয়। আবার যেসব ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমান বেশি সেসব ক্যাটাগরিতে ভিডিও তৈরি করলে সেখান থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ওয়ান কে ভিউ সমান সমান কত টাকা পাওয়া যায় ফেসবুক থেকে।

শেষ কথাঃ ফেসবুকে কত কত টাকা পাওয়া যায় কত ফলোয়ার হলে

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা পাওয়া যায়। এই বিষয়টি উপরের আলোচনা থেকে আপনি কমবেশি বুঝতে পেরেছেন। আসলে ফলোয়ার এর উপর নির্ভর করে ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে না। টাকা দেবে মূলত ভিউ এর উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ যদি আপনার ফলোয়ার ৫ হাজার হয়, পাঁচটি ইউনিক ভিডিও আপলোড দেওয়া থাকে এবং ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম হয়।

অর্থাৎ আপনার ফেসবুক মনিটাইজ থাকে, তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফলোয়ার হলো ফেসবুক মনিটাইজ এর প্রথম শর্ত। তাহলে উপরিক্ত আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ফেসবুকের ফলোয়ার ও ইনকামের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্যমূলক পোস্ট নিয়মিত করা হয়। এরকম তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url