চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে - চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে অথবা চিয়া সিড এর উপকারিতা কি জানেন কি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টে আজ আমি আলোচনা করবো ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম এবং চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে

বর্তমান সময়ে এসে সবাই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ চিন্তিত বিশেষ করে শারীরিক ওজন নিয়ে। ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি একজন মানুষের দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। চলুন তাহলে চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে - চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে এ কথাটি আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। সাম্প্রতিক সময়ে ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিডের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আপনিও হয়তোবা মনে মনে ভাবছেন আসলেই কি সিড খেলে ওজন কমে। সকল জল্পনার কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খেলে ওজন কমে না বাড়ে।

আরো পড়ুনঃ চুলকানিতে নিম পাতার সঠিক ব্যবহার

ওজন বৃদ্ধি এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা। প্রতিদিন মানুষের ওজন বেড়েই চলছে। ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক কিছু করেও ব্যর্থ হচ্ছি। এমনকি ওজন কমাতে গিয়ে শরীর দুর্বলতায় ভুগছি। কিন্তু যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানো যায় তাহলে কেমন হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো একটি উপাদান হচ্ছে চিয়া সীড। তাইতো পুষ্টিবিদরা ডায়েট করার জন্য খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

তাহলে আমরা জানতে পারলাম চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। অর্থাৎ পুষ্টিবিদরা ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে সেটা নিয়ম মেনে না খেলে ওজন কমার বিপরীতে ওজন বাড়তে পারে। অর্থাৎ চিয়া সিড যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে আবার তেমনি ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে চিয়া সিড এর ব্যবহার সম্পর্কে।

  • চিয়া সিড এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ ও অনেক বেশি প্রোটিন। যা প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষুধা কমে দিতে সাহায্য করে। কারণ খাদ্য আঁশ ও প্রোটিন একজন মানুষের পেট দীর্ঘক্ষণ ভরে রাখতে সাহায্য করে।, যার কারণে মানুষ খাবার কম খায়। অর্থাৎ খাবার কম খাওয়ার কারণে তার ওজন কমে যায়।
  • চিয়া সিডের মধ্যে আছে ৯.৭৫ গ্রাম খাদ্য আস, ৪.৬৯ গ্রাম প্রোটিন এবং খাদ্য শক্তির পরিমাণ আছে ১৩৮ ক্যালোরি। যে কারণে চিয়া সিড খেয়ে ক্ষুধার ভাব কমে গেলেও এটি শরীরে খাদ্য শক্তি সরবরাহ করে থাকে। আর এভাবেই একজন মানুষের ওজন কমে যায়।
  • চিয়া সিডের সাথে যদি লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের চর্বি অনেক কমে যায়। আর চর্বি কমে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমে যায়।
  • সকালের নাস্তায় যদি দুধ ও দই এর সাথে চিয়া সিড খাওয়া যায় তাহলে নিশ্চিত ধরে রাখুন আপনার ওজন কমে যাবে। কারণ সকালে এই খাবারগুলো খেলে শরীর থেকে চর্বি একেবারে নির্মূল হয়ে যায়। যার কারণে ওজন কমে যায়।
  • ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন ওটস এর সাথে চিয়া সিড খান দেখুন আপনার শরীরের ওজন এমনিতেই অনেক কমে যাবে।
  • আধা ঘন্টা পরিস্কার পানিতে চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন অনেকাংশে কমানো যায়।
  • চিয়া সিডের পাশাপাশি যদি আপনি খাবার খাওয়া পরিমাণে কমে দেন তাহলে নিশ্চিত ভাবে আপনার ওজন কমে যাবে। বিশেষ করে যেসব খাবারে ক্যালরি বেশি আছে এসব খাওয়ার পরিমানে খুবই কম খেতে হবে। এবং যেসব খাবারে ক্যালরি কম আছে এসব খাবার বেশি করে খেতে হবে। এর পাশাপাশি যদি আমরা চিয়া সিড খায় তাহলে নিশ্চিত ভাবে আমাদের প্রত্যেকের ওজনে কমে যাবে।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন চিয়া সিড খেলে ওজন কমে না বাড়ে। নিশ্চয়ই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। অর্থাৎ চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। তবে সেটা পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী। যদি আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে ওজন কমার চেয়ে বাড়তে পারে।

চিয়া সিডের স্বাস্থ্য গুন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ

  • রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিড অর্থাৎ আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে চিয়া সিড খেতে পারেন।
  • যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ থাকে, তাহলে আজই আপনি চিয়া সিড খাওয়া শুরু করুন। কারণ চিয়া সিড কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • এটি মানুষের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অর্থাৎ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চিয়া সিড এর গুরুত্ব অপরিসীম।
  • চিয়া সিড রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে না এবং রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। যার কারনে আপনার শরীর থাকে সবসময় হালকা।
  • আপনার শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে চিয়া সিড খুবই ভালো কাজ করে থাকে। তাই যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে আপনার শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
  • চিয়া সিড হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার, যার কারণে এটি মানুষের ইনফ্লামেশন কমায়।

এবার জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড যেভাবে খেলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবেঃ

চিয়া সিড আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন যেমন এককভাবে আপনি এটা খেতে পারেন। অথবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে একসঙ্গে খেতে পারেন। তবে একদিনে খুব বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। সর্বোচ্চ এক আউন্স পর্যন্ত খেলেই যথেষ্ট।

  • যেকোনো সালাতের সাথে মিশিয়ে সহজেই চিয়া সিড খাওয়া যায়।
  • গুড়া করে ময়দার মতো তৈরি করে অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে চিয়া সিড খাওয়া যায়।
  • ২০ থেকে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলোকে লেবুর রসের সাথে খেলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি মধু বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • দুধ, দই ও ওঠমিল কমপ্লেক্স এর সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া যায়।
  • যদি আপনার নিয়মিত সুদি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এর সঙ্গে আপনি চিয়া সিড যোগ করে একসঙ্গে খেতে পারেন।
  • কুসুম গরম পানিতে আধাঘন্টা ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে চিয়া সিড খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
  • দুই কাপ নারিকেলের পানি নিতে হবে, এরপর এর মধ্যে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফলের রস নিতে হবে, এরপর দুই থেকে তিন চামিজ চিয়া সিড নিয়ে এর মধ্যে মিশে নিতে হবে। উক্ত মিশ্রণটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর খেয়ে নিতে হবে।

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন। কারণ চিয়া সিড হল বহু গুনে গুণান্বিত একটি খাবার। এর গুনাগুন সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এটি মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। আবার কোন কোন সময় অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এটি অপকারিতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড উপকারিতা সম্পর্কে।
  • চিয়া সিড-এ আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে আপনার শরীরের রোগ বালাই এমনিতেই কমে যাবে।
  • চিয়া সিড মানুষের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খেলে তার শরীরের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি কম হয়।
  • যদি আপনার পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হয় এবং পেট ব্যাথা হয় তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে চিয়া সিড খেতে পারেন। কারণ চিয়া সিড গ্যাস কমাতে সাহায্য করে সেই সাথে পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • চিয়া সিড-এ বিদ্যমান আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা মানুষের হাড় গঠনের সাহায্য করে ও হারকে মজবুত করে। তাই হারকে মজবুত রাখতে নিয়মিত চিয়া সিড খাবেন।
  • চিয়া সিড মানুষের মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করে। আর যদি কারো মেটাবোলিক সিস্টেম উন্নত হয় তাহলে তার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে বা বাড়ে না। তাই ওজন কমানোর জন্য বা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খাবেন।
  • চিয়া সিডের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে। এটি মানুষের রক্তে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খায় তাহলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আর যদি ডায়াবেটিস এর রোগী নিয়মিত খায় তাহলে তার সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • চিয়া সিড-এ এমন কিছু উপাদান আছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে নিয়মিত চিয়া সিড খেলে হার্ট জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
  • রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে চিয়া সিড গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থাৎ নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে চাপ কম থাকে। অর্থাৎ শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • চিয়া সিডে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকার কারণে একে মানুষের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই য়া সিট নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের শক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে।
  • চিয়া সিড মানুষের কর্ম ক্ষমতা কে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে দেয়। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খায় তাহলে তার কর্মক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু হলেও বেড়ে যায়।
  • নিয়মিত চিয়া সিড খেলে কোলন পরিষ্কার থাকে। যার কারনে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যায়। অর্থাৎ কোলন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খেতে হবে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে চিয়া সিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে তার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • চিয়া সিড মানুষের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিট খান তাহলে আপনার স্বাভাবিকের চেয়ে হজম শক্তি বেড়ে যাবে।
  • চিয়া সিড শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে তো চুল নিশ্চিত ভাবে আপনার ভালো থাকা সম্ভাবনা থাকবে।
পৃথিবীতে প্রত্যেক জিনিসেরই উপকার ও অপকারী উভয় দিক থাকে। একটি জিনিসের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি তার অপকারি দিক ও আছে। তেমনই আমরা জানলাম চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিয়া সিড খেয়ে ফেলে। তাহলে তার শরীরে অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। 

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিডের অপকারিতা সম্পর্কেঃ
  • চিয়া সিড মানুষের শরীরের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। যদি চিয়া সিড বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার রক্তের চাপ কমে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত কখনোই চিয়া সিড খাবেন না।
  • যাদের শরীরে এলার্জি বেশি আছে তারা চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো। কারণ খেলে এলার্জি অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে চুলকানি ফুসকুরি এই জাতীয় সমস্যা শরীরে বেশি দেখা যায়।
  • চিয়া সিডে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা বেশি পরিমাণ খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া, বমি ভাব ও পেট খারাপ হতে পারে। তাই নিয়ম মেনে অবশ্যই চিয়া সিড খেতে হবে।
  • চিয়া সিড বেশি খাওয়ার কারণে মেয়েদের প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মেয়েদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম মেনে পরিমান মত চিয়া সিড প্রতিদিন খেতে হবে
  • গর্ভবতী মহিলারা চিয়া সিড খেতে পারবেন কিনা তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চিয়া সিডের উপকারিতা দেখে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই গর্ভবতী মহিলারা চিয়া সিড খাবেন না।
তাহলে আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম প্রয়োজনের বেশি চিয়া সিড খেলে আমাদের শরীরে কি কি ক্ষতি বা অপকার দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি অবশ্যই নিয়মিত চিয়া সিড খাবেন তবে সেটা পরিমাণ মতো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত চিয়া সিড খাবেন।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন কি। না জানা থাকলে এই লেখাটি সম্পন্ন পড়ুন। ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই চিয়া সিড নিয়মিত খাচ্ছি। কিন্তু কিভাবে চিয়া সিড খেলে ওজন কমবে এটা আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত অর্থাৎ কিভাবে চিয়া সিড খেলে ওজন কমে যাবে।
যেভাবে চিয়া সিড খেলে সবচেয়ে দ্রুত ওজন কমানো যায় তা হল। লেবুর সাথে চিয়া সেট মিশিয়ে খাওয়া। প্রথমে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরিষ্কার পানিতে চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই চিয়া সিড এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে অথবা রাত্রেবেলা ঘুমানোর আগে নিয়মিত খেলে আপনার দ্রুত ওজন কমে যাবে।

  • সকালের নাস্তায় যদি আপনি দুধ ও দই এর সাথে চিয়া সিড রাখেন তাহলে দ্রুত ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে এই খাবারটি। তাই ওজন কমাতে সকালের নাস্তায় দুধ, দুই ও চিয়া সিড একসঙ্গে মিশিয়ে খাবেন।
  • আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই সালাত একটি পছন্দের খাবার। সালাত এর সাথে আপনি চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেলেও আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে।
  • কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অথবা রাত্রিতে ঘুমানোর আগে চিয়া সিড নিয়মিত খেয়ে দেখুন। দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে এই পদ্ধতিটি।
  • গুড়া করে ময়দা বানিয়ে অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমতে শুরু হয়। তাই যদি আপনি চিয়া সিড এভাবে নিয়মিত খেতে পারেন তাহলেও আপনার ওজন তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
  • মধু ও চিয়া সিড একত্রে মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করে। মধু এমনিতেই আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সেই সাথে যদি চিয়া সিড খাওয়া যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই পুডিং খুব পছন্দ করেন। এর সাথে যদি চিয়া সিড মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে দ্রুত ওজন কমে যায়।
  • দিনের মধ্যে যেকোনো সময় যদি আদা পানিতে ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানির সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে নিশ্চিত ধরে রাখুন আপনার ওজন কমে যাবে।
  • ওটস এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে যায়। যদি নিয়মিত আপনি ওটস ও চিয়া সিড একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন নিশ্চিত ভাবে কমে যাবে।
  • চিয়া সিড পরিষ্কার পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে আপনার পছন্দের যেকোনো একটি ফলের রসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের দ্রুত ওজন কমে যাবে।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। শুধু চিয়া সিড খেলেই হঠাৎ করেই আপনার ওজন কমে যাবে বিষয়টা এমন নয়। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে চিয়া সিড খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলেই দ্রুত আপনার শরীর থেকে ওজন কমে যাবে। আশা করি চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে এই বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

 চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ যদি আপনি চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জানেন তাহলে কোনদিনই আপনি এখান থেকে উপকারিতা পাবেন না। উল্টো আপনি এখান থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই প্রথমে আমাদের জানা প্রয়োজন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেঃ

আপনি বিভিন্নভাবে চিয়া সিড খেতে পারেন। এখানে চিয়া সিড খাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এর মধ্য থেকে আপনার যেটি ভালো লাগে সেটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন আপনার জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

  • চিয়া সিড থেকে বেশি উপকার পেতে হলে আপনাকে সকালবেলা পরিষ্কার পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সহ ‍চিয়া সিড খেয়ে নিতে হবে।অথবা এই নিয়মে আপনি রাতের বেলা ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। এতে করে আপনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
  • হালকা কুসুম গরম পানিতে চিয়া সিড ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চিয়া সিড যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে এই পদ্ধতি। এভাবে খেলে সবচেয়ে দ্রুত কাজ করবে আপনার শরীরের জন্য। তবে এটি রাত্রেবেলা ঘুমানোর আগেও আপনি খেতে পারবেন।
  • কমবেশি আমরা সবাই সালাত পছন্দ করি। আপনার পছন্দের সালাতের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।
  • দুধ এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেয়ে দ্রুত উপকার পাওয়া যায় বিভিন্ন রোগের জন্য। তাই যদি আপনি বেশি উপকার পেতে চান তাহলে দুধের সাথে মিশিয়ে খাবেন।
  • কমবেশি আমরা দই অনেকেই পছন্দ করি। দই এর সাথে আপনি চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন আপনার উপকারের জন্য।
  • বিভিন্ন রকম ফলের রসের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই নিয়ম হল বিভিন্ন ফলের রস, সেটা হতে পারে এক অথবা একাধিক। এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে নিয়মিত খেতে হবে।
  • পুডিং হলো সবার পছন্দের একটি খাবার। পুডিং এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে হবে অধিক উপকার পাওয়ার জন্য।
  • আটা ও ময়দা দিয়ে আমরা বিভিন্ন খাবার তৈরি করে থাকি। এই আটা ও ময়দার মধ্যে চিয়া সিড দিয়ে খাবার তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
  • চিয়া সিড ওটস্ এর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ওটস্ পছন্দ করেন তাহলে এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেয়ে দেখুন দ্রুত উপকার পেয়ে যাবেন।
  • মধু হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। মধুর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে আরো অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এর মধ্য থেকে যেটি আপনার খুবই পছন্দ আপনি সেটি আপনার জন্য প্রয়োগ করতে পারেন। কারণ আপনি যে নিয়মেই খান না কেন এটি আপনার শরীরে জন্য উপকারে আসবে।
 
এবার জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড এর উপকারিতাঃ

চিয়া সিড এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কারণ চিয়া সিড হচ্ছে অনেক গুনে গুণান্বিত একটি খাবার। এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার সাধন করে থাকে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিডখেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধি কমবে এবং ওজন দ্রুত কমতে সাহায্য করবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার করে থাকে।

  • চিয়া সিড মানুষের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। যার কারনে কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খেলে তার শরীরের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যদি আপনার পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হয় এবং পেট ব্যাথা করে তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে চিয়া সিড খেতে পারেন। কারণ চিয়া সিড গ্যাস কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • চিয়া সিড-এ আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে আপনার শরীরের রোগ বালাই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চিয়া সিড -এ বিদ্যমান আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা মানুষের হাড় গঠনের সাহায্য করে ও হারকে মজবুত করে। আপনার হারকে শক্ত ও মজবুত রাখার জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খাবেন।
  • চিয়া সিড এর একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে। এটি মানুষের রক্তে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খায় তাহলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আর যদি ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত খায় তাহলে তার সুগার নিশ্চিতভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • চিয়া সিড মানুষের মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করে। আর যদি কারো মেটাবোলিক সিস্টেম উন্নত হয় তাহলে তার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে বা বাড়ে না। তাই ওজন কমানোর জন্য বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত চিয়া সিড নিয়ম করে খেতে পারেন।
  • চিয়া সিড-এ এমন কিছু উপাদান আছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে নিয়মিত চিয়া সিড খেলে হার্ট জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। অর্থাৎ চিয়া সিড খেলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে।
  • চিয়া সিডে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকার কারণে এটি মানুষের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের শক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে।
  • চিয়া সিড মানুষের কর্ম ক্ষমতা কে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে দেয়। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খায় তাহলে তার কর্মক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু হলেও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে চিয়া সিড এর গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থাৎ চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই রক্তের চাপ কমাতে ও শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত খেতে পারেন।
  • নিয়মিত চিয়া সিড খেলে কোলন পরিষ্কার থাকে। যার কারনে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। অর্থাৎ কোলন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খেতে হবে পরিমাণ মতো।
  • চিয়া সিড মানুষের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে আপনার স্বাভাবিকের চেয়ে হজম শক্তি বেড়ে যাবে নিশ্চিতভাবে।
  • চিয়া সিড শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যথা, বিশেষ করে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে চিয়া সিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে তার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
  • ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খান তাহলে তো চুল নিশ্চিত ভাবে আপনার ভালো থাকা সম্ভব থাকে।

চিয়া সিড কিভাবে খেলে ওজন বাড়ে

চিয়া সিড কিভাবে খেলে ওজন বাড়ে জানতে চান তাহলে এই লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন। আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। কিন্তু চিয়া সিড খেলে ওজন বাড়ে এই কথাটা কেন যেন আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে তাই না। চিয়া সিড খেয়ে ওজন কমানোর সম্পর্কে আমরা জেনেছি তাই চলুন এখন আমরা জেনে আসি চিয়া সিড কিভাবে খেলে ওজন বাড়ে।

চিয়া সিড খেয়ে আসলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে যদি আপনি নিয়মিত চিয়া সিড না খান। বা পরিমাণ মতো চিয়া সিড না খান তাহলে আপনার ওজন বাড়তে পারে। অর্থাৎ যেভাবে খেলে ওজন কমে আপনি যদি তার ব্যতিক্রম কোন কিছু করে থাকেন। তাহলে কেবল ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, সময় এগুলো মেইনটেইন ঠিকমতো না করতে পারলে আপনার ওজন কমার বিপরীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

চিয়া সিড খাওয়ার সময়

চিয়া সিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে আমাদের সবারই সম্মুখ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারণ যদি আমরা না জানি কোন চিয়া সিড সময় খেতে হবে তাহলে আমাদের উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হতে পারে। তাই আমাদের প্রথমেই জানা প্রয়োজন খাওয়ার সময় সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত।

চিয়া সিড আপনি যেকোনো সময় খেতে পারবেন। তবে এটা নির্ভর করে আপনি খালি চিয়া সিড খাবেন না কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাবেন। যদি চিয়া সিড কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে না খান তাহলে দিনের যে কোন সময় যে কোন মুহূর্তে আপনি খেতে পারেন। আর যদি খাবারের সাথে মিশিয়ে খান তাহলে ওই খাবারের সময় অনুযায়ী আপনাকে খেতে হবে।
  • যেমন আপনি যদি সকালের নাস্তার সাথে চিয়া সিড খান তাহলে সেটি আপনাকে সকালে খেতে হবে। কারণ যেহেতু আপনি সকালের নাস্তার সঙ্গে এচিয়া সিড খাবেন। সকালের নাস্তা তো আপনি দুপুরে করবেন না। সেই অনুযায়ী আপনাকে এটি সকালেই খেতে হবে।
  • আবার যদি আপনি সালাতের সঙ্গে মিশিয়ে খান তাহলে দিনের যেকোনো সময়, খাবার যখন খাবেন, তখন আপনি সালাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন।
  • যদি আপনি দুধ বা দই এর সাথে মিশিয়ে খান। তাহলে আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কোন সময় দুধ ও দই খেতে বেশি পছন্দ করেন। সেই সময় আপনাকে ওই খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
  • যদি আপনি গরম পানির সাথে মিশিয়ে খান তাহলে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়া। অথবা রাত্রের বেলায় ঘুমানোর আগে আপনি খেতে পারেন।
  • এমন অনেক মানুষ আছে সকাল বেলা খালি পেটে নরমাল পানি খেয়ে থাকে। এই নরমাল পানির সাথে আপনি চিয়া সীড মিশিয়ে খেতে পারেন সকাল বেলা।
  • যদি আপনি পুডিং এর সাথে মিশিয়ে খান তাহলে যে সময় আপনাকে পুডিং খেতে ভালো লাগে সেই সময় আপনি চিয়া সিড এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • চিয়া সিড আপনি যদি পাউডার বানিয়ে খান তাহলে আটা ময়দা দিয়ে যে কোন খাবার তৈরি করার সময় এদের সাথে মিশিয়ে আপনি চিয়া সিড খেতে পারবেন।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন চিয়া সিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে। অর্থাৎ আপনি যে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাবেন সেই খাবারটি যখন খাবেন, তখন আপনি এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারবেন। আর যদি আপনি কারো সাথে মিশিয়ে না খান তাহলে যে কোন সময় আপনি খেতে পারবেন। আশা করি বিষয়টি আপনি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ আমরা শুধু চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই এবং সেই অনুযায়ী আমরা খেতেও চাই। কিন্তু চিয়া সিড শুধুমাত্র যে আমাদের শরীরের জন্য উপকার বয়ে নিয়ে আসে বিষয়টি এমন নয়। এটি উপকারের পাশাপাশি আমাদের শরীরের জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিক বয়ে নিয়ে আসে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
  • যাদের শরীরে এলার্জি অনেক বেশি আছে তাদের জন্য চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো। কারণ চিয়া সিড খেলে এলার্জি অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে চুলকানিসহ ফুসকুরি এই জাতীয় সমস্যার শরীরে বেশি দেখা যায়।
  • চিয়া সিড মানুষের শরীরের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। যদি কেউ চিয়া সিড বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার রক্তের চাপ কমে যেয়ে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। তাই প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।
  • চিয়া সিড বেশি খাওয়ার কারণে মেয়েদের প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মেয়েদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম মেনে পরিমান মত চিয়া সিড প্রতিদিন খেতে হবে না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
  • গর্ভবতী মহিলারা চিয়া সিট খেতে পারবেন কিনা তার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চিয়া সিড এর উপকারিতা দেখে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই গর্ভবতী মহিলারা চিয়া সিড খাবেন না। এতে করে বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
  • চিয়া সিড আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা বেশি পরিমাণ খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া, বমি ভাব ও পেট খারাপ হতে পারে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আপনার এই সমস্যাগুলো বেশি হতে পারে। তাই নিয়ম মেনে অবশ্যই চিয়া সিড খেতে হবে।

চিয়া সীড কিডনির জন্য কতটা ভালো

 চিয়া সীড কিডনির জন্য কতটা ভালো

চিয়া সীড কিডনির জন্য কতটা ভালো এই কথাটি আমাদের সবারই জানা খুবই জরুরী। আপনি যদি কিডনি রোগি হন তাহলে তো আপনার জন্য অবশ্যই এই বিষয়টি জানার প্রয়োজন। চিয়া সিড হলো পুষ্টিকর ও রোগ নিরাময়ের জন্য খুবই ভালো একটি খাবার। এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। কিন্তু কিডনি রোগের ক্ষেত্রে এটি খাওয়া যাবে কিনা এটা অনেকেরই জানা নেই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিয়া সীড কিডনির জন্য কতটা ভালো।

কিডনি রোগীরা চিয়া সিট খেলে যেসব উপকার পায়ঃ
  • চিয়া সিড এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার। কিডনিকে ভালো রেখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে হচ্ছে চিয়া সিড।
  • নিয়ম করে পরিমাণ মতো যদি চিয়া সিড খাওয়া যায় তাহলে কিডনি রোগের জন্য এটি খারাপ নয় বরং এটি ভালো উপকার বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
  • কিডনি রোগের কারণে আপনি যদি শারীরিকভাবে দুর্বল হন তাহলে এটি আপনার জন্য একটি বেস্ট অপশন হতে পারে। কারণ চিয়া সিড শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।
  • চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কিডনি সমস্যার দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে।
কিডনি রোগীরা চিয়া সিড খেলে যেসব ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেঃ
  • চিয়া সিড-এ প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস বিদ্যামান থাকে। তাই এটি কিডনি রোগীর জন্য উপযুক্ত নয়। অর্থাৎ কিডনি রোগীর শরীরে ফসফরাসের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরী। কিন্তু আপনি যদি কিডনি রোগী হওয়া সত্ত্বেও চিয়া সিড খান তাহলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হতে পারে।
  • কিডনি রোগীর শরীরে ফসফরসে পরিমাণ বেড়ে গেলে হাড় গুলো দুর্বল হয়ে যায়। যার ফলে যে কোন সময় রোগীর হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে।
  • চিয়া সিডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আছে পটাশিয়াম। কিন্তু একজন কিডনি রোগীর জন্য পটাশিয়াম খুবই কম পরিমাণ প্রয়োজন। কিডনি রোগী হওয়া সত্ত্বেও যদি চিয়া সিড খান তাহলে আপনার হার্টের সমস্যা হতে পারে অথবা প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন চিয়া সিট কিডনি রোগীর জন্য কতটা ভালো। প্রত্যেক জিনিসেরই উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিকে থাকে। তাই কিডনি রোগের জন্য চিয়া সিড কিছুটা উপকারী হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর চিয়া সিড খাবেন।

চিয়া সিডের দাম ২০২৪

চিয়া সিডের দাম ২০২৪ সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই এর দাম সম্পর্কে ধারণা নেই। দাম না জানার কারণে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রতারিত হই। দেখা যায় অনেক কম দামিপণ্য আমরা অনেক বেশি দামে কিনে থাকি। তাই এখন জেনে নেয়া যাক চিয়া সিড দাম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত অর্থাৎ আমাদের দেশে এটি কত দামে পাওয়া যায়।

চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর ও রোগ প্রতিরোধী একটি খাবার। মরণব্যাধি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের জন্য প্রতিরোধী হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে চিয়া সিড । বিশেষ করে বর্তমান সময়ে এসে ওজন কমানোর জন্য এর চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এত উপকারী একটি পণ্য যখন আমরা কিনতে যায় তখন বিক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করে। অর্থাৎ আমাদের কাছ থেকে অনেক বেশি দাম নেয়।

কিন্তু যদি আমরা নিজেরাই জানি যে এক কেজি চিয়া সিড এর দাম কত তাহলে আমরা কখনোই প্রতারিত হবো না। সাধারণত আমাদের দেশে চিয়া সিড উৎপাদন হয় না। চিয়া সিড মূলত মেক্সিকো ও দক্ষিণ পশ্চিম আমেরিকায় উৎপাদন হয়ে থাকে। এইসব দেশ থেকে আমাদের দেশে চিয়া সিড আমদানি করা হয়। নিম্নমানের থেকে উচ্চমানের বিভিন্ন ধরনের চিয়া সিড আমাদের দেশে আমদানি করা হয়।

সাধারণত আমাদের দেশে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত চিয়া সিড পাওয়া যায়। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ১০০ গ্রাম চিয়া সিডের দাম কত। বর্তমানে ১০০ গ্রাম চিয়া সিডের দাম হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ আমাদের দেশে চিয়া সিডের মান অনুযায়ী ৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা এর মধ্যে আপনি সহজেই চিয়া সিড কিনতে পারবেন।

চিয়া সিড সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড কিভাবে খেতে হবে? 
ওজন কমানোর জন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে চিয়া সিড ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে, এর সাথে লেবু মিশিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে খেতে হবে। অথবা রাত্রিবেলা ঘুমানোর আগে আপনি এটি খেতে পারেন। তবে নরমাল পানিতে 20 থেকে 30 মিনিট ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলেও ওজন দ্রুত কমে যায়।

ওজন কমাতে প্রতিদিন কতটুকু চিয়া বীজ খাওয়া উচিত? 
ওজন কমানোর জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ খাওয়া প্রয়োজন। তবে চেষ্টা করবেন দুধ দই অথবা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে পরামর্শ হচ্ছে শুধু চিয়া বীজ খেয়ে আপনার ওজন যতটুকু কমবে এর সঙ্গে যদি শারীরিকভাবে ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার ওজন কমে যাবে।

ওজন কমাতে প্রতিদিন কত চিয়া বীজ? 
ওজন কমাতে একজন মানুষের চিয়া বীজ প্রয়োজন প্রতিদিন এক থেকে দুই টেবিল চামচ। বিভিন্ন খাবারের সাথে এই পরিমাণ চিয়া বীজ খেলে আপনার ওজন নিশ্চিত ভাবে কমে যাবে। তবে এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।

চিয়া সিডের অপকারিতা কি? 
চিয়া সিড খাওয়ার কারণে মেয়েদের প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি চিয়া সেট খেলে রক্তের চাপ ও ওজন অনেক বেশি কমে যেতে পারে। যার ফলে আপনি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

দুই চামচ চিয়া সিডে কত ক্যালরি? 
চিয়া সিড এর মধ্যে বিদ্যমান আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার ও এন্টি-অক্সিডেন্ট। এছারাও চিয়া সিডের মধ্যে আছে ৯.৭৫ গ্রাম খাদ্য আস, ৪.৬৯ গ্রাম প্রোটিন এবং খাদ্য শক্তি আছে ১৩৮ ক্যালোরি। ১ আউন্স পরিমাণ চিয়া সিডের মধ্যে আছে ৮.৬ গ্রাম স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাটি এসিড।

চিয়া বীজের নেতিবাচক প্রভাব? 
চিয়া বীজ আমাদের শরীরের জন্য যেমন অনেক বেশি উপকারী। তেমনি এর আছে কিছু ক্ষতিকর দিক। অতিরিক চিয়া বীজ বদ হজম, বমি ভাব, পেট ব্যথা, মেয়েদের প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার, শরীর দুর্বল ও হার দুর্বল জনিত সমস্যা হতে পারে।

এক টেবিল চামচ চিয়া বীজে কত মিলিগ্রাম ওমেগা ৩ থাকে? 
চিয়া বীজকে বলা হয় সুপার ফুড। অর্থাৎ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ওমেগা ৩। ১০ গ্রাম চিয়া বীজের মধ্যে প্রায় ২০০০ মিলিগ্রাম ওমেগা ৩ পাওয়া যায়।

চিয়া সিড এর কাজ কি? 
চিয়া সিড আমাদের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরোবরের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য কিছু রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, যেমন মরণব্যাধি ক্যান্সার, ওজন দ্রুত কমিয়ে দেয়, মেয়েদের প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার, মানুষের শরীরের শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

শেষ কথাঃ ওজন কমে কি চিয়া সিড খেলে

চিয়া সিড হল হাজারো গুণে গুণিত একটি খাবার। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আছে পুষ্টি উপাদান। এটি অনেক রোগের নিরাময় হিসেবে খুবই ভালো কাজ করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত পরিমান মত চিয়া সিড খায় তাহলে সে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশিই থাকে। মরণব্যাধি ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের জন্য বিশেষ করে ওজন কমানোর জন্য আপনি নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে এবং চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আপনারা উপরে আলোচনা থেকে এই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি না বুঝে থাকেন বা কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।

এটি একটি তথ্য নির্ভর ওয়েবসাইট। এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্বলিত পোস্ট করা হয়। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের সঠিক তথ্য পাবেন। বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। এতখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url