অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ - ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ

অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ ও ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টে আজ আমি আলোচনা করব কিভাবে অনলাইনে টিকিট ফেরত দিতে হয়। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল দেশে বসবাস করছি। 

অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ
এই যুগে এসে লাইন ধরে স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটারমত সময় আপনার নেই। তাই ঘরে বসে আপনি ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। কিন্তু টিকিট কাটার পর যদি মনে হয় কোন কারনে আপনার যাওয়া হচ্ছে না। তাহলে আপনি কিভাবে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে কিভাবে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়া যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ - ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ

অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ

অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে কাটা টিকেট ফেরত দিতে পারবেন। অনলাইনে যেমন টিকিট কাটার সুযোগ আছে, তেমনি টিকিট ফেরত দেওয়ার ও সুযোগ আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অনলাইনে টিকিট কিভাবে ফেরত দিতে হয়। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 
ডিজিটাল সুবিধার কারণে আমরা ঘরে বসে সহজেই অনলাইনে টিকিট কাটতে পারি। কারণ বর্তমান সময়ে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট করার মতো সময় আপনার নেই। তাই সহজেই ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আপনি টিকিট কাটতে পারবেন। এখন যদি কোন কারনে আপনার ভ্রমণ বাতিল হয়। তাহলে আপনার টিকিটটি ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আর সেটি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ফেরত দিতে পারবেন।

কিভাবে অনলাইনে কাটা টিকিট আবার অনলাইনে ফেরত দিবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে রেল সেবা অ্যাপসে প্রবেশ করতে হবে। এরপর দেখবেন নিচের দিকে তিনটি অপশন দেওয়া আছে। একটি হচ্ছে Buy Tickets, একটি My Tickets আরেকটা হচ্ছে My Account.
এই তিনটি অপশনের মধ্যে আপনি প্রথমে ক্লিক করবেন My Tickets। My Tickets-এ ক্লিক করার পরে দুইটি অপশন আসবে একটি হচ্ছে VIEW DETAILS আরেকটি হচ্ছে CANCEL TICKET. যদি আপনি টিকিট ফেরত দিতে চান তাহলে CANCEL TICKET-এ ক্লিক করতে হবে।



CANCEL TICKET-এ ক্লিক করার পরে একটি নতুন অপশন আসবে, সেটি হচ্ছে CONFIRM CANCELLATION. টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য CONFIRM CANCELLATION এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে ।
CANCEL TICKET-এ ক্লিক করার সময় আপনার সামনে কিছু লেখা আসবে। দেখবেন সেখানে আপনার টিকিটের মূল্য কত, আপনি ফেরত দিলে কত টাকা পাবেন, বিস্তারিত লেখা থাকবে এগুলো অবশ্যই পড়ে নিবেন।

CANCEL TICKET-এ ক্লিক করার পরে আপনাকে ভেরিফাই করতে বলবে। অর্থাৎ আপনার ফোন নাম্বারে ও জিমেইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। উক্ত কোডটি আপনাকে তিন মিনিটের মধ্যে সাবমিট করতে হবে। কোট সাবমিট করার পরে আপনার কাজ শেষ।
এরপর Refund in Progress নামক একটি অপশন চলে আসবে। সেখান থেকে আপনাকে Ok বাটনটি প্রেস করতে হবে। তাহলে আপনার কাজ শেষ। এরপর আপনার টাকা ফেরত পাওয়ার পালা।
তবে টিকিট ফেরত দেওয়ার পর আপনি ৫ কর্ম দিবসের ভিতরে উক্ত টাকা ফেরত পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু সম্পূর্ণ টাকায় ফেরত পাবেন না। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে আপনাকে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যদি কোন কারণে টাকা ফেরত না পান তাহলে। অ্যাপস থেকে সকল তথ্য নিয়ে অথবা স্ক্রিনশট নিয়ে।

Support@eticket.railway.gov.bd এই ঠিকানায় একটি অভিযোগ মেইল করতে হবে। এই ঠিকানায় মেইল করার পরে আপনার তথ্য সঠিক আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা হবে। পরবর্তী সাত-কর্ম দিবসের ভেতরে আপনি যে মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেছেন সেই মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

চলুন তাহলে জেনে নিই আপনি টিকিট কোন সময় ফেরত দিলে কি পরিমাণ টাকা পাবেন। টিকিট রিফান্ড পলিসি অনুযায়ী। আপনি যদি ট্রেন যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দেন। তাহলে এসির জন্য ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণীর জন্য ৩০ টাকা এবং অন্যান্য শ্রেণীর জন্য ২৫ টাকা চার্জ বাবদ কাটা হবে।

যদি আট চল্লিশ ঘন্টার কম হয় এবং চব্বিশ ঘন্টার বেশি হয় তাহলে, আপনার টিকিটের যে মূল্য সেখান থেকে ২৫% চার্জ কাটা হবে। আপনার টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় যদি ২৪ ঘন্টার কম ও ১২ঘন্টার বেশি হয় তাহলে টিকিটের মূল্য থেকে ৫০% কেটে নেওয়া হবে।

আর যদি আপনি যাত্রা শুরুর হওয়ার ১২ ঘন্টার কম এবং ৬ ঘন্টার বেশি সময়ের মধ্যে টিকিট ফেরত দেন। তাহলে আপনার টিকিটের যে মূল্য তার থেকে 75 শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। তবে যদি আপনি ৬ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে টিকেট ফেরত দিতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই টিকিট আর ফেরত হবে না। অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিষেবা চার্জ কখনোই ফেরত দেওয়া হবে না।

টিকেট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি রেলওয়ে টিকিট রিটার্ন পলিসি ইন বাংলাদেশ, এই পলিসিটি একবার হলেও পড়ে নেবেন। কারণ এখানে টিকেট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তারিত সব বলা আছে। এই পলিসিটি পড়লে আপনি বিস্তারিত সকল বিষয় পরিষ্কার জানতে পারবেন। তাই আমার পরামর্শ একবার হলেও আপনি পড়ে নেবেন।

উপরে লেখাগুলো পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, অনলাইনে টিকিট কাটার পরে, সেই টিকিট কিভাবে ফেরত দিতে হয়। যদি আপনি এই প্রসেসগুলো মেনে কাজ করেন, তাহলে আপনি আপনার কাটা টিকিট অবশ্যই ফেরত দিতে পারবেন। তবে ফেরত টাকা আপনি পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবসের ভিতরে পেতে পারেন এবং যে মাধ্যমে আপনি টাকা পে করেছেন, সেই মাধ্যমে আপনি টাকা ফেরত পাবেন।

ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ 

ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ আপনার তখনই জানা প্রয়োজন যখন আপনি টিকিট বাতিল করতে বা ফেরত দিবেন। আপনি ট্রেনের টিকিট কাটার পরে যখন বুঝতে পারবেন যে, আপনি টিকিট অনুযায়ী যাত্রা করবেন না। তখন আপনি নিশ্চয়ই টিকেট বাতিল করতে চাইবেন। আর টিকিট করতে হলে আপনাকে নির্ধারিত টাকা পে করতে হবে।
অর্থাৎ আপনি যে পরিমাণ টাকা পেমেন্ট করেছেন টিকিট কাটার জন্য। টিকিট বাতিল করলে ওখান থেকে নির্ধারিত চার্জ কেটে নেওয়া হবে। টিকিট কাটার সময় যেমন চার্জ কাটবে তেমনি টিকিট ফেরত দেওয়ার সময়ও চার্জ কাটবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক টিকিট বাতিলের চার্জ কত।

টিকিট রিফান্ড পলিসি অনুযায়ী। আপনি যদি ট্রেন যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দিতে চান। তাহলে এসি সীটের জন্য ৪০ টাকা চার্জ দিতে হবে, প্রথম শ্রেণীর সীটের জন্য ৩০ টাকা চার্জ দিতে হবে  এবং অন্যান্য শ্রেণীর সীটের জন্য ২৫ টাকা চার্জ বাবদ কাটা হবে।

যদি টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় আট চল্লিশ ঘন্টার কম হয় এবং চব্বিশ ঘন্টার বেশি হয় তাহলে, আপনার টিকিটের যে মূল্য সেখান থেকে ২৫ শতাংশ চার্জ কেটে নেওয়া হবে। আপনার টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় যদি ২৪ ঘন্টার কম ও ১২ঘন্টার বেশি হয় তাহলে টিকিটের মূল্য থেকে ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।

আর যদি আপনি যাত্রা শুরুর হওয়ার ১২ ঘন্টার কম এবং ৬ ঘন্টার বেশি সময়ের মধ্যে টিকিট ফেরত দেন। তাহলে আপনার টিকিটের যে মূল্য তার থেকে ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। তবে যদি আপনি ৬ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে টিকেট ফেরত দিতে চান। তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই টিকিট আর ফেরত হবে না।
অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিষেবা চার্জ কখনোই ফেরত দেওয়া হয় না।

উপরের লেখাগুলো পড়ে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ বিষয়ক সকল তথ্য। অর্থাৎ আপনি যদি ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে চান তাহলে কি পরিমান টাকা আপনার কাটবে। এবং কোন সময় ফেরত দিলে কত শতাংশ টাকা কেটে নেবে। আশা করি বিষয়টি আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

রেলওয়ে টিকিট রিটার্ন পলিসি ইন বাংলাদেশ

ক্রয় করা টিকিট যদি আপনি ফেরত দিতে চান তাহলে রেলওয়ে টিকিট রিটার্ন পলিসি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। কারণ এই পলিসির মধ্যে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে বলা আছে। এটি পড়ার মাধ্যমে আপনি টিকেট কিভাবে ফেরত দিতে হবে, কখন ফেরত দিতে হবে। কিভাবে টাকা ফেরত পাবেন সব বিস্তারিত বলা আছে। চলুন তাহলে রেলওয়ে টিকিট রিটার্ন পলিসি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো যাক।
রেলওয়ে টিকিট রিটার্ন পলিসি ইন বাংলাদেশ
এই পলিসির প্রথমেই বলা আছে যদি আপনি অনলাইনে টাকা রিফান্ড করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট অথবা রেইল সেবা অ্যাপসে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি বলা আছে সেটি হচ্ছে আপনাকে ক্যান্সেল বাটনে ক্লিক করতে হবে পার্চেস হিস্টোরির মধ্যে যেতে হবে। এরপর ওটিপি সাবমিট করতে হবে যেটি আপনার মোবাইল নম্বরে আসবে। তাহলে আপনার এই প্রসেসটি চালু হবে।

তৃতীয় যে শর্ত বলা আছে সেটি হচ্ছে আপনার ফেরতকৃত টাকা বিকাশ, নগদ, রকেট অথবা ব্যাংকের ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড বা নেক্সাস এর মাধ্যমে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আপনি ফেরত পাবেন। তবে যদি আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ফেরত নিতে চান তাহলে সেটি একটি লম্বা প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন কারণে সমস্যা হতে পারে।

টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় যে ওটিপি আসবে সেটি নোট করতে হবে এবং কনফার্ম করতে হবে যে আপনি টিকিটটি ঔ সীটের পরিবর্তে ফেরত দিতে চান।

যাত্রা শুরুর আগে কাউন্টারে যদি আপনার টিকিট প্রিন্ট করে ফেলে। তাহলে সেই টিকিট আর ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রিন্ট করার টিকেট একমাত্র আপনি কাউন্টার থেকে রিফান্ড করতে পারবেন।

এবং নিচের অংশে যে পলিসি গুলো লেখা আছে তা হল
আপনি যদি ট্রেন ছেরে দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিটটি ফেরত দিতে চান। তাহলে প্রতিটি এসি সীটের জন্য ৪০ টাকা চার্জ ফি দিতে হবে, প্রথম শ্রেণীর প্রতিটি সীটের জন্য ৩০ টাকা চার্জ দিতে হবে  এবং অন্যান্য শ্রেণীর প্রতিটি সীটের জন্য ২৫ টাকা চার্জ বাবদ কাটা হবে।

যদি আপনার টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় আট চল্লিশ ঘন্টার কম হয় এবং চব্বিশ ঘন্টার বেশি হয় তাহলে, আপনার টিকিটের যে মূল্য সেখান থেকে ২৫ শতাংশ চার্জ কেটে নেওয়া হবে। আপনার টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় যদি ২৪ ঘন্টার কম ও ১২ঘন্টার বেশি হয় তাহলে টিকিটের মূল্য থেকে ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।

আর যদি আপনি যাত্রা শুরুর হওয়ার ১২ ঘন্টার কম এবং ৬ ঘন্টার বেশি সময়ের মধ্যে টিকিট ফেরত দেন। তাহলে আপনার টিকিটের যে মূল্য তার থেকে ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। তবে যদি আপনি ৬ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে টিকেট ফেরত দিতে চান। তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই টিকিট আর ফেরত হবে না।
অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিষেবা চার্জ কখনোই ফেরত দেওয়া হয় না।

উপরের লেখাগুলো পড়ে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ বিষয়ক সকল তথ্য। অর্থাৎ আপনি যদি ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে চান তাহলে কি পরিমান টাকা আপনার কাটবে। এবং কোন সময় ফেরত দিলে কত শতাংশ টাকা কেটে নেবে। আশা করি বিষয়টি আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম

কাউন্টারে যেয়ে আপনি সরাসরি ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যে টিকিটটি ফেরত দিতে চান সে টিকিটটি নিয়ে প্রথমে রেলওয়ে কাউন্টারে যেতে হবে। এরপর যেকোনো একটি কাউন্টারে যেয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে, এই টিকিটটি আমি গত এই তারিখে কেটেছিলাম।

এই টিকিট অনুযায়ী এই ট্রেনটি আগামী অমুক দিন অমুক সময় যাত্রা করবে। এভাবে বলার পর কাউন্টারে বলতে হবে আমি এই টিকিটটি ফেরত দিতে চাই। তখন যদি ওনার নেওয়া সম্ভব হয়, উনি নেবে না হলে কোথায় গেলে টিকিটটি ফেরত নেবে আপনাকে বলে দেবে। তারপর আপনি সেখানে গিয়ে টিকিট সংক্রান্ত বিস্তারিত কতগুলা আপনাকে আবারো বলতে হবে।

এভাবে বলার পর তারা আপনার টিকিটটি ফেরত নিবে তবে আপনাকে কিছুটা টাকা ছেড়ে দিতে হবে। তবে কোন কোন সময় কোন কোন কাউন্টারে এসব টিকিট ফেরত নাও নিতে পারে। আপনার সমস্যার কথা আপনি বুঝিয়ে বললে হয়তো বা উনি আপনার এই টিকিটটি ফেরত নিতে পারে। আর এভাবেই  আপনি কাউন্টারে যেয়ে টিকিট ফেরত দিতে পারেন।

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনলাইনে

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনলাইনে সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ন পড়ুুন। বর্তমান সময়ে আমরা কম বেশি সবাই ব্যস্ত থাকি। ব্যস্ততার কারণে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সময় নেই। আপনি ঘরে বসেই যে কোন ট্রেনের টিকিট সহজেই কাটতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন একটি স্মার্টফোন, অথবা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ।
ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনলাইনে
প্রথমে আপনাকে রেলওয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে অথবা মোবাইল থেকে রেইল সেবা অ্যাপস ইনস্টল করে নিতে হবে। এরপর এনআইডি কার্ড এর নাম্বার দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পর আপনার সামনে একটি হোমপেজ শো করবে। এরপর উক্ত হোম পেজের যেয়ে আপনি কোন স্টেশন থেকে যাবেন সেই স্টেশনের নাম লিখতে হবে।

এরপর আপনি কোন স্টেশনের নামবেন সেই স্টেশনের নাম লিখতে হবে। পরবর্তীতে আপনি কোন ধরনের সিট নিতে চান সেটাকে সিলেক্ট করতে হবে। সেটা হতে পারে এসি বা নন এসি বা লোকাল সিট। এরপর আপনাকে ট্রেনের নাম সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ ওই রুটে একাধিক ট্রেন থাকতে পারে, তাই আপনি যে ট্রেনে যেতে চান সে ট্রেনের নামের উপর ক্লিক করে সিলেক্ট করুন।

এরপর আপনাকে একটি সিট প্লান দেখানো হবে এর মধ্যে যেগুলো একদম সাদা আছে শুধুমাত্র সেগুলোতে আপনি টিকিট কাটতে পারবেন। কারণ অন্যান্য যেগুলো কালার আছে সেগুলো টিকিট কাটা হয়ে গেছে। যেগুলো সিট ফাঁকা থাকে সেগুলো শুধুমাত্র সাদা দেখায়।

সিট সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে এজন্য আপনাকে পেমেন্ট মেথড দেখাবে। অর্থাৎ আপনি বিকাশ থেকে পেমেন্ট করবেন না অন্যান্য মাধ্যম থেকে পেমেন্ট করবেন। ওখানে যেগুলো মাধ্যম এর নাম দেওয়া থাকবে সবগুলো থেকে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন। যদি আপনি বিকাশ থেকে করতে চান তাহলে বিকাশ লেখার উপরে ক্লিক করতে হবে।

এখানে ক্লিক করার পরে আপনার বিকাশ নাম্বারে একটি ওটিপি যাবে। মেসেজ থেকে ওটিপি নাম্বার নিয়ে যেখানে ওটিপি চায় সেখানে ওটিপি দিয়ে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার বিকাশ ওপেন হয়ে যাবে। ওপেন হওয়ার পর আপনার পিন নাম্বার চাবে। পিন নাম্বার দেওয়া হয়ে গেলে অটোমেটিক আপনার বিকাশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেবে।

এরপর আপনার অ্যাপসে একটি মেসেজ আসবে সেখানে লেখা থাকবে আপনার টিকিট কনফার্ম হয়েছে। শো টিকিট নামে একটি অপশন আসবে। সেখান থেকে ক্লিক করে আপনার টিকিট দেখতে পাবেন। এরপর উক্ত টিকিট প্রিন্ট করে আপনার সঙ্গে রাখতে হবে যাত্রার সময়।

আর এভাবে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে টিকিট কাটতে পারবেন। যেকোনো ট্রেনের, যেকোনো জায়গা থেকে। তাহলে কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়, আশা করি আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ কিভাবে অনলাইনে টিকিট ফেরত দিতে হয়

ডিজিটাল যুগে বসবাস করার কারণে আমরা বিভিন্ন রকম সুবিধা ভোগ করে থাকি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয়। অর্থাৎ আপনাকে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় লস করে ট্রেনের টিকিট আর কাটতে হয় না। আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই যেকোনো ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন এবং সহজেই সেই টিকিটটি ফেরত দিতে পারবেন।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম অনলাইনে টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম বাংলাদেশ ও ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ সম্পর্কে। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত পোস্ট করা হয়। তাই বিভিন্ন বস্তু নির্ভর তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url