চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতার উপকারিতা
পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার। নিম পাতার উপকারিতা
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
- চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার ঔষধি গুন
- ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
- খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় জেনে নিন
- শেষ কথাঃ নিমপাতা ব্যবহার করে চুলকানি রোগ দমন
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে হয়ে আসছে। চুলকানি রোগ আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি রোগ। এটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একটি পদ্ধতি। অর্থাৎ চুলকানি রোগ হলে আপনি যে ওষুধই ব্যবহার করেন না কেন নিম পাতার উপরে ভালো কাজ করে এমন ওষুধ আমাদের দেশে নেই। তাই চুলকানি রোগ হলে আপনাকে নিম পাতার ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে চুলকানি রোগ দমনে নিম পাতার ব্যবহার কখন করবো কিভাবে করবো। চুলকানি রোগ দমনে নিম পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। নিম পাতা ব্যবহারের উপরে আপনার রোগ দ্রুত ভালো হয়ে যেতে পারে। তাই চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক চুলকানি রোগ দমনে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ তরমুজ বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা। ভালো তরমুজ চেনার উপায়
- চুলকানি রোগ দমনে নিম পাতার পানি দিয়ে গোসলঃ চুলকানি রোগ হলে আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ চুলকিয়ে ঘা এর মত হয়ে যায়। যে সমস্ত অঙ্গ চুলকাবে সেগুলো ভালো করে চুলকায়ে নিয়ে নিম পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর উক্ত গরম পানি মাথা বাদ দিয়ে সমস্ত শরীরে ঢেলে গোসল করতে হবে। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন গোসল করলে দেখবেন চুলকানি রোগ দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
- নিম পাতা পেষ্ট করে ব্যবহার করে চুলকানি রোগ দমনঃ চুলকানিতে নিম পাতার আরেকটি ভালো ব্যবহারের উপায় হলো নিম পাতার পেস্ট করে ব্যবহার। নিম পাতা সংগ্রহ করে সেগুলোকে পিশে পেষ্ট করে নিতে হবে। এরপর আপনার শরীরের যে অংশে চুলকাবে সেই অংশে উক্ত পেস্ট লাগাতে হবে। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন নিম পাতার পেস্ট লাগালে দ্রুত চুলকানি রোগ ভালো হয়ে যাবে।
- নিম পাতার তেল ব্যবহার করে চুলকানি রোগ দমনঃ চুলকানিতে নিম পাতার তেল ব্যবহার হতে পারে একটি উত্তম পদ্ধতি। প্রথমে নিমপাতা সংগ্রহ করে সেগুলোকে ভালোভাবে পিছিয়ে নিতে হবে। এরপর এগুলোকে গরম করে তেলের মত করে তৈরি করে নিতে হবে। এরপর উক্ত তেল শরীরের যে অংশগুলোতে চুলকায় সে অংশগুলোতে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
- চুলকানিতে নিম পাতার গুড়া করে ব্যবহারঃ প্রথমে পরিষ্কার নিম পাতা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এগুলোকে ভালোভাবে রোদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে শুকানো হয়ে গেলে এগুলোকে মিহি গুড়া করে নিতে হবে। এরপর যে অংশে চুলকাবে সে অংশে এই মিহি পাউডার বা গুড়া নিয়মিত লাগাতে হবে। এভাবে কয়েকদিন লাগিয়ে দিলে দেখবেন চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কতটা উপকারী।
- চুলকানি রোগ দমনে চা তৈরি করে খাওয়াঃ নিম পাতার দিয়ে চা তৈরি করে নিয়মিত কয়েকদিন খেলে। আপনার শরীরে যে চুলকানির সমস্যা দেখা দিয়েছে তা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। তবে এটি নিয়মিত কয়েকদিন খেতে হবে। এক থেকে দুইদিন খেয়ে পরে আর না খেলে এই সমস্যার সমাধান না হতে পারে।
- চুলকানি রোগ দমনে নিম পাতা রস করে খাওয়াঃ চুলকানি রোগ দমন করার জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে এটি। যদি আপনি প্রতিদিন নিমপাতা রস করে খেতে পারেন। তাহলে দ্রুত আপনার দেহের চুলকানি রোগ ভালো হয়ে যাবে। কারণ নিম পাতার কাচা রস খুব দ্রুত কাজ করে। তাই চুলকানি হলে আর দেরি না করে এখনই এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
- নিম পাতার ফেসওয়াশ ব্যবহার করে চুলকানী রোগ দমনঃ শরীরে যে কোন অংশে উপরের যে কোন উপাদান ব্যবহার করা যায়। তবে যদি মুখে চুলকানি হয় তাহলে আপনি কি করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিম পাতার ফেসওয়াশ তৈরি করে নিতে হবে। এবং উক্ত নিম পাতার ফেসওয়াশ নিয়মিত আপনার মুখে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করে দেখুন আপনার মুখের চুলকানি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
- উপরিক্ত বিষয়গুলো পড়ে আশাকরি বুঝতে পেরেছেন চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কতটা কার্যকরি সমাধান।
নিম পাতার উপকারিতা
- চুলকানি ও খোশপাচরা নির্মূলে নিম পাতার উপকারিতাঃ চুলকানি ও খোসপাচরা নিরময়ে নিম পাতার কোন তুলনাই হয় না। কারণ এই রোগ নিরাময়ে যদি নিয়মিত কয়েকদিন নিম পাতা ব্যবহার করা যায় তাহলে নিশ্চিত ভাবে এ রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। তাই চুলকানি ও খসড়া রোগ নিরাময় আজই নিম পাতা ব্যবহার করুন।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ সারা জীবন ত্বকের উজ্জ্বলতা ভালো রাখতে চান। তাহলে আজই নিম পাতার এই টোটকা ব্যবহার করুন। যদি আপনি প্রতিদিন নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ মিশে ত্বকে ব্যবহার করেন, দেখবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা সারা জীবন বজায় থাকবে। তবে হলুদের পরিমাণ একটু কম নিতে হবে। এবং এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার পরে রোদ্রে যাওয়া যাবে না।
- ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কারণ নিম পাতার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে থাকে। উপাদানগুলো হলো ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন ছাড়াও অন্যান্য অনেক উপাদান।
- পেটের সমস্যা দূর করতে নিম পাতার উপকারিতাঃ যদি আপনার পেটের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজই নিমপাতা সমৃদ্ধ একটি চা খেয়ে ফেলুন। কারণ নিমপাতা চা যদি আপনি প্রতিদিন এক কাপ করে খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের ভেতরে যত সমস্যা আছে সবগুলো দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
- চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ আপনার চুল উজ্জ্বল সুন্দর ও ভালো রাখতে চান তাহলে আজ থেকেই নিম পাতার ব্যবহার শুরু করুন। কারণ চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং সুন্দর রাখতে নিম পাতার ব্যবহার অত্যন্ত সফল ও কার্যকরী। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে নিম পাতার রস দিয়ে চুলটি ভিজিয়ে নিন এরপর শ্যাম্পু করুন। দেখুন আপনার চুলের কি পরিবর্তন চলে আসে। এছাড়াও যদি আপনি সপ্তাহে একদিন নিম পাতা বেটে চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
- হজম শক্তি বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতার রস হজম শক্তি বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি আপনি প্রতিদিন নিমপাতার রস নিয়ম করে খান তাহলে আপনার হজম শক্তি নিশ্চিত ভাবে বেড়ে যাবে। যার ফলে আপনি থাকবেন সুস্থ ও সবল।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতার রস নিয়মিত খেলে যে কোন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। অর্থাৎ যদি আপনি নিয়মিত নিম পাতার রস খান তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। অর্থাৎ কিছু কিছু রোগ আপনার নিকটে আসতে পারবে না।
- কানফোড়া ছাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ কানফোড়া জনিত সমস্যা দূর করার জন্য নিম পাতার গুড়া করে এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর উক্ত স্থানে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে দ্রুতই এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।
- কাটা ছেঁড়া পোড়া সমাধানে দ্রুত কাজ করেঃ আপনার শরীরে যে কোন স্থানে কাটা ছেঁড়া অথবা যদি পুড়ে যায়। তাহলে ওই জায়গায় নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করুন। দেখুন ম্যাজিকের। মতো কাজ করবে।
- মুখের ব্রণ নিবারণ করতে নিম পাতার উপকারিতাঃ যদি আপনার মুখে ব্রণ হয় তাহলে আপনি নিম পাতার পেস্ট নিয়মিত মুখে ব্যবহার করুন। কয়েক দিন নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে আপনার মুখে ব্রণ খুব দ্রুত সেরে যাবে।
- চোখের সমস্যা দূর করতে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতা পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে উক্ত পানি চোখ বন্ধ করে যদি চোখ ও মুখ মন্ডলে ব্যবহার করা যায়। তাহলে চোখের ব্যাথাজনিত সমস্যা দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
- মাথার খুশকি তাড়াতে নিম পাতার ব্যবহারঃ কিছু নিম পাতা ও পানি একসঙ্গে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সিদ্ধ করা পানি যখন নীলবর্ণ হয়ে যাবে তখন এটিকে ঠান্ডা করতে হবে। এরপর উক্ত পানি শ্যাম্পু করার কিছুক্ষণ পর মাথায় ব্যবহার করতে হবে। দেখুন আপনার মাথা থেকে খুশকি বিদায় নেবে।
- দাঁত ভালো রাখতে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতার ডাল দিয়ে নিয়মিত যদি মেসওয়াক করা যায় তাহলে আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অর্থাৎ মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় না এবং দাঁতের ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ও ব্যকটেরিয়া থাকে যেগুলোকে নিরাময়ে নিম পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- রক্ত বিশুদ্ধ রাখতে নিম পাতার উপকারিতাঃ যদি প্রতিদিন আপনি এক গ্লাস করে নিম পাতা রস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে রক্ত বিশুদ্ধ রাখে। এভাবে নিয়মিত খেলে দেখবেন আপনার রক্ত জনিত বিভিন্ন সমস্যা কেটে যাবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতা এমন একটি উপাদান যেটি নিয়মিত গ্রহণ করলে যে কোন ব্যক্তির ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। অর্থাৎ সুগার নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা খুবই কার্যকর আমাকে পালন করে।
- প্রজননে সহায়তা করেঃ নিম পাতা এতটাই উপকারে যেয়ে যদি এটি নিয়মিত কোন ব্যক্তি খায়। তাহলে তার প্রজনন ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- ইমিউনিটি বাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতা প্রতিটি মানুষের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। যদি নিমপাতা নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে যেকোনো ব্যক্তির ইমিউনিটি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির নিম পাতা খাওয়া খুবই জরুরী।
- উকুন দমনে নিম পাতার উপকারিতাঃ যদি আপনার মাথায় প্রচুর পরিমাণে উকুন হয়, তাহলে গোসল করার সময় কয়েক দিন নিয়ম করে নিম পাতার রস ব্যবহার করুন,এরপর দেখুন আপনার মাথা থেকে উকুন হারিয়ে যাবে।
- ওজন কমাতে নিম পাতার উপকারিতাঃ বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক মানুষেরই এই সমস্যা যে ওজন দিন দিন বেড়ে চলেছে। খাবার কম খাচ্ছেন তারপরও আপনার ওজন বেড়েই চলছে কোনভাবে কমছে না। তাহলে আপনার খাবার তালিকায় প্রতিদিন নিমপাতা রাখুন। দেখবেন ওজন দ্রুত কমে যাবে।
নিম পাতার অপকারিতা
- শিশুদের উপর ক্ষতিকর প্রভাবঃ নিম পাতার অত্যাধিক ব্যবহার করলে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ। বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে যেমন বমি বমি ভাব শরীর দুর্বলতা ইত্যাদি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে শিশু মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
- গর্ভপাত ঘটায়ঃ গর্ভ অবস্থায় নিম পাতা খাওয়া কোনভাবেই ঠিক নয়। কারণ গর্ব অবস্থায় যদি কেউ নিম পাতা খায় তাহলে গর্ভপাতের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। কারণ এর মধ্যে বেশ কিছু উপাদান আছে যেগুলো গর্ভপাত করতে সাহায্য করে।
- বন্ধ্যাত্বের কারণঃ নিম পাতা গ্রহণের কারণে যে কোন মহিলার বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যা হতে পারে। কারণ নিম পাতা যেমন উপকারী তেমনি একটি ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এটি। এর মধ্যে যে উপাদান গুলো আছে। সেগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বন্ধ্যাত্বের কারণে দাঁড়াতে পারে।
- কিডনির সমস্যাঃ দীর্ঘদিন নিম পাতা খেলে আপনার কিডনির সমস্যা হতে পারে। যদি আপনি একটানা দীর্ঘদিন নিম পাতা খান তাহলে যে কোন সময় আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
- রক্তের চাপ কমায়ঃ যদি আপনি একজন নিম্ন রক্তচাপ সম্পন্ন ব্যক্তি বা লো প্রেসার সম্পন্ন হন তাহলে নিম পাতা আপনার জন্য নয়। কারণ নিমপাতা রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনি লো প্রেসার এর রোগী হলে আপনার প্রেসার আরো কমে যাবে। এতে করে আপনি মারাত্মক ঝকির মতো করতে পারেন।
- অপারেশনের ক্ষেত্রেঃ যদি আপনার শরীরের কোন অংশ অপারেশন করতে হয়। তাহলে অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে নিম পাতার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ যদি আপনি নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহার করা অবস্থায় অপারেশন করেন তাহলে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন অন্ততপক্ষে অপারেশনের এক সপ্তাহ আগে থেকে নিম পাতার ব্যবহার বন্ধ রাখা।
- এলার্জি সমস্যাঃ নিম পাতার ভিতরে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো আপনার শরীরের এলার্জি জনিত সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। অর্থাৎ যদি আপনি নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করেন আর যদি এনার্জি সমস্যা আপনার আগে থেকে কমবেশি থেকে থাকে। তাহলে প্রতিদিন নিম পাতার ব্যবহার আপনার জন্য নয়।
- দুগ্ধ প্রদানকারী মায়েদের জন্য নয়ঃ যেসব মহিলার বাচ্চা এখনো দুধ পান করে তাদের জন্য নিম পাতার ব্যবহার নিষিদ্ধ। কারণ যদি দূত প্রদানকারী কোন মা নিম পাতা খান তাহলে ওই নিম পাতার উপাদান দুধের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। যেটি শিশুর জন্য মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিমপাতা ব্যবহারঃ পিরিয়ড চলনকালীন সময়ে নিম পাতার ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। কারণ যদি কেউ এ সময় নিম পাতার ব্যবহার করেন তাহলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে যদি সমস্যা দেখা যেতে পারে।
- ক্লান্তি ভাব বাড়ায়ঃ যদি আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল হন তাহলে নিমপাতা আপনার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। কারণ শারীরিকভাবে দুর্বল কোন ব্যক্তি নিমপাতা ব্যবহার করলে তারা আরও বেশি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায় অর্থাৎ ক্লান্তি ভাব বেড়ে যায়। তাই এসব ব্যক্তির জন্য নিম পাতার ব্যবহার না করাই ভালো।
নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা
- উকুন তাড়াতে নিম পাতার উপকারিতাঃ যদি আপনার মাথায় উকুন হয় এবং আপনি কোন কিছু ব্যবহার করে সমাধান না পান তাহলে এখনই নিমপাতার এই টোটকা ব্যবহার করুন। দেখুন আপনার মাথা থেকে উকুন চিরতরে বিদায় হয়ে যাবে। মাথা থেকে উকুন তাড়াতে প্রতিদিন গোসল করার সময় শ্যাম্পু ব্যবহারের পর নিম পাতার রস মাথায় ব্যবহার করুন। এভাবে কমপক্ষে আধাঘন্টা মাথা নিমপাতার পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দেখুন উকুনের বংশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
- খুশকী দূর করতে নিম পাতার উপকারিতাঃ আমাদের দেশের নারী পুরুষ উভয়েরই মাথায় খুশকি হয়। খুশকি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার অত্যাধিক জনপ্রিয়। গোসলের সময় যদি নিয়মিত নিম পাতার রস মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথা থেকে খুশকি চিরতরে বিদায় হয়ে যাবে।
- চুল পড়া রোধে নিম পাতার উপকারিতাঃ বিশ্বের প্রতিটি মানুষেরই কমবেশি চুল পড়া সমস্যা থাকে। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমরা বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করি। তবে চুল পড়া বন্ধের একটি কার্যকরী পদ্ধতি হলো নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করা। যদি আপনি নিয়ম করেগোসলের সময় নিম পাতার পেস্ট মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন নিশ্চিতভাবে আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
- নতুন চুল গজাতে নিম পাতার উপকারিতাঃ যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত মাথায় নিম পাতার রস বা নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করেন তাহলে ওই ব্যক্তির নতুন চুল গজাবে। কারণ নিম পাতার মধ্যে কিছু উপাদান আছে যেগুলো মানুষের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- চুলের অকালপক্কতা রোধে নিম পাতার উপকারিতাঃ আমাদের দেশে এমন অনেকেরই আছে অল্প বয়সে মাথার চুল পেকে যায়। এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য নিয়মিত মাথায় নিম পাতার রস ব্যবহার করতে হবে। আশা করি এই সমস্যা হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- চুল নরম ও কোমল রাতে নিম পাতার উপকারিতাঃ চুল নরম ও কোমল রাখতে নিম পাতা রসের সাথে মধু মিশিয়ে নিন। এরপর সপ্তাহে একদিন চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত ভালোভাবে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। এরপর দেখুন আপনার চুল নরম ও কোমল হয়ে যাবে।
নিম পাতার ব্যবহার
- ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহারঃ ত্বকের বহুবিধ যত্নে আপনি নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের যত্নে যদি আপনি নিমপাতা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক নিশ্চিত ভাবে ভালো থাকবে।
- ব্রণ দূর করতে নিম পাতার ব্যবহারঃ মুখের ব্রণ দূর করতে নিম পাতার আছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। যদি আপনার মুখে ব্রণ হয় তাহলে নিম পাতা পানিসহ ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। এরপর উক্ত পানি একটি তুলার সাহায্য ব্রনে ভালো করে লাগিয়ে নিন দেখুন মুখে ব্রণ দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
- বাচ্চাদের কৃমি দমনে নিম পাতার ব্যবহারঃ বাচ্চাদের পেটে মাঝেমাঝে কৃমি হতে পারে। আর ক্রিমি হলে বাচ্চাদের পেট ফুলে যায়। চেহারার মধ্যে ফ্যাকাশে ভাব চলে আসে। বাচ্চাদের কৃমি দমনে নিম পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহারঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিমপাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে এক গ্লাস করে নিম পাতার রস খান দেখুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়াও দশটি নিম পাতার গুঁড়ো চিবিয়ে খেলেও এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিম পাতা নিয়মিত খেলে ইনসুলিন নেওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
- জন্ডিস প্রতিরোধে নিম পাতার ব্যবহারঃ জন্ডিস রোগ নিরাময়ে নিম পাতা খুবই ভালো কাজ করে থাকে। ৫ থেকে ১০ মিলি নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জন্ডিস রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
- বসন্ত রোগ দমনে নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত নিম পাতার রস খান তাহলে আপনার বসন্ত রোগ হওয়ার সুযোগ খুবই কম। অর্থাৎ নিম পাতার রস নিয়মিত খেলে এই রোগ আর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।
- মানসিক চাপ কমাতে নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনি খুবই মানসিক চাপে থাকেন তাহলে নিয়ম করে নিম পাতার রস খান। নিম পাতার রস মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে থাকে।
- হার্ট সুস্থ রাখতে নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনি প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে এক গ্লাস করে নিম পাতার রস খান তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন আপনার হার্টের রোগ সহজে হবে না। কারণ নিম পাতার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো সব সময় হার্ট কেসুস্থ রাখে।
- ক্ষত সারাতে নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনার শরীরের কোন ক্ষত তৈরি হয়। সেটা হতে পারে কোন পোকা মাকড়ের আক্রমণে অথবা কোন দুর্ঘটনার কারনে। ক্ষতস্থানে কয়েকদিন নিম পাতার পেস্ট লাগিয়ে দিন ।এরপর দেখুন ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
- মাথার খুশকি দমনে নিম পাতার ব্যবহারঃ মহিলা পুরুষ সব মানুষেরই কম বেশি মাথায় খুশকি হয়। মাথার খুশকি দূরুকরণে গোসলের সময় নিম পাতার পেস্ট মাথায় লাগিয়ে নিন। এরপর আধা ঘন্টা এভাবে রেখে দিন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখুন মাথার খুশকি চিরতরে দূর হবে।
- নতুন চুল গজাতে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিম পাতার মধ্যে এমন কিছু বিশেষ উপাদান আছে। যেগুলোর কারণে আপনি যদি প্রতিদিন নিমপাতা রস খান অথবা নিম পাতার রস মাথায় ব্যবহার করেন দেখবেন নতুন করে আপনার অনেক চুল গজাবে।
- মুখের দাগ কমাতে নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনার মুখে কোন ধরনের দাগ থাকে। তাহলে নিম পাতার পেস্ট এর সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর উক্ত মিশ্রণটি মুখের যে অংশে দাগ আছে সে অংশে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে মুখের দাগ দ্রুত সেরে যাবে।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নিম পাতার ব্যবহারঃ মুখের দুর্গন্ধ একটি খুবই খারাপ বিষয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নিম পাতার ডাল অথবা পাতা দিয়ে নিয়মিত মেসওয়াক করতে হবে। এভাবে কিছুদিন মেসওয়াক করলে দেখবেন মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিমপাতার ব্যবহারঃ যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত নিম পাতার রস খায় তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত ভাবে বেড়ে যাবে। কারণ এর মধ্যে এমন কিছু বিশেষ উপাদান আছে যা প্রতিটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিম পাতার মধ্যে আছে বিশেষ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীর থেকে ক্যান্সারের জীবাণু বের করে দেয়। যার ফলে নিয়মিত নিম পাতা খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
- অ্যাজমা দূর করতে নিম পাতার ব্যবহারঃ অ্যাজমা রোগ একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর রোগ। এই রোগের কারণে শ্বাসনালী শুকিয়ে যায়। যার ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে অ্যাজমা রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
- দাঁতের ক্ষয় রোধে নিম পাতার ব্যবহারঃ দাঁতের ক্ষয় রোধ করার জন্য নিম পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি আপনি নিয়মিত নিম পাতার রস ব্যবহার করেন অথবা নিম পাতার ডাল দিয়ে দাঁত মেসওয়াক করেন ।তাহলে দেখবেন দাঁতের ক্ষয় রোধ একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
- চুলকানি রোগ দমনে নিম পাতার ব্যবহারঃ চুলকানি রোগ দমনের জন্য এক এবং অদ্বিতীয় একটি ওষুধ হচ্ছে নিমপাতা। নিমপাতা পরিষ্কার পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে যদি চুলকানো জায়গায় নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে অতি দ্রুত আপনার শরীরের চুলকানি রোগ ভালো হয়ে যাবে।
- পেটের সমস্যা দূর করতে নিম পাতার ব্যবহারঃ যদি আপনি নিয়মিত নিম পাতা রস খান তাহলে আপনার পেটের ভিতরে ছোটখাটো অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কারণ নিমপাতা এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো পেটের সমস্যা সমাধান করতে কাজ করে।
- ত্বক উজ্জ্বল করতে নিম পাতার ব্যবহারঃ ত্বক উজ্জ্বল করতে নিম পাতা খুবই ভালো কাজ করে থাকে। নিম পাতা পেস্ট করে নিয়ে এর ভেতরে হলুদ মিশিয়ে নিয়ে নিয়মিত আপনার ত্বকে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক সারা জীবন উজ্জ্বল থাকবে।
নিম পাতার ঔষধি গুন
- চোখের ব্যথা নিরাময়ঃ চোখের ব্যথা নিরাময়ে নিম পাতার সাথে সামান্য একটু আদা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে নিয়ে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের সাথে লাগিয়ে নিয়ে চোখের উপর কিছুক্ষণ দিয়ে রাখুন। দেখবেন দ্রুত চোখের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।
- এইডস রোগ প্রতিরোধঃ নিম পাতার অন্যান্য ঔষধি গুণের ভেতরে এটি একটি ভালো ঔষধি গুণ। যদি নিয়মিত নিমপাতা নিয়ম করে খাওয়া যায় তাহলে এটি এইডস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধঃ নিম পাতার বিভিন্ন ঔষধি গুণের ভেতরে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধি গুন। নিম পাতার মধ্যে এমন কিছু বিশেষ উপাদান আছে যেগুলো শরীরের ভেতর থেকে ক্যান্সারের জীবাণু বের করতে সাহায্য করে। যার ফলে নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ হয়।
- ম্যালেরিয়া দমনঃ নিমের মধ্যে আছে ম্যালেরিয়া দমনকারী উপাদান গ্যাডোনিন। যার ফলে নিয়মিত নিয়মের পাতা ব্যবহার করলে ম্যালেরিয়া রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতাঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিম পাতার আছে গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গুণ। যদি আপনি প্রতিদিন নিমপাতার টেস্ট এর সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিয়ে উক্ত মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করেন। দেখবেন সারা জীবন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ প্রতিদিন সকালবেলা যদি আপনি পাঁচটি গোলমরিচ ও দশটি নিম পাতা একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ থাকবে অর্থাৎ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- ওজন কমাতে নিমপাতাঃ ওজন কমানোর জন্য নিম পাতার আছে খুব ভালো একটি ঔষধি গুণ। নিমপাতা ভালো করে শুকিয়ে গুড়া করে প্রতিদিন চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন দেখবেন দ্রুত আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে। অর্থাৎ ওজন কমাতে নিমপাতা খুবই দ্রুত কাজ করে।
- চুলকানি রোগ দমনঃ নিম পাতার যেগুলো ঔষধি গুন আছে এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ওষুধি গুণ হচ্ছে চুলকানি রোগ দমন। যদি আপনার চুলকানি রোগ হয় তাহলে পরিষ্কার নিমপাতা পরিষ্কার পানির মধ্যে নিয়ে সিদ্ধ করে উক্ত সিদ্ধ পানি চুলকানো জায়গায় লাগিয়ে দিন। মাথা না ভিজিয়ে উক্ত পানি দিয়ে গোসল করুন। দেখবেন কয়েক দিন এভাবে ব্যবহার করলে আপনার চুলকানি রোগ ভালো হয়ে যাবে।
- কৃমির দমন করেঃ বাচ্চাদের কৃমি দমনে নিম পাতা খুবই ভালো কাজ করে থাকে। যদি বাচ্চাদের পেটে কৃমি হয় তাহলে কয়েকদিন নিয়মিত নিমপাতা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে সকালবেলা কয়েক দিন খালি পেটে খাওয়াতে হবে। এরপর দেখবেন বাচ্চাদের কৃমি সহজেই দমন হবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ নিম পাতার রস যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত সেবন করে, তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে বেড়ে যাবে। কারণ নিম পাতার ভেতরে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- পোকামাকড়ের কামড়েঃ বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের কারণে যদি শরীরে কোন অংশে ব্যথা অনুভব হয়। তাহলে উক্ত স্থানে নিমপাতা বেটে লাগিয়ে দিন দেখুন দ্রুত ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যাবে।
- হার্ট ভালো রাখেঃ নিম পাতা খেতে যেমন তেতো তেমনি এর ওষুধি গুণ খুবই ভালো। নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে হার্ট ভালো থাকে। কারন এর মধ্যে যে উপদানগুলো আছে এগুলো হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- রক্ত পরিষ্কার রাখেঃ নিম পাতা রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্ত জনিত কোন সমস্যা হওয়ার সুযোগ কম থাকে। তাই শরীরের রক্ত ভালো রাখতে নিয়মিত নিমপাতা সেবন করুন।
- জন্ডিস দমন করেঃ নিম পাতার ঔষধি গুণের ভিতরে এটি একটি ভালো ঔষধি গুণ। জন্ডিস দমনে নিম পাতার কোন তুলনা হয় না। যদি আপনি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আজই নিম পাতার রস খাওয়া শুরু করুন। ১০ মিলি লিটার নিম পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়ে নিয়মিত খেলে জন্ডিস রোগ দূর হয়ে যাবে।
- ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করেঃ ঠান্ডা জড়িত সমস্যা দূর করণে ৩০ মিলি নিম পাতার রস একটু গরম পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে সেবন করতে হবে নিয়মিত কয়েকদিন তাহলে দেখবেন ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে।
- ব্রণ দূর করেঃ মুখের ব্রণ দূর করতে নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে উক্ত পেস্ট ব্রণ তোকে যত যে জায়গায় হয়েছে সেখানে নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহার করতে হবে এভাবে ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
ত্বকের যত্নে নিম পাতার আছে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা। আমরা ত্বককে ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করি। অথচ নিম পাতা ব্যবহার করলে ত্বক খুব ভালো থাকবে এবং উজ্জ্বল থাকবে। এখন আপনার মনের প্রশ্ন আসতে পারে ত্বকের যত্নে নিমপাতা কি কি উপকার করে এবং সেটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- শুষ্ক ত্বকের যত্নঃ শুষ্ক ত্বককে নরম ও কোমল করতে নিম পাতা খুবই ভালো কাজ করে। সামান্য পরিমাণ নিম পাতার গুঁড়া নিয়ে এর ভেতর অল্প কিছু জলপাইয়ের তেল নিতে হবে। এরপর এটিকে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবং এই মিশ্রণটি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক নরম ও কোমল হয়ে যাবে।
- ত্বকের সুরক্ষা দেয়ঃ নিম পাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। এটি ত্বকের কোন প্রকার ফাঙ্গাস ব্যাকটেরিয়া বা ছ্যাকরা এর আক্রমণ হতে দেয় না। যার ফলে নিয়মিত নিমপাতা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক থাকে সুরক্ষিত।
- ব্ল্যাক হেড বা মুখের গর্ত কমায়ঃ ব্ল্যাক হেড বা মুখের গর্ত কমাতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। অল্প কিছু নিম পাতার গুড়া ও অল্প কিছু কমলালেবুর খোসার গুড়া এক থেকে মিশিয়ে নিয়ে এর ভেতরে হালকা মধু দুধ ও টক দই মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর উক্ত মিশ্রণ টুকু সপ্তাহে তিন দিন মুখে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বক থেকে ব্ল্যাকহেড বা মুখের গর্ত কমে যাবে।
- ব্রণ দূর করতে সাহায্য করেঃ মুখে অতিরিক্ত ময়লা ও ছত্রাকের আক্রমণে ব্রণ হতে পারে।ব্রন দমনে নিমপাতা খুবই ভালো কাজ করে থাকে। নিয়মিত নিম পাতা গ্রহণ করলে যেসব কারণে মুখে ব্রণ হয় সে উপাদান গুলো শরীর থেকে বের করে দিয়ে ব্রণ ভালো হতেসাহায্য করে।
- নিম ফেসপ্যাকঃ নিমপাতা ত্বকের ফেস ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ কয়েকটি নিম পাতার গুড়া নিয়ে মুখে মেখে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে ।এরপর মুখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ নিম ফেস প্যাক হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এট্রাকশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url